"খেলাধুলা এবং আজকের তরুণ ও যুব সমাজ "
যদি জিগ্যেস করা হয় আপনার আমার জীবন-উদ্দেশ্য কী? কেন এই জীবনটা পেয়েছি আমি-আপনি? কোনো সদুত্তর আছে কি? শহুরে মিডল-ক্ল্যাস ফ্যামিলির অধিকাংশের কাছেই নেই। তাদের কাছে কোনো প্যাঁচগোছ ছাড়াই জীবনের মানে হচ্ছে ভোগবাদিতা। আবার অন্যদিকে গ্রামীণ জনপদ কিংবা এরচেয়ে বেটার লাইফ লীডকারী লোকজনের কাছে যা আছে, তা কেবলই জগাখিচুড়ি মার্কা কিছু এলোমেলো চিন্তার বিন্যাস। তবে আশার বিষয় হচ্ছে এই দুয়ের মধ্যবর্তী আমরা যারা আছি, সেই আমাদের অনেকের কাছেই কিন্তু জীবন-উদ্দেশ্য বলুন বা জীবনের মানে বলুন, তার সদুত্তর আছে। এখন কথা হচ্ছে যে, আমাদের যাদের কাছে এর সদুত্তর আছে, তারাও কি সেই উদ্দেশ্য-পূর্ণতায় পৌঁছানোর কাজবাজ করছি?
যদি করেই থাকি, তাহলে খেলাধুলার মতো স্রেফ বিনোদনের একটা বিষয়ের পেছনে মাতালের মতো ছুটছি কেন? কেন নাটক-সিনামার জগতে নিজেকে বিভোর করে রাখছি? কেন অলস-অবধভাবে সময়টুকুকে ক্ষয়ে ক্ষয়ে নিঃশেষ করে দিচ্ছি? আমাকে যখন আমার আল্লাহ, আমার রব্ব এই দুনিয়ায় তাঁর দেওয়া হায়াত নামক নিয়ামতের বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করবেন, তখন আমি কী জবাব দেবো?
মূলত খেলাধুলা হচ্ছে কেবলই বিনোদন কিংবা শরীর চর্চার একটা মাধ্যম। অথচ আজ আমরা সেই খেলাকে নিয়ে কী অদ্ভুত হুলস্থুল কাণ্ডকারখানা করে যাচ্ছি। যেটা কেবলই অবকাশ যাপনের উপকরণ ছিলো, সেটাকে মানুষ এখন ক্যারিয়ার হিসেবেই গ্রহণ করছে। খেলাধুলা অবশ্যই শরীর-স্বাস্থ্য ভালো রাখার, নিজেকে পিট রাখার অন্যতম একটা উপায়। এই যে শরীরকে পিট রাখা, স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখা; এটা কেন প্রয়োজন? প্রয়োজন তো হচ্ছে এইজন্য যে, আমি যেনো আমার সার্বিক জীবনে, আমার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডে ফুল এনার্জি নিয়ে, সুস্থ আর সুন্দরভাবে মনোনিবেশ করতে পারি, সেজন্য।
অথচ আজকে খেলাটাই হয়ে গেছে মানুষের পেশা। মানুষের ক্যারিয়ার। এখন সুস্থ থাকার জন্য খেলে না মানুষ। বরং খেলার জন্যই সুস্থ থাকে। তাদের খাওয়া দাওয়া, জীবনাচরণ ; সবকিছুই যেনো খেলার জন্যই। যারা এটাকে(খেলাধুলা) ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রহণ করছে, তাদেরকেই আজ তরুণ যুবকদের আইডল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। কেন হচ্ছে তা? কখনো তা ভেবেছেন কী? কেন আমরা তাদের স্তুতি আর বন্দনায় মুখর হয়ে আছি? খেলোয়াড়রাই কি মানুষের জীবনের আদর্শ হবেন? একজন মানুষ খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে উঠলে সমাজ সভ্যতার লাভটা কী? একজন খেলোয়াড় চার-ছয় মেরে, গোল-বল করে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করে। মাস শেষে লাখ টাকা বেতন পায়। কিন্তু মানুষ গড়ার কারিগর যিনি, সভ্যতা বিনির্মানের মহানায়ক যারা, সেই শিক্ষক নামক মহান মানবদের, জ্ঞান গবেষণায় নিয়োজিত থাকা গবেষকদের, জীবন বাজি রেখে ভূখণ্ডের জিম্মাদারীর দায়িত্ব পালন করা সেনাবাহিনীর, মানুষের কাছে দীন ধর্মের আলোকে ছড়িয়ে দেওয়া সহজ সরল আলিমগণ থাকেন উপেক্ষিত।
