Posts

Showing posts from November, 2020

|| জীবন-উদ্দেশ্যের খোঁজে ||

Image
জীবনের কোনো গতি নেই। পাচ্ছি না। জড়তা-সংকোচও কাটছে না। কিছুই ভালো লাগে না। কতো কিছুই করতে চাই, কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। আলস্যের আখড়া যেনো আমি। কবি মতিউর রহমান মল্লিক রহঃ তাঁর একটা কবিতায় বলেছেন, "জীবনের মানে হলো তার কাঁটার বেড়া ভেঙে ফেলা......" নাহ! আমার তো কোনো কাঁটার বেড়া নেই। কী ভাঙবো আমি? ভাঙার তো কিছুই নেই! কিছুই যেহেতু নেই, তবুও এমন লাগছে কেনো? এই আবার কেমন জীবন! এ- আবার কেমন অনুভূতি! কী করবো! এলোমেলো সব ঝড় চলে মগজের ভাঁজে ভাঁজে.... বুকের খাঁচায় আটকানো "সুখ" নামক পাখিটা নেই। কোথায় গেলো সে? কোথায় পাবো তাকে? আমার স্বপ্ন, আমার সাধনার শোচনীয় পরাজয় ঘটিয়েছে কে! এখন আর কেনো কোনো স্বপ্ন দেখি না। কাউকে কোনো স্বপ্নও দেখাই না! কাউকে নিয়ে কোনো স্বপ্ন দেখতেও চাই না! কিন্তু কেনো? জীবনের, যৌবনের, ক্যারিয়ারের, পরকালের —কোনোদিকেই মন নেই। মন-সাগরের সব ঢেউ আজ থমকে গেছে। কোনো ঢেউ নেই। গর্জন নেই। তর্জন নেই! অথচ তা তো ছিলো! খুব বেশিই ছিলো ! কিন্তু আজ আর কিচ্ছু নেই ! একেবার কিচ্ছু .... আজ আর মন থেকে কেনো আমি কিছুই ভাবতে পারছি না। ভাবি না! ভাবনায় আসছেও না। সুস্থ চোখ। দিব্যদৃষ্টি।...

||সফল হলো সে, শুদ্ধ হলো যে||

Image
  নিজের ওপর নিজের প্রচণ্ড ঘৃণা হয়! নিজেকে নীরবে নিঃশেষ করে দিতে ইচ্ছে হয়। ভীষণরকম ইচ্ছে হয়!  নিজের চুলগুলো ছিঁড়ে ফেলতে মন চায়! আমার যে ভয়ানক অকৃতজ্ঞ নাফস আছে— সে নাফসকে খুন করে দিয়ে পরিতৃপ্ত হতে পারলে আমি জগতের সবচেয়ে বেশি খুশি হতাম। পরিতুষ্ট হতাম। পরিতুষ্ট মানব হিশেবে খুশির ফোয়ারা বইতো জীবনে আমার। অন্তত পক্ষে আমার নষ্ট নফসের ডানাটাকে যদি ধরতে পারতাম আমি! এই নষ্ট নফসের নাফসের ডানাটাকে যদি একটিবার ছুঁতে পারতাম!  ধরে-ছুঁয়ে যদি সেই ডানাটা ভেঙে চুরচুর করে অনন্ত জীবনের জন্যে থামিয়ে রাখতে পারতাম, তা হলে জগতের সব আলোর বন্যা ঢেউয়ে ঢেউয়ে আছড়ে পড়তো আমার হৃদয়-কন্দরে ... এই যে এত এত ভাবনা, এত এত কল্পনা, এই ভাবনা-কল্পনাগুলোকে তো আমি বাস্তবে রূপান্তর করতে পারছি না! এমন জীবন-যৌবন আমি চাই না, যে জীবন যৌবন আমাকে আমার রব্বুল আলামীনের পথ থেকে দূরে নিয়ে যাবে!  অথচ আমার ক্ষেত্রে তেমনটিই হচ্ছে।  আমাকে নিরেট অকৃত্রিম এক অকৃতজ্ঞ বান্দা বানিয়ে দিচ্ছে এ জীবন..... আমি মোবাইলটা হাতে নিই, নেট অন করি। কিছুক্ষণ এলোমেলো ঘুরে ফিরে চলে যাই পাপের জগতে।  পাপের সমুদ্রে ডুবে ডুবে ডুবুরি...

শান্তির সন্ধানে

Image
        বুকে বাজছে ব্যথার বিন। খুব বেশিই চিন চিন করছে। ব্যথা করছে। একেবারে মধ্যিখানেই। আমার না কেবলই কান্না আসছে। চিৎকার করে কান্না আসছে। খুব করে কাঁদতে  ইচ্ছে হয়। কিন্তু  আমি তো ছেলে, আমার কাঁদতে নেই। ছেলেদের নাকি কাঁদতে হয় না। নিয়ম নেই। ছেলেদের নাকি চোখের পানি ঝরাতে নেই। ছেলেদের চোখের অশ্রুতে বুক ভাষাতে নেই। তবে রাতের আঁধারের আবরণে নিজেকে ঢেকে চুপি চুপি বালিশ ভাসানোর নিয়ম আছে। তবুও চারপাশকে জানতে দিতে নেই। একটা ছেলে শতো চাপে পড়ে পিষ্ট হয়ে যাক; তবুও চারিপাশকে কিছুই বলতে নেই। জানাতে নেই। জানতে দেওয়া উচিত নয় ।   ক্ষুদ্র এই বুকের ভেতর মাঝে মাঝে কী ঝড়টাই না বয়ে যায়, সকাল-সাঁজে। রাত-বিরেতে। বুকের খাঁচাটা ভেঙ্গে ভেঙ্গে মিসমার হয়ে যাক। সুখ নামক বস্তুটি হাওয়া হয়ে হারিয়ে সুদূরে চলে যাক —  কাউকে বলতে নেই। কাউকে বোঝাতে নেই। আচ্ছা, আমার এতো দুঃখ কেন? কেন কষ্টের সাথে আমার এতো বেশি মোলাকাত ? কষ্টটা বারেবার কেন আমায় কোলে নেয়!! এই বুকে বয়ে চলা কষ্টগুলো যদি পানি হতো, তা হলে সারাটা পৃথীবিকে তা ভাসিয়ে দিতো! কষ্টগুলো যদি আগুন হতো, তাহলে তা সারাটা পৃথ...