||সত্য খোঁজে যে—সত্য পায় সে||

চারদিকের মানুষগুলো কেমন অদ্ভুত ! কাঠ , পাথর ও মাটির তৈরি জিনিসপত্রের সামনে নত হয়ে মস্তিষ্ক ঠেকিয়ে দেয়। তাদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। সে-সবের সামনে বিড়বিড় করে কী কী যেনো বলে যায় অবিরাম ! এই মানুষগুলো কেমন ! কী করছে তারা! কীভাবে নিজ হাতে তৈরি জিনিসপত্রের সম্মুখে মাথাটা ঠেকিয়ে দেয় এভাবে ? আবার সাহায্যও চায় ! করজোড়ে মিনতি করে ! স্রষ্টা ডাকে, স্রষ্টার অংশিদার ভাবে । এ- কীভাবে সম্ভব! নিজের বানানো জিনিসটাকে নিজেই....আবার কিছুদিন পর আরো কিছু বানায় ,সেগুলোকে ফেলে দেয় পানিতে । বিসর্জন দিয়ে দেয় । আবার তাদের সামনেই নত হয়ে পড়ে ! নাহ , এসব কিচ্ছু তাঁর মাথায় ঢুকছে না । এসব কী হচ্ছে ! এসব কীভাবে স্রষ্টা হয় !! সত্যটা কী তা খুঁজতে হবে । আসোল স্রষ্টাকে তা জানতে হবে । আমাকেই খুঁজে বের করতে হবে তা— এই তাঁর ভাবনা , এই তাঁর ইচ্ছে। সত্যের খোঁজে উতলা আজ তাঁর মন-মনন । সারাক্ষণ সারাদিন তার মগজের ভাঁজে ভাঁজে বিপুল ভাবনা! সেই ভাবনার উঠোনের পিঠে যেনো সর্বক্ষণ তাগড়া ঘোড়ার দৌড়াদৌড়ি! যেখানেই যান তিনি স্রষ্টাকে খোঁজেন ,তাঁর উপস্থিতি ,তাঁর অস্তিত্ব অনুসন্ধান করেন । দিন যায় সাঁঝ আসে । বিকেল গড়িয়ে নামে সন্ধ্যে । তাঁর ...