|| গল্পে গল্পে রাগ নিয়ন্ত্রণ ||

এলাকায় যদি সৎ ও ভালো ছেলে বলে কেউ থেকে থাকে তবে এক কথায় হৃদয় ছেলেটা প্রথম ক্যাটাগরীতে। কেউ কখনো তাঁকে কোনো অসামাজিক-অশালীন কার্যকালাপে দেখে নি। ইদানীং একটু বিগড়ে গেলেও আবারো সে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছে বেশ। আগে অল্পতেই তেতে যেতো। রাগের মাথায় কাকে কী বলতো হুঁশ থাকতো না। এই বিষয়টা এখনো ছাড়তে পারে নি সে। বাসায় রাগ করলে তো কথায়ই নেই। কাঁচের গ্লাস, স্টীলের বাটি, প্লাস্টিকের ঝুঁড়ি -সব এক আ ছাড়ে নিমিষেই চুরমার করে ফেলে। এতে করে তার রাগ নাকি হালকা হয়। আ জো কী একটা কারণে এ কাজটাই করলো সে। পাশের গ্রামের তানিম। বেশ নামডাক আ ছে ভালো ছেলে হিসেবে। আ সোলে যতোটা নামডাক আ ছে, তানিম সেই নাম ডাকের চেয়েও শতোগুণ বেশিই ভালো বলে মনে করে হৃদয়। হৃদয়ের জীবনের মোড় পরিবর্তনের অন্যতম দিকপাল এই তানিম। ছেলেটার মুখে কুচকুচে কালো চাপ দাড়ি। ঘন গাঁঢ়ো মাথাভর্তি কোঁকড়ানো কালো চুল। মাঝেমধ্যে ধবধবে শাদা একটা টুপি থাকে মাথায়। প্যান্টটাও পরে গোড়ালির ওপর ভাঁজ করে। অবশ্য সে প্যান্ট আ জ ক'বছর গোড়ালির ওপরই সেলাই করে। কিনলেও বাড়িতে আ নার আ গে হোসেন দর্জির কাছে সেলাই করে নিয়ে আ...