Posts

Showing posts from September, 2021

শুধুই তোমাকে চাই...

Image
এতোটা ভালো কাউকে বাসিনি, যতোটা তাকে বেসেছি। এতোটা আপন কাউকে ভাবিনি যতোটা তাকে ভেবছি। রাতের পর নিদ্রাহীন কাটিয়ে দিয়েছি শুধুই তার জন্য। তাকে পাবার জন্য। তাকে ভালোবাসার জন্য। ভুল বুঝাটা বিদূরিত করে তাকে বোঝাবার জন্যে। তাকে সারাজীবন নিজের কাছে রাখবার জন্য। কিন্তু কোনো উপোয়ে, কোনো মাধ্যমে, কোনোভাবেই সে বুঝতে চায়নি। বুঝেনি। কোনোভাবেই সে আমাকে পাত্তা দেয়নি। গোনায় ধরেনি। মোটেও মূল্যায়ন করেনি। তার অব্যাহত অবহেলায় আমার চক্ষুদ্বয় হতে অনবরত ঝরেছে অশ্রু-শ্রাবণ। আমার এই অনবরত অশ্রুপাতন তাকে টলাতে পারেনি। আমার ব্যথাহত মনের ভেতর থেকে বেয়ে পড়া অশ্রুবৃষ্টি তার কাষ্টকঠিন মনটাকে গলাতে পারেনি। আমি সবভাবেই তার কাছে ব্যর্থ। পরাজিত। সবভাবেই... রাতজাগা অসংখ্য সব স্মৃতিগুলোকে আমি বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছি। ভালোবাসাটাকে সতেজ রাখতে চেয়েছি। কিন্তু সে বাঁচতে দেয়নি সুখের স্মৃতিগুলোকে। প্রীতিগুলোকেও। কিন্তু আমার সকল চেষ্টা, আমার সকল তদবির, আমার সকল অনুনয়- বিনয় তার কাছ থাকে প্রবলভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। আমি তার কাছে কিছুই চাইনি। কোনো স্বার্থ হাসিলের ধান্ধা করিনি। শুধুই তাকে চেয়েছি। শুধুই তাকে! তার ভালোবাসাকে। তাকে নিয়ে মনে...

//বিয়ের প্রস্তাব ও কিছু কথা//

Image
কোনো একজন মানুষকে ভালো লাগা, কোনো একজন মানুষকে পছন্দ হওয়া, কোনো একজন মানুষের কোনো একটা আচরণ কিংবা গুণাবলিতে তার প্রতি হৃদয়টা ঝুঁকে পড়া আসলে নিতান্তই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। কোনো অন্যায় কিংবা অপরাধের বিষয়ও না তা। যেহুতু আমরা মানুষ, রক্তে-মাংসে গড়া দেহ আমাদের। সেহেতু আমাদের মানুষ হিসেবে মানুষের প্রতি ভালোলাগা-ভালোবাসা কাজ করতেই পারে। এই স্বাভাবিকতাকে কোনো ধর্ম, কোনো মতভেদ, কোনো বিজ্ঞান-ই অস্বীকার করেনা। করতে পারেনাও। করার সুযোগও নেই। ইসলামের মূল সূত্র আল-কুরআন। এই মহাগ্রন্থটিই আমাদেরকে জানাচ্ছে যে—নারীদের মধ্য থেকে যাদেরকে তোমাদের ভালো লাগে, যাদের কথা তোমাদের মনে পড়ে, যাদের চিন্তা তোমাদের মনের উঠোনে উঁকিঝুঁকি দেয়, তাদেরকে তোমরা তা জানিয়ে দাও তথা ভালোলাগার বিষয়টা বলে দাও। বিয়ের প্রস্তাব করো। এটা দোষের কিছু নয়। যেমন পবিত্র কুরআনে এসেছে— “ ... বিয়ে করার ইচ্ছে ইশারা-ইঙিতে প্রকাশ করলে, অথবা মনের কোণে লুকিয়ে রাখলে কোনো ক্ষতি নেই। আল্লাহ জানেন তাদের চিন্তা তোমাদের মনে জাগবেই”। ( সুরা বাকারা : ২৩৫ ) এরপরেই কুরআন বলছে দেখো, তোমাদের ভালোলাগা, তাদের প্রতি দুর্বলতা আশাটা স্বাভাবিক। আল্লাহ তোমাদের মন...

