আল মাহমুদের গদ্য ও সাংবাদিকতা

এক. কোলাহলপূর্ণ ও গ্রামীণ সংস্কৃৃতির সম্মৃৃদ্ধ জনপদ থেকে উঠে এসে বাংলা কাব্য জগতের শীর্ষে আরোহন করেছিলেন কবি আল মাহমুদ। বৈচিত্রপূর্ণ নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে শৈশব কৈশোর যৌবন পেরিয়ে পরিণত বয়সে উন্নীত এই কবির জীবনের প্রতিটি অধ্যায় ছিল সৃজনশীল কর্মযজ্ঞে ভরপুর। পঞ্চাশের দশকে বাংলা কবিতার ভূবনের আল মাহমুদের যাত্রার বিষয়টি অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। আর যেভাবে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘লোক লোকান্তর’, দ্বিতীয় কাব্য ‘কালের কলস’ এবং আলোচিত কাব্যসৃষ্টি ‘সোনালী কাবিন’ আর কবির মতে শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘মায়াবি পর্দা দোলে উঠো’ কাব্যসাহিত্য রসিকদের মধ্যে আলোড়নের ঢেউ তুলেছিল, তেমনিভাবে প্রথম গল্পগ্রন্থ পানকৌড়ির রক্ত, সৌরভের কাছে পরাজিত বা গন্ধ বণিক বাংলা কথাসাহিত্যে আল মাহমুদের নতুন এক অভিযাত্রাকে অবারিত করে দিয়েছিল। বাংলা কথাসাহিত্যে আল মাহমুদের এই অবস্থানবৃক্ষে গভীরতর শেকড় বিস্তৃত করেছে, ‘উপমহাদেশ’, ‘কাবিলের বোন’, ‘ডাহুকি’ আর আত্ম জৈবনিক উপন্যাস ‘যে ভাবে বেড়ে উঠি’, ‘বিচুর্ণ আয়নায় কবির মুখ’ বা ‘যে পারো ভুলিয়ে দাও’ এর মতো অসাধারণ সৃষ্টি। দুই. ষাটের দশকে কবি আল মাহমুদ কার্যকর সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। ...