Posts

Showing posts from July, 2021

।। বলবো সদা 'ইন শাআল্লাহ' ।।

Image
আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ও’সাল্লাম চিন্তিত। ভীষণ চিন্তিত! ভীষণ!! মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত প্রায়। মুশরিকরাও তাঁকে নিয়ে যেনো উপহাসের ঢালি সাজিয়ে বসেছে। আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বার্তাও আসছে না তাঁর কাছে। আসছে না জিবরাঈল আলাইহিস সালাম কোনো প্রকার ওহী নিয়ে। একদিকে মক্কার কাফির-মুশরিকদের অব্যাহত ঠাট্টা বিদ্রুপ, অন্যদিকে আল্লাহর পক্ষ থেকে ওহী আসা বন্ধ— এভাবেই চলতে লাগলো দিন। যেতে লাগলো সময়। একটানা পনেরো দিন অতিক্রান্ত হবার পর আল্লাহর তরফ  থেকে নবী ﷺ-এর কাছে জিবরাঈল আলাইহিস সালাম হাজির হলেন ওহীসহ। দূর হলো আল্লাহর রাসুল মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ও’সাল্লামের পেরেশানি ও অস্থিরতা। আচ্ছা, কেন এমনটা হলো আমাদের প্রিয় নবীর (সা.) সাথে? এর কারণ হচ্ছে— আল্লাহর রাসূল যখন ইসলামের সুমহান বাণী যখন মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছেন, ঠিক তখন থেকেই মুশরিকরা তাঁকে নানাভাবে নিবৃত করার প্রচেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের কোনো প্রচেষ্টা, কোনো প্রলোভনেই তিনি সাড়া দিলেন না। এই যখন অবস্থা, তখন তারা আল্লাহর রাসূলকে থামিয়ে দেবার উদ্দেশ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক সাপোর্টের জন্য দ্বারস্থ হলো ইয়াহুদিদের। ইয়াহুদিদের কাছে...

প্রাধান্য পাবে যে.....

Image
    মানুষগুলো যখন চূড়ান্ত গোমরাহি আর ভ্রষ্টতায় নিমজ্জিত , ঠিক তখন-ই আল্লাহ সুবহানাহু ও ’ তাআলা মানুষকে সতর্ক-সচেতন করার জন্যে , ভ্রষ্টতার পথ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্যে পাঠালেন রহমাতাল্লিল আলামিন মুহাম্মাদ স্বল্লালাহু আলাইহি ও ’ সাল্লামকে। আল্লাহ সুবহানাহু ও ’ তাআলা তাঁকে এই বিষয়টিই পবিত্র কালামুল্লাহর মাধ্যমে জানিয়ে দিয়ে বলেন —“ আর হে নবি , আমি তোমাকে পুরো মানবজাতির জন্য সুসংবাদদাতা এবং ভীতি প্রদর্শনকারী হিসেবে পাঠিয়েছি ” ।     আর তিনিও তাবলিগ-তা ’ লিম-তরবিয়তের মাধ্যমে মানুষকে সঠিক পথে নিয়ে আসার অদম্য চেষ্টা করে যেতে লাগলেন। প্রতিদিনই তাঁর তাবলিগ-তা ’ লিম চলছেই কোথাও না কোথাও। কোনো না কোনো সভা-সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তিনি মানুষের সামনে বক্তৃতার মাধ্যমে দ্বীনের আলো বিতরণের প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন-ই।   তেমনি একদিন তিনি মক্কায় একটি সমাবেশে মানুষের নিকট ইসলামের দাওয়াত পেশ করে বক্তৃতা করছেন। আর সেই সমাবেশে আল্লাহর রাসুলের সামনে উপস্থিত ছিলো ওতবা ইবনে রবীয়া , আবু জাহল ইবনে হিশাম এবং রাসুলুল্লাহ্ স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চাচা আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিবের...

খাঁটি মুসলমানের পরিচয়

Image
জন্মসূত্রে মুসলিম আমরা। জানি না ইসলামি আচরণ। ইসলামি জীবনধারার দিকনির্দেশিকা। . আমাদের মাঝে অনেকেই স্বলাত কায়িমকারী। পর্দার বিধান পালনকারী। সিয়ামুন্নাহার -ক্বিয়ামুল্লাইলে ব্যস্ত অনেকরই জীবনের দিনলিপি। কিন্তু তবুও আমাদের ভাষার সৌন্দর্য নেই। অন্যকে হাত-মুখ দিয়ে আঘাতে আঘাতে করি জর্জরিত। কলিজা ভেঙে দিই। বুক ভেঙে দিই। স্বপ্ন ভেঙে দিই! আমাদের কাছে আমাদের ভাইবোনেরা নিরাপদ নয়। আমরা-ই তাদের প্রাণ কেড়ে নিই। ধন-সম্পদ লুটে নিই। সম্মান ইজ্জত আব্রু বিনষ্ট করি। . অথচ মহাগ্রন্থ আল-কুরআন ও আল-হাদিস আমাদের মাঝে এখনো জীবন্ত আছে। আছে অপরিবর্তনীয়। এ দুটো বিষয় থেকে অল্প অল্প গল্প করে বাস্তব জীবনে প্রয়োগের প্রচেষ্টা করলে প্রতিটা মানুষ সুপথের সঠিক দিশা প্রাপ্ত হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অগণিত মহামূল্যবান বাণী থেকে শব্দ-বাক্যে ক্ষুদ্র একটা হাদিস উপস্থাপন করা হলো। বর্তমান এই জঞ্জালময় প্রেক্ষাপটে যার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তাটা অপরিসীম! . বিষয়টা হলো এক মুসলমান অপর মুসলমানকে কষ্ট দেয়া হারাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, . اَلْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَد...