এই যে খেলাধুলা, এই যে মেসি-নেইমার, ম্যারাডোনা-রোনালদো, এই যে বিশ্বকাপ ফুটবল কিংবা ক্রিকেট, বা যাই হোক না কেন, এর পেছনে যে মুসলিম নাম ধারণ করা সাধারণ জনতাই যে কেবল বুদ হয়ে পড়ে আছে তা না। বরং উদীয়মান আলিম নামধারণ করা যুবক, ইসলামপন্থী পরিচয় দেওয়া ছেলে, মাদরাসায় কুরআন হাদিস ফিকহ নিয়ে পড়াশোনা করা তালিবুল ইল্মটিও এসব নিয়ে নিজেদের সীমাহীন আবেগ-অনুরাগ খরচ করে। তারাও অন্যান্য আরো আট-দশজনের মতো করে বাড়ির উঠোনে কিংবা ছাদের ওপর ব্রাজিলের পতাকা টানায়, আর্জেন্টিনার বিজয়ে মিছিল করে, মেসির গোলে উল্লাস করে, নেইমারের কান্নায় অশ্রু ঝরায়, মরোক্কোর জয়কে ইসলামের বিজয় বা মুসলমানদের উপকার মনে করে, দীনের স্বার্থে (!?) সৌদি আরবের ফুটবলাদের পক্ষে করতালি দেয়। হ্যাঁ, এই হচ্ছে মুসলিম যুবক-তরুণদের অবস্থা !
একজন মুসলিমের ওপর পাঁচ
ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ফরজ, অথচ অগণিত তরুণকে দেখেছি এই খেলার টানে
নিজের ফরজ সালাতকে নষ্ট করতে। অনেক সময় মসজিদে জামায়াত চলে, সে
জামায়াতে হাজির না হয়ে ইচ্ছে করেই কাজা করে ফেলে। অথচ মহান আল্লাহ বলেছেন,
“দুর্ভোগ সেই সালাত আদায়কারীদের জন্য, যারা তাদের সালাতের ব্যাপারে উদাসীন।” (সুরা মাউন ৫-৬)
অন্যত্র মহান আল্লাহ বলেন,
“অতঃপর
তাদের পর এলো অপদার্থ পরবর্তীরা; যারা
সালাত নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুসারী হলো, যার ফলে তারা অচিরেই গাই’ (নামক দোযখের এক উপত্যকা) প্রত্যক্ষ করবে।” (সূরা মারয়াম-৫৯)
মুসলিম যুবক-তরুণদের
চিন্তার হালত হচ্ছে এরকম — সতর তরক করা হয়েছে তো কী হয়েছে? গোল করার
পরে, সেঞ্চুরির পাবার পর অথবা কোনো টীমকে হারিয়ে বিজয় অর্জন
অর্জনের পরে একটা সিজদা তো দিয়েছে। এ যেনো ‘চোর হলেও কী হবে, লোকটা ঈমানদার আছে’ টাইপ-অবস্থা। মেসি জিতছে, নেইমার
গোল দিয়েছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ’ এ-রকমটা তো বিসমিল্লাহ বলে মদ খাওয়ার নামান্তর।
আমাদের ভাইয়েরা এটাই খেয়াল রাখে না, যেই খেলায় খেলোয়াড়ের একটা সিজদাহ্ দেওয়া নিয়ে আমি ফেসবুক মাতিয়ে রাখছি, আশপাশকে গরম করে তুলছি, সে উক্ত খেলাতেই কিন্তু হারামের নানবিধ উপায়ের ছড়াছড়ি। হারামের নানান আয়োজন আর উপলক্ষ্য সেখানে। এছাড়া খেলাকে কেন্দ্র করে মারামারি, খুনোখুনি, সময় ও অর্থ নষ্ট, ইবাদাতে মনোযোগের বিঘ্নতা তো আছেই।
কিন্তু আমাদের তরুণেরা সবকিছুকে আড়ালে রেখে হঠাৎ কোনো একজন প্লেয়ার সিজদাহ দিয়েছে, সেই সিজদাহকেই উৎফুল্ল হয়ে ফেসবুকে পোস্ট করার পাশাপাশি বাস্তব জীবনেরও নানান আড্ডায়, নানান কাজে এসব আলোচনায় মাতিয়ে রাখে চারদিক। অথচ এসব সিলি বিষয়ে নিয়ে উন্মাদনা ও মাতামাতির কিছুই নেই। আর এসব নিয়ে পড়ে থাকা কিছুতেই একজন উদ্দেশ্যপূর্ণ প্রাণীর জীবনাচারণ হতে পারে না। এগুলোর কোনোটাই মুসলিম উম্মাহর গর্ব আর বিজয়ে উপলক্ষ্য হতে পারে না। বরং বলতে গেলে এসব বিষয় মানুষের মন-মস্তিস্ক থেকে মৌলিক চিন্তা ও কর্মগুলোকেই কেবল আড়াল করে রাখে। একটু খেয়াল করলেই বুঝা যায় যে, এসব আয়োজন-উদযাপন মানুষের মন-মগজ চিন্তা ভাবনা ও আবেগ অনুভূতিকে ভুল পথেই কেবল চালিত করে। নিজের বিবেকের কাছে একটু সৎ হয়ে, শান্তভাবে আত্ম-জিজ্ঞাসা করলেই বুঝা যাবে যে, এটা কি আদৌও কোনো ব্যক্তির জন্য চূড়ান্তভাবে কল্যাণ আর সফলতা বয়ে আনতে পারে!
