নিয়তের বিশুদ্ধতা ও মানুষের মূল্যায়ন

খুব নিষ্ঠা আর আন্তরিকতার সাথে, ভীষণ বিনয় আর ভালোবাসার সাথে, খুব আবেগ আর উদ্দীপনার সাথে অনেকগুলো কাজ করি। যেগুলোতে দুনিয়াবী কোন চাওয়া পাওয়া থাকে না। যেগুলো খুব নির্জনে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যেই একেবারে নিবেদিত প্রাণ হয়ে করতে হয়। যেগুলোতে আমার দিনরাত একাকার করা পরিশ্রমের অজস্র প্রাণ বিদ্যমান থাকে। যেগুলোতে আমার মেধার সর্বোচ্চ বিনিয়োগ থাকে। যেগুলোতে আমার সুপ্ত-স্বপ্নের অজস্র ডালপালা থাকে, তবুও সেগুলো নিয়ে আমি দুনিয়াবী কোনো বিনিময় তো পাই-ই না, বরং অনেক সময় কতো কতো কাছের মানুষজনও আমার সেই পরিশ্রমের পাতাগুলো স্বাভাবিক চোখে দেখেন না বিধায় অনেক কটুকথা বলেন, অনেক অবমূল্যায়ন করেন। কেউ কেউ তো এককাঠি সরেস হয়ে অপবাদ দিতেও কুন্ঠিত হয় না। এমন নিরবিচ্ছিন্ন নিরিবিলি একনিষ্ঠ কাজের পেছনের কারিগর এই মানুষটিকেই কেউ কেউ কখনো কখনো এমন কিছু কথা বলে, এমন কিছু আচরণ করে—যে কথাগুলোর আঘাতে বুকটা ঝাঁঝরা হয়ে যায়, যে আচরণগুলোর ভার বহন করাটা অনেক দুঃসাধ্য আর দুঃসহ হয়ে দাঁড়ায়। আর তখনই মন চায় সকল কাজবাজ রেখে, আড়ালের তৎপরতাগুলো রেখে আত্মমগ্ন একব্যক্তি হয়ে যাই। নিজেকে নিয়ে ব্যতিব্যস্ত এক অন্যরকম মানুষ হয়ে যাই, য...