Posts

Showing posts from April, 2023

আপনার যাকাত কাকে দেওয়া উচিৎ?

Image
  আপনার ওপর যদি যাকাত ফরজ হয়ে থাকে, আর আপনি যদি সত্যিই যাকাতের হক আদায় করতে চান, তাহলে আপনার যাদেরকে যাকাত দেওয়া উচিৎ, তারা হলো : • নিকটস্থ আত্মীয় স্বজনের মধ্যে যারা অসহায়। • পাড়াপ্রতিবেশির মধ্যে যারা অসহায়। • এদেশের মাদরাসা ও ইয়াতিমখানাগুলো। • আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে, এমন সংগঠনগুলো। • আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মতো আলিমদের নেতৃত্বে ও পরিচালনায় পরিচালিত সেবামূলক সংগঠনগুলোকে। আত্মীয়-স্বজন ও পাড়াপড়শিকে যাকাত কীভাবে দেবেন? মূলত আপনার আত্মীয়-স্বজন ও পাড়াপড়শিকে যাকাত এমনভাবে দেওয়া উচিৎ যেন তারা আর কখনোই যাকাতের হকদার না থাকে। মানে কখনো যাকাত গ্রহণের মতো উপযুক্ত না থাকে। তার মানে হচ্ছে তাদেরকে একবছরেই যাকাত দিয়ে সাবলম্ভী করে দেওয়া উচিৎ। সুন্দর করে উপার্জন করতে পারে, এমন একটা ব্যবস্থা করে দেওয়া উচিৎ। এভাবে আমরা যদি যাকাতের হক আদায় করে যাকাত দিতে পারি, তাহলে ইন শা আল্লাহ আমাদের সমাজ থেকে, মুসলমানদের মধ্য থেকে দারিদ্রতা দূর হবে। দারিদ্রতার কারণে যেসব পাপগুলো মুসলমানরা করে, সেগুলোর অনেকটাও দূর হবে। তবে মাদরাসা, ইয়াতিমখানা, দীন প্রতিষ্ঠায় কাজ যারা করে বা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর...

প্রথম আলোর আমলনামা

Image
    ০১. আমি সর্বপ্রথম যে বাক্য দিয়ে এই লেখাটি শুরু করতে চাই, সেটা হচ্ছে এই যে প্রথম আলো পত্রিকা, এটি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বদবখ্তদের পত্রিকা। তারা বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের দুশমন। সর্বোপরি তারা খোদার দীনের সুস্পষ্ট দুশমন। আপনারা অনেকেই জানেন কিংবা অনেকেই হয়তো জানেন না, বাংলাদেশে এই প্রথম আলো নামক পত্রিকাই ২০০৭ সালে তাদের পত্রিকায় আল্লাহর রাসূলের (সা.) কার্টুন আঁকার মতো ধৃষ্টতা দেখিয়েছে। আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু এবং আমাদের প্রিয় নবীকে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ করেছে। এ জঘন্য অপকর্মের বিরুদ্ধে সারাদেশে তখন তীব্র আন্দোলনের ঝড় উঠে।  আমি তখন খুবই পিচ্চি ছিলাম। সেবারই আমি সর্বপ্রথম কোনো প্রতিবাদ-মিছিলে অংশগ্রহণ করেছি, মসজিদ থেকে। আর সেদিন ছিল শুক্রবার। সালাতুল জুমার পরে।  তাওহীদবাদী জনতার প্রতিবাদের তীব্রতায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ক্ষমা চায় বাইতুল মোকারামের তৎকালীন খতিব মাওলানা ওবায়দুল হকের কাছে। ক্ষমা করে দেওয়া হয় তাকে।  ০২. ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতার মেয়াদ শেষ করে। কিন্তু আওয়ামী লীগ তখন ভয়ংকর সন্ত্রাসে মেতে উঠে। বিএনপি-জামায়াতের আমলে আগুন ...

"নিরাপদে যাবো জান্নাতে "

Image
শতো ব্যস্ততার বন্দরে নোঙর করে জীবন-তরি। সে-সব ব্যস্ততার ভিড়ে আজ কতোদিন কুরআন-হাদিস ছুঁয়েও দেখতে পারিনা। অথচ আল-কুরআন ছিলো রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লামের হৃদয়ের বসন্ত। হৃদয়ের সেই যে বসন্ত, সে বসন্তের ফুল ফুটেছে তাঁর মুখে। তাঁর সকল কাজেকর্মে। আজ একটু ফ্রি আছি। এতোটা ব্যাস্ততা নেই। জীবনের ওপর স্বস্তির পরশ এনে দিতে একটু অবসরের প্রয়োজন। সালাতে ফজরের সুমধুর আজান-ধ্বনি শোনার পর ঘুম থেকে উঠে শীতল পানিতে পবিত্র হয়ে গিয়ে হাজির হলাম মাসজিদে। শামিল হলাম সালাতুল ফজরের জামায়াতে। সালাত শেষে তানিম আজ সকল মুসল্লিকে সময়-সুযোগ থাকলে বসতে বলেছে। অনেকেই বসেছে। আমিও বসেছি। আমাকে দেখেই তানিম মুচকি হেসে দিয়েছে। ওর কুচকুচে কালো দাড়ি সমেত সুন্দর মুখাবয়বের মুচকি হাসির মিষ্টতা আমার হৃদয় ছুঁয়েছে! তানিমের হাদিস পাঠ শেষ হবার পর আমরা মাসজিদ হতে বের হয়ে চলছি বাড়ির পানে, ভোরের স্বচ্ছ-পবিত্র বাতাসের স্নিগ্ধতা গায়ে মেখে মেখে। আসলে ভোরের যে পবিত্র বাতাস, সেই বাতাসের আদর যখন শরীর ছুঁয়ে দেয় তখন সারাটাদিন মনটা ফুরফুরে থাকে। সতেজ থাকে। সেই সতেজতা বয়ে বেড়ায় সারা দেহের প্রতিটা অঙ্গে অঙ্গে। শিরা-উপশিরায়। রক্তকণিকায়...