০৪. এই যে সদ্য-বিশ্বকাপটা গেলো, এটা নিয়ে আমরা যেরকম বাড়াবাড়ি আর হৈ-হুল্লোড় করলাম, এতে আমরা আদৌও ব্যক্তিগতভাবে কোনো লাভবান হয়েছি কি? কিংবা সামাজিক বা রাষ্ট্রীয়ভাবে? হলেও কতোটুকু হয়েছি? লাভ যদি কিছু হয়েও থাকে, তাহলে সেটা কি যেসব ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছি আমরা, সেটাকে পুষিয়ে দিতে পেরেছে?
এখন, কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন যে, আমি কি খেলাধুলা পছন্দ করিনা? আমি কি বিনোদন কিংবা খেলাধুলার বিরোধী? এক্ষেত্রে কথা হলো, যারা আমাকে চেনে এবং জানে, তারা জানে আমি আসলে বিরোধী কি-না। আমি তো নিজেও মাঝেমধ্যে টুকটাক খেলাধুলা করি। এক সময় বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করতাম। এরপর কখনো ছোটো ভাইদেরকে নিয়ে খেলাধুলার আয়োজন করতাম। এ-সবগুলোর পেছনেই একটা ছোটোখাটো ভালো উদ্দেশ্য ছিলো। কিন্তু আমি বিরোধিতা করতেছি, প্রশ্ন তুলতেছি এটা নিয়ে যে, যেই খেলা কেবলই বিনোদনের মাধ্যম ছিলো, অবকাশ যাপনের উপলক্ষ্য ছিলো, সেটাকে কী করে আমরা জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বানিয়ে ফেলেছি? কেন খেলা নিয়ে সীমাহীন আবেগ অনুরাগের অপচয় করছি। আমি তো মুসলিম। আমার তো মহৎ একটা লক্ষ্য আছে। আমি কীভাবে এসব ছোটোখাটো বিষয়ে, অপ্রয়োজনীয় কিংবা কম প্রয়োজনীয় বিষয়ে নিজ আবেগের অপচয় করছি?
আমি মুসলিম, অথচ আমার বাড়িতে কালিমার পতাকা শোভা পায় না, সেই আমি কীভাবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পতাকা লাগিয়ে বাড়ির ছাদকে সুশোভিত করে রাখি? আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে, খোদাহীনতার বিরুদ্ধে একটা শ্লোগান কখনো তুলিনা, সেই আমি কী করে মধ্যরাতের নির্জনতাকে খুন করে মেসি-নেইমারদের নামে, ব্রাজিল আর্জেন্টিনার নামে শ্লোগান হাকি? আবার যারা ইসলামের জন্য নিবেদিত প্রাণ দাবি করি, তারা কীভাবে নাস্তিক খ্রিস্টানদের নামে শ্লোগান তুলে গলা ফাটিয়ে ফেলি? এগুলো কি আমার সাথে যায়? আমার আবেগ অনুরাগ, আমার মূল্যবোধ কি এতোটাই সস্তা হয় গেছে?জানি না, আমাদের নিজের বিবেকের কাছে আমরা কী জবাব দিই। কতোটা সৎ আমরা নিজের বিবেকের কাছে। আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন।
আমি যেসময় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে মাতামাতি করি, হুবহু ওই সময়টাতে কোথাও না কোথাও এসব আয়োজকদেরই কোনো না কোনো গোষ্ঠী আমার ভাইয়ের ওপর জুলুমের জোয়াল চাপিয়ে দিচ্ছে। আমার শিশুদের হত্যা করছে, আমার বোনদের ধর্ষন করছে, আমার মায়ের বুক খালি করছে, সন্তানকে এতিম করছে। এই তো, ফুটবল বিশ্বকাপ চালাকালীনই তো নয়াপল্টনে আমাদের দেশেই সরকার নিরীহ একজন বিরোধী দলের কর্মীকে খুন করেছে। অথচ আমাদের প্রজন্ম সেটাকে ভুলে গিয়ে খেলার-আবেগের