Posts

Showing posts from June, 2022

রূহ ও কলব : স্বরূপ ও প্রকৃতি

Image
রূহ শব্দটি আরবি। এটি একবচন। বহুবচনে আরওয়াহ। যার বাংলা হলো আত্মা বা প্রাণ। এই যে সুন্দর এক পৃথিবী, আমরা যে এই পৃথিবীতে খুব সুন্দর করে চলাচল করি, এই জীবনকে এত দারুণভাবে উপভোগ করি, এসব পারি কেন? পারি এই রূহ বা আত্মার জন্যই। রূহ-ই আমাদের জীবন্তসত্তা। এটা এমন এক অশরীরী বস্তু, যা মানুষের দৃষ্টিগোচর হয়নি। হবেও না। পবিত্র কুরআনুল কারিমে রূহ শব্দটি অনেকবার এসেছে। আল্লাহ রূহ সম্পর্কে বলেন, ‘অতএব যখন আমি তাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেবো এবং তার মধ্যে আমার রূহ ফুঁকে দেবো, তখন তোমরা তার জন্য সিজদাবনত হও।’ (সূরা সোয়াদ : ৭১-৭২) আল্লাহর রাসূলের কাছেও এই রূহ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো। জবাবে আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সা. কী বলেছেন, সেটার বিষয় আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবিবকে কী জানিয়েছেন, তা পবিত্র কালামুল্লাহতে এভাবেই এসেছে- “তারা আপনার নিকট রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। আপনি বলে দিন, রূহ আল্লাহর একটি আদেশ মাত্র।” (সূরা বনি ইসরাইল : ৮৫) রূহ সম্পর্কে এরচেয়ে বেশি কিছু কুরআন বা ইসলাম আমাদের জানায় না। কোনো তাত্ত্বিক আলোচনাও হাজির করে না। তবুও রূহের হাকিকত নিয়ে মানবসমাজে এবং ইসলামী মহলেও মতবিরোধ আছে। এই রূহের পাশাপাশি আল্লা...

"আলিমরা কি সবকিছুকেই হারাম হারাম ফতোয়া দেয়?"

Image
০১.  এখানে আমি একটা গল্প দিয়ে বিষয়টা শুরু করতে চাই। সেটা হচ্ছে —একটা টীমের বলাররা বা একজন বলার নিয়মিত নো-বল করে। ওয়াইড বল করে। এখন আম্পায়ারও প্রতিবারই নো-বল বলে তার ডিসিশন জানায়। তখন উক্ত প্লেয়ার আম্পায়ারের ওপর চেতে গিয়ে বা রাগ করে বলে যে— শুধু নো-বল নো-বল ডিসিশন দিয়ে (পড়ুন, শুধু হারাম হারাম ফতোয়া দিয়ে) দায়িত্ব শেষ করেন ক্যান? বিকল্প দেন না ক্যান? বিকল্প দেন। শুধু হারাম হারাম বলা ছাড়া (নো-বল সিদ্ধান্ত দেওয়া ছাড়া) আর কিছুই তো করেন না আপনারা বা আপনি। উক্ত ভদ্র(!) প্লেয়ার এটা বুঝেতে চেষ্টা করেনা যে, আম্পায়ারের দায়িত্ব তাকে বা তার টীমকে বিকল্প দেওয়া নয়। আম্পায়ারের কাজ হচ্ছে যে খেলতে নেমেছে মাঠে, এরপর বল হাতে বল করতেছে, তা কী আইসিসির নিয়মানুযায়ী হচ্ছে নাকি হচ্ছে না— তা খেয়াল রাখা। তার বল নিয়ম অনুযায়ী হলে ভালো। না হলে আম্পায়ার নো-বলই দেবে। এটাই আম্পায়ারের মূল এবং নৈতিক দায়িত্ব! বরঞ্চ আম্প্যায়ার যদি মূল দায়িত্ব পালন না করে, নো-বল করার পরেও ডিসিশন না দেয়, তাহলেই বরং আম্পায়ারের সমালোচনা করা উচিৎ ছিলো। কিন্তু যে নিয়মিত নো-বল করতেছে, যে নিয়মিত নিয়ম লঙ্গন করতেছে, এটা ঠিক না করে সে দোষারোপের দল...

পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন.........

Image
  ০১. কী ঘৃণিত অন্যায় আর পাপাচারই না সংঘটিত হতো তৎকালীন সেই সমাজে ! কোথাও ছিলো না একটুখানি সুখ-স্বস্তি। এক ইলাহকে ছেড়ে বহু মিথ্যে ইলাহের উপাসনা ছিলো সে সমাজের ধর্মীয় চিত্রকল্পের নিত্যরূপ। স্বয়ং বাইতুল্লাহতেও মূর্তি পুজার পশরা সাজিয়ে বসেছে মুশরিকরা। দয়াময় আল্লাহর নাফরমানিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত থাকাটাই ছিলো তাদের সংস্কৃতি। আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি বলে যে একটা বিষয় থাকার কথা ছিলো, সেটা তো ছিলোই না, বরং আইন ছিলো রাজা-বাদশাহদের হঠকারিত, খেয়াল-খুশি। তারা চাইলেই যা খুশি করতে পারতো, এবং করতোও। সোজাকথায় এই রাজা-বাদশাহরা প্রভুত্ব বিস্তার করে বসে ছিলো মানুষের ওপর। জনগণের সাথে ছিলো তাদের যোজন যোজন দূরত্ব। তাদের কাছে তারা-ই ভিড়তে পারতো, যারা ছিলো চাটুকার। যারা ছিলো সম্রাটের তোষামোদকারী ও পদলেহনকারী। আর এসব তোষামোদকারী, চাটুকারী এবং পদলেহনকারীরা ছিলো চূড়ান্তরকমের মদ্যপ। মদপান করে মাতলামিতে ডুবে থাকা, কিংবা অশ্ললতায় ডুবে থাকাটা ছিলো তাদের কাছে বিনোদনের প্রধানতম কয়েকটি উপাদানের একটি। নৈতিকতার কোনো বালাই ছিলো না। অনৈতিকতার মুখে কোনো লাগাম ছিলো না। তাদের যতোটা মন চাইতো ততোটা বিয়ে করতে পারতো। এমনকি বিয়ে ছাড়াও...

"এক নজরে ইসলামি আন্দলনের মহান নেতা শহীদ মুরসি রহিমাহুল্লাহ"

Image
নাম :  মুহাম্মাদ মুরসি ইসা আল-আইয়াত জন্মেছেন :  ৮ আগস্ট ১৯৫১ পড়াশোনা :  তিনি ছোট্টবেলায় কুরআন হিফজ করেন। ১৯৭৫ সালে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি অর্জন করেন। এবং ১৯৭৮ সালে ধাতব প্রকৌশল বিভাগে এমএস ডিগ্রি অর্জন করেন। পিএচডি অর্জন :  ১৯৮২ সালে ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডের ওপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। পেশাগত জীবন :  ১৯৮২ সালে ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে । দেশে ফেরা :  ১৯৮৫ সালে দেশে ফেরেন। এবং জাগাজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০১০ সাল অবধি উক্ত পদে বহাল থাকেন। বৈবাহিক বন্ধন :  শহীদ মুরসি ১৯৭৯ সালে নাগলা আলী মাহমুদকে বিবাহ করেন। তাঁদের ছিলো পাঁচজন সন্তান। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন :  তিনি সর্বপ্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ২০০০ সালে। রাজনৈতিক শাখার প্রধান :  ইখওয়ানুল মুসলিমিন তাদের রাজনৈতিক শাখা ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (এফজেপি) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করলে শহীদ মুরসি ২০১১ সালে সেই দলে...