বদরের বেদীনেরা আজো থামেনি, বদরের মুমিনেরাও দমে যায়নি

Image
  দ্রোহের স্ফুরণ এই লেখার যে শিরোনামটি দেখতে পাচ্ছেন, এই শিরোনামের মতোই একটা কবিতা তৈরি করেছি ২০১৫ সালে। তখন সদ্য-কৈশোরের বৈতরণী পার করেছি কেবল। কৈশোরের বৈতরণী পার করেই তো মানুষের ঝলমলে তারুণ্যের বারুদমাখা এক জীবনের সূচনা হয়। আমারও তখন ঝলমলে তারুণ্যের এক বারুদমাখা জীবনের সূচনা হচ্ছিলো। মানে আজ হতে আট বছর আগের কথা আরকি। উক্ত লেখাটি তখনই লিখেছি। সে লেখাটা এখন হারিয়ে গেছে যদিও। কিন্তু কেন এতো দ্রোহ আর প্রবল-পরাক্রমী বিশ্বাস এঁটেছিলো মনে আর সেটার স্ফুরণই-বা কেন ঘটেছে কলমের আগায় তখন, তা জানি না। তবে বিশ্বাস করি যে, এটাই সঠিক। এটাই পৃথিবীর প্রবল বাস্তবতা। রূঢ় সত্য। এর জ্বলন্ত নজির পৃথিবীর মানুষের সম্মুখে জ্বলজ্বলে করে স্পষ্ট হয়ে জ্বলছে। এখন হয়তোবা প্রশ্ন আসতে পারে যে, বদরের বেদীনেরা থেমে যায়নি মানে কী? বদরের বেদীনেরা কি জীবিত? না, আক্ষরিক অর্থে বদরের সেই বেদীনেরা, যারা দীনকে মুকুলেই ধ্বংস করে দিতে চেয়েছে, তারা জীবিত নয়। তবে, তাদের আদর্শের উন্মাদ উত্তরসূরীরা পৃথিবীর জমিনে আজো দাপটের সাথে দাপিয়ে বেড়ায়! তাদের মিথ্যের মিসাইল আজো আক্রমণ চালায় সত্যের মশালবাহক মু’মিন-মুসলিমদের দেহ-...

"রমাদান আমাদের কী শেখায়?"

Image
আচ্ছা, প্রতি বছরই তো আমাদের কাছ থেকে রমাদান আসে, রমাদান মাস যায়। এই রমাদান আমাদের কাছে কেন আসে? কেন আমরা রমাদানে দিনভর সিয়াম পালন করি? কেন আমরা এতো তীব্র ক্ষুধা সহ্য করি? পিপাসায় যখন আমাদের ছাতি ফেটে যাবার জোগাড় হয়, তখন পিপাসার সেই তীব্র তাড়নাকে আমরা কেন নিয়ন্ত্রণে রাখি? কেন এই ক্ষুৎপিপাসা সহ্য করে অসহ্য গরমের মধ্যেও আমরা সিয়াম পালন করি? এই যে বছরে টানা ত্রিশ দিন বা একমাস আমরা রোজা রাখি, এই রোজা থেকে আমরা কী শেখতে পারি? কী অর্জন করতে পারি আমরা? রমাদানের রোজা থেকে কোন কোন শিক্ষাগুলো গ্রহণ করা উচিৎ আমাদের? কোন কোন পাঠ নেওয়া উচিৎ আমাদের— কখনো ভেবেছেন কি? হয়তো কেউ কেউ ভেবেছেন, কিংবা কেউ হয়তো আবার সুযোগও পাননি ভাবতে। তবে আমি মনে করি রমাদানে আমরা মোটাদাগে দুটো বিষয়ের পাঠ খুব সুন্দরভাবেই গ্রহণ করতে পারি। সেগুলো হচ্ছে: ০১- আত্মনিয়ন্ত্রণ বা সংযম।  ০২- যেকোনো মূল্যে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর বিধানের পরিপূর্ণ অনুসরণ। যেমন দেখুন, একজন মুসলিমের রমাদানের দিনের বেলায় ক্ষুধায় পেটটা যতো চোঁ চোঁ-ই করুক না কেন, আর পিপাসাটা যতো অধিক আর তীব্রই হোক না কেন, তখন সামনে পুরো দুনিয়ার যতো বৈধ তথা হালাল খাবারই থাকুক...