আতিশয্যে ভাসছে। এভাবে আমি যেসময়টায় এসব অযথা কাজে উন্মাদনা প্রকাশ করছি, সেই একই সময় কোথাও না কোথাও আমার কোনো ভূখণ্ড নিয়ে কাফিররা ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। যে সময়ে ব্রাজিলের পতাকা নিয়ে মিছিল করেছি, হয়তো সেই সময়টাতেই জায়নবাদীরা আমার ফিলিস্তিনের ভাইয়ের হাতের পতাকাটা টেনে ছিঁড়ে ফেলছে। আমি যেসময়টাতে ফ্রান্সের বিজয়ে উদ্দীপনা প্রকাশ করছি, হয়তো সেই সময়টাতেই ফ্রান্সের শার্লি-এবদোতে আমার রাসুলকে কটুক্তি করে আবারও নতুন কোনো কার্টুন আঁকার ফন্দি-ফিকির করছে।
এছাড়াও উক্ত খেলাধুলাগুলোতে মানুষ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে তার সতর নির্লজ্জভাবে অন্যের সামনে উন্মুক্ত করে আল্লাহ ও
তাঁর রাসুলের প্রকাশ্যে অবাধ্যতা করে থাকে।
মহিলার সর্বশরীর হলো লজ্জাস্থান। তার দেহের অন্যান্য
অঙ্গও ঢেকে রাখার বস্তু; যা স্বামী ও মাহরাম ছাড়া অন্যের সামনে
প্রকাশ করা জায়েজ নেই। রাসুলে করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেন,
নারী হলো আপাদমস্তক সতর। যখনি সে বের হয়, তখনি শয়তান তাকে চমৎকৃত করে তোলে। (সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১১৭৩)
স্বামী ছাড়া অন্য মাহরাম পুরুষের সামনেও আবার সব প্রকাশ করা
জায়েজ নয় একজন নারীর জন্যে। অনুরূপভবে পুরুষের জন্যে নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে
রাখার বস্তু। মহানবী (সা.) বলেন,
“তুমি তোমার উরু খুলে রেখো না এবং কোনো জীবিত অথবা মৃতের উরুর দিকে তাকিয়ে দেখো না।” (আবু দাউদ, সহীহুল জামে- ৭৪৪০)
এছাড়াও স্বাভাবিকভাবে
অন্যের সামনে বিনা প্রয়োজনে গায়ের জামা-গেঞ্জি খুলতেও একজন সজ্জন, আত্মমর্যদাবান
পুরুষের লজ্জিত হওয়া উচিত। কিন্তু খেলোয়াড় যুবক-যুবতীরা উপরিউক্ত সব কাজগুলোই
করে থাকে। এর বাহিরেও যারা খেলোয়াড় নয়, এমন নারীরাও টাকা কামানের উদ্দেশ্যে দর্শকের বিনোদন দেওয়ার জন্য নিজেদেরকে উলঙ্গ-অর্ধলোঙ্গ
প্রদর্শন তো করেই। টাকার বিনিময়ে এই প্রদর্শনীটা আয়োজকদের পক্ষ থেকেই করা হয়ে থাকে। এসব নির্লজ্জ মানুষগুলো কেন যেনো টাকা কামানোর উদ্দেশ্যে নিজেদের লজ্জাস্থান খুলে দেখাতেও সামান্যতম
সংকোচবোধও করেনা। আবার অন্যদিকে এসব উপভোগ করতে মুসলিম নামধারী
তরুণ-তরুণীদেরও সামান্যতম অনুতাপও আসে না। অথচ আমাদের প্রিয় নবীর শিক্ষা হচ্ছে,
“লজ্জা হলো ঈমানের অন্যতম একটি শাখা।” (বুখারী- ৯, মুসলিম-৩৫)
জানি না, আমরা কি
এসব বিষয় জানি না, নাকি জেনেবুঝেও না-জানার ভং ধরছি। যদি তা-ই হয়ে থাকে, তাহলে আমরা আমাদের রবের কাছেই-বা কী জবাব দেবো, নিজের বিবেকের কাছেই-বা দেওয়ার মতো কী
জবাব আছে ! আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন।
~রেদওয়ান রাওয়াহা
২০.১২.২২ ইং
Comments
Post a Comment