পারস্পরিক বিরোধিতা : গণতন্ত্রের অনিবার্য বাস্তবতা
.jpeg)
গণতন্ত্রের ব্যাপারটাই এমন— এখানে একটা শত্রু পক্ষ লাগবেই। সেই শত্রুপক্ষ যত ভালো কাজই করুক, তার ভালো কাজগুলো হাইলাইট করা হবে না, বরং সেই পক্ষের নেগেটিভ দিকগুলোই মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। অপরের দোষগুলো তুলে ধরা আর সব সময় নিজের গুণাবলিকে মানুষের সামনে ফুটিয়ে তোলাটাই হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাজনীতির অন্যতম প্রধান অবলম্বন। গণতন্ত্রে যেহেতু সবাই মানুষকে কনভিন্স করেই ক্ষমতায় যেতে চায়, সেহেতু মানুষকে নিজের দলের দিকে কীভাবে নিয়ে আসা যায়, আর অন্য পক্ষ থেকে কীভাবে জনতাকে দূরে সরানো যায়; সেই চিন্তা, সেই কৌশল নিয়ে সব সময়ই ব্যস্ত থাকতে হয় গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে। সুতরাং, এর আলোকে স্পষ্টভাবেই বলা যায় যে, গণতন্ত্রের স্বার্থে একদল অন্য দলের বিরোধিতা করবেই— বিশেষত যাকে সবচেয়ে বড়ো এবং বেশি প্রতিদন্ধী মনে হবে, তার ব্যাপারে এমনটা হবেই। ইউরোপ-আমেরিকা যেহেতু বিশ্বের নিয়ন্ত্রক, সেহেতু তাদের মধ্যে গণতান্ত্রিক ক্ষমতা ভাগাভাগির জন্য নিজেদের মধ্যে খুনোখুনিটা খুবই কম। এই খুনোখুনির ব্যাপারটা তাদের মধ্যে যদি বেশি ঘটে, তাহলে তারা গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইন, ইত্যাদি টুলসগুলো দিয়ে বিশ্বক...