"নাস্তিকতা বিরোধী মুসলিম দা'ঈ থেকে মুরতাদ : যুক্তি-প্রমাণ এবং আল্লাহর নির্দেশনা"

Image
নাস্তিকতার বিরুদ্ধে কাজ করতো ভাইটি। নাম তার আহমদ আল উবায়দুল্লাহ। ইসলামকে অন্যান্য ধর্মের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের জন্যে পরিশ্রমী লেখাজোঁখাও করতো দেদারছে। আরিফ আজাদ-সামছুল আরেফিন শক্তি ভাইদের সাথে বিভিন্ন পেইজে-ওয়েবসাইট-ব্লগে লেখালেখিও করতো প্রায় নিয়মিতই। এবারে সমকালীন প্রকাশনী থেকে "জবাব" নামক বইতেও তার লেখা ছিলো। আমি নিজেও পড়েছি সে লেখা। কিন্তু এখন জানতে পারলাম সেই মেধাবী লেখক ছেলেটা মুরতাদ হয়ে গেছে। ত্যাগ করেছে ইসলাম। মুসলিম হিসেবে ছেলেটি মাদখালি মাসলাকের ছিলো। সে হিসেবে তার ভেতর নাকি বিনয় ছিলোনা। দেওবন্দিদেরকে তার শায়খদের মতো প্রায় মুশরিকি আকিদার মানুষ হিসেবেও নাকি ট্রিট করতো। বুঝা যাচ্ছে আকিদা-আমলের ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ সহীহই ছিলো। অথচ এখন সে আজ দ্বীনের আঙিনা থেকে ছিঁটকে গিয়ে এখন সে খ্রিস্টবাদের খপ্পরে পড়েছে। সে কি ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব জানতোনা? বুঝতোনা? না বুঝেই কি খ্রিস্টবাদ-নাস্তিকতাবাদের বিরুদ্ধে লিখেছিলো? অবশ্যই না! কিন্তু তবুও তাকে মুরতাদ হতে উৎসাহ দিয়েছে কিসে? তার অহংকারী উগ্র নফস। আসলে একজন দা'ঈর, একজন ইসলামি আদর্শ প্রতিষ্ঠাকাঙ্ক্ষি কর্মীর, একজন মুসলিমের এসব অতি-যু...

|| ইমাম মওদূদী রহঃ: কালোত্তীর্ণ চিন্তা নায়ক ||

Image
  শতাব্দীর অন্যতম আলোচিত-পর্যালোচিত-সমালোচিত গুরুত্বপূর্ণ মুজতাহিদ , মুজাদ্দিদ , আলিমেদ্বীন ইমাম সাঈয়িদ আবুল আ ' লা মওদূদী (রহঃ) আজকের এই দিনে (২২ সেপ্টেম্বর , ১৯৭৯) মৃত্যু বরণ করেন । একটা চমকিত বিষয় হচ্ছে সাঈয়িদ মওদূদী (রহঃ) এই একই মাসের ২৫ তারিখেই জন্ম গ্রহণ করেন ভারতের হায়দারাবাদে। ওনার বাবা মাওলানা আহমদ হাসান। ভারতে তাঁর পূর্বপুরুষেরা আসেন আফগানিস্তান থেকে। পরিবারেই ওনার প্রাথমিক শিক্ষা । উস্তাদ মওদূদী রাহিমাহুল্লাহ ছিলেন অত্যন্ত ধীমান। মেধাবী। প্রখর-শাণিত-ধারালো এবং খুবই সুগভীর স্বচ্ছ চিন্তার অধিকারী। তিনি মাত্র পনেরো বছর বয়সে বিজনোর পত্রিকায় সাংবাদিক হিশেবে কাজ শুরু করেন। ১৯২০ মাত্র সতেরো বছর বয়সেই তিনি সম্পাদক হন তাজ পত্রিকার । ভারতের জগদ্বিখ্যাত ইসলামি বিদ্যাপিঠ দারুলউলুম দেওবন্দের মুখপাত্র ' আল জামিয়াহ ' পত্রিকার সম্পাদক হিশেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়েছিলেন ১৯২৫ সালে। ১৯৩৩ সালে তিনি নিজেই “ তরজুমানুল কুরআন ” নামক পত্রিকা প্রকাশ শুরু করেন। সেই পত্রিকার পাতায় তাঁর ক্ষুরধার লেখনীর সাথে পরিচিত হন দক্ষিণ এশিয়ার কিংবদন্তিতুল্য মুসলিম কবি ও দার্শনিক আল্লামা ইকবাল (রহঃ)...