“ইমাম মওদূদী রাহিমাহুল্লাহ : মুসলিম মানসে বিপ্লব সৃষ্টির মহানায়ক”
পশ্চিমা এনলাইটেনমেন্টের কাছে ইসলামী বিশ্ব পরাজয়ের আগ পর্যন্ত মুসলমানদের দ্বীন ও রাষ্ট্র কখনো আলাদা ছিল না। ধর্ম ও রাষ্ট্রের মধ্যে কোনো বিভাজন ছিল না। ধর্মকে কেবল ব্যক্তিজীবনে সীমাবদ্ধ করে ফেলারও বিন্দুবিসর্গ কোনো ধারণা মুসলিম মানসপটে ছিল না। কিন্তু যখনই পাশ্চাত্য সভ্যতা বিজয়ীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো, তখনই তারা তাদের নির্জীব ধর্ম থেকে রাষ্ট্রকে পৃথক করে ফেলে। ধর্মকে তারা এক প্রকার বন্দি করে ফেলে। এমনকি ব্যক্তিজীবনেও ধর্মকে এমন একটা বিষয়ে পরিণত করে যে, ইচ্ছে হলে তা মানা যায়, আর না মানলেও সমস্যা নেই; বরং জীবনকে কানায় কানায় ভোগ-উপভোগ করতে ব্যক্তিগত জীবনেও ধর্মকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করাটাই শ্রেয়—হয়ে যায় তাদের মানসিক অবস্থা! আর সেই থেকে বা তখন থেকে তাদের জীবন-দর্শনে ভোগবাদ-বস্তুবাদ, ধর্ম-দর্শনে আজ্ঞেয়বাদ ও নাস্তিকতা, অর্থনৈতিক দর্শনে এক সময় সমাজতন্ত্র অন্য সময় পুঁজিবাদ, এই দুয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব সংঘাতও ঘটে ব্যাপকভাবে। এরপর তারা সমাজ-রাষ্ট্র-পরিবার ও নৈতিক জীবনে সেক্যুলারিজম এবং লিবারেলিজমের কোলে আশ্রয় গ্রহণ করে সেগুলোকে আপন করে নেয়। নৈতিকতা ও মূল্যবোধের উৎস হিসেবে মানুষের বিবেক ও সম্মতিকেই গ্রহণ করে। স...