\ \জুলুমের স্বীকৃতি—ক্ষমা পাবার পূর্ব শর্ত-০১\\

Image
  তাদের পেছনে এতো এতো পরিশ্রম , এতো এতো দাওয়াত , এতো এতো সতর্ক করার পরেও তারা সু-পথে আসছে না। আল্লাহর দিকে ঝুঁকছে না। মহান মালিক আল্লাহর অবাধ্যতা — শিরক , কুফর পরিত্যাগ করছে না। তা করার কোনো লক্ষণও তাদের মাঝে দেখা যাচ্ছে না। এদের এহেন হঠকারিতায় অন্তরে ভীষণ ব্যথা পেলেন তিনি। হলেন আশাহতও। সর্বশেষ সময়ে তাদেরকে আবারও চিরন্তন মুক্তি ও কল্যাণের পথে আহবান করলেন। এবং বললেন — তিন দিনের ভেতর যদি তারা আল্লাহর আনুগত্যের শামিয়ানায় শামিল না হয় , তা হলে তাদের ওপর আজাব নেমে আসবে। ধব্বংসের দেয়াল তাদের ওপর  খসে খসে পড়বে। তারা পর্যুদুস্ত হয়ে যাবে। বিনাশ হয়ে যাবে।* দিনগুলো যাচ্ছে যথারীতি। আর মাত্র একদিন বাকী। তারা তখন অবধি ছাড়েনি কুফুরির পথ। ধব্বংসের দেয়াল তাদের ওপর হুড়মুড় করে পড়া এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র ! তাই তিনি আগের দিন রাত্রিতে ( দুইদিন অতিবাহিত হবার পর) সেই জনপদ ত্যাগ করেন , অন্যত্র পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্যে।* যেতে যেতে অনেক দূর গেলেন। সামনেই ফোরাত নদী। উঠতে হবে নৌকায়। উঠলেনও তিনি। চলতে লাগলো নৌকাটি। কিছু দূর যাবার পর প্রবল ঝড়-তুফান আসে। এতে নৌকাটি ডুবে যাবার লক্ষণ প্রকাশ পায়। কী করা য...

|| জুলুমের স্বীকৃতি—ক্ষমা পাবার পূর্ব শর্ত-০২||

Image
  জান্নাত মানেই এক মনোরম-মনোহর স্থান। নয়নাভিরাম সুখ-সমৃদ্ধি ও প্রশান্তিতে ঘেরা এক চমৎকার চির সবুজ জায়গা! যেখানে কোনো ক্লেশ নেই। হতাশা নেই । অপ্রাপ্তির হাহুতোশ নেই। আর সেই জান্নাতেই আল্লাহ সুবহানাহু ও’তাআলা পৃথিবীর প্রথম মানব-প্রথম নবি আদম আলাইহিস সালামকে স্থান দেন। তিনি একা। এটাই তাঁর সবচাইতে বড়ো অপ্রাপ্তি। তাঁর কোনো সঙ্গী নেই। সহচর নেই। পার্টনার নেই। কিন্তু আল্লাহ রব্বুল আলামিন তাঁর এই অপ্রাপ্তিটা বুঝলেন। এই অপ্রাপ্তিটাও অবশেষে বিদূরিত করে দিলেন। তাঁর-ই প্রাণ থেকে সৃষ্টি করলেন তাঁর স্ত্রী, জীবন সাথি হাওয়াকে।[ আল-কুরআন-০৪/০১] এতে তাঁর প্রাণোচ্ছলতা যেনো আরো বেড়ে গেলো। তাঁর আনন্দ-উদ্দীপনা ও সুখ শান্তি-স্বস্তি যেনো দ্বিগুণ হলো। অতঃপর আল্লাহ সুবহানাহু ও’তাআলা তাদেরকে একটি নির্দেশনামা প্রদান করলেন। তিনি বললেন— “ হে আদম! তমি এবং তোমার স্ত্রী উভয়ে মিলে জান্নাতেই থাকো। যা খুশি খাও। কিন্তু খবরদার,ঐ গাছটি নিকটেও যেয়োনা! সেটার ফল খেয়ো না। যদি খাও, তা হলে তুমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবে”। [ আল-কুরআন-০২/৩৫] এই নির্দেশনা মেনে খুব সুখেই এখন তাঁরা দু’জন মিলে স্বর্গীয় জীবন উপভোগ করতে লাগলেন। অভিশপ্ত ...