Posts

Showing posts from March, 2022

"মেয়েদেরকে সমাজে যেভাবে নির্যাতন করা হয়"

Image
বাংলাদেশের অধিকাংশ জায়গায়ই, হ্যাঁ, অধিকাংশ জায়গাতেই মেয়ের অভিভাবকদেরকে, মেয়েদেরকে মানুষই মনে করা হয় না। কী শিক্ষিত, কী মূর্খ—এক কথায় সবাই। এখনো এই দেশের মধ্যে একটা মেয়ের প্রায় সবগুলো গুণাবলি থাকার পরেও তাকে তার বাবা যৌতুকের কারণে বিয়ে দিতে পারে না । কিংবা বিয়ে দিতে গেলে যৌতুকের কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা গুণতে হয়। এতো টাকা, এতো কিছু করে বিয়ে দিয়েও কি শান্তি পাওয়া যায়? নাহ, এরপরেও কিন্তু বিয়ে দিয়ে মুক্তি নেই। কারণ, এর পরপরই আছে গিপ্ট-দাওয়াত হাবিজাবি বহু কিছুর—কথিত ভদ্রদের নীরব এবং বেহায়াদের সরব ও স্পষ্ট ডিমান্ড। আর এসবের জন্য নিয়মিত মেয়েকে কচলানো হয় লেবুর মতো। কচলাতে কচলাতে তার জান শেষ করে ফেলা হয়। এই যেমন, খাট-পালং, ফ্রিজ-ওয়ারড্রবসহ নানাবিধ ফার্নিচার। মেয়ের শশুর বাড়ির চৌদ্দ গৌষ্ঠিকে জামা-কাপড়, কাঠুন ভর্তি ফলফলাদি-সহ নানা কিছু! কোথাও কোথাও এমনও আছে যে, শবে বরাত উপলক্ষে হালুয়া রুটি, গোশত রুটির আবদার। কুরবানির ঈদের সময় আবার গরু ছাগল। রমাদানে সেমাই-চিনিসহ যা যা আছে সব। ঈদ উপলক্ষ্যে চৌদ্দ গোষ্ঠীর জন্য জামাকাপড়সহ আরো কী কী যেনো আছে......... এরমধ্যেই কি সব শেষ? নাহ, এবার এক সময় মেয়েটির সন্তান হয়, সেই ...

"পশ্চিমা স্কলারস এবং জামায়াত-শিবির"

Image
  পশ্চিমা জনগণ কিংবা পশ্চিমা ইসলামিক স্কলার, তাদের সবারচেয়ে আমাদের এখানের মানুষ কিংবা আলিমদের ইসলামের বুঝ ভালো। তাদের চাইতে এখানের মানুষ ভালো ইসলাম চর্চাকারী। পশ্চিমা স্কলারগণ থাকে, খাও, ঘুমায় কা.ফি.র-মুশ.রিকদের কোলে, সে হিসেবে তারা কথাবার্তা বলতে, মতামত দিতে দিবে তাদের অনুকূলেই। তাদের বাস্তবতা মাথায় রেখেই। হুবহু তুরস্কের ক্ষেত্রেও একই কথা। সেখানে কামাল পাশা এসে ইসলামের নাম-নিশানাটুকুনও মুছে দিয়েছে। ইসলামের ওপর চিরুনি অভিযান চালিয়েছে। চেষ্টা করছে ইসলামকে শেকড় সমেত উপড়ে ফেলতে। এই যখন অবস্থা, তখন সেসব দেশের মানুষ আমাদের দেশের মানুষের মতো ইসলাম প্র‍্যাক্টিস করবে, আমাদের মতো বুঝবে, এটা আসলে অতোটা সহজ নয়। আমাদের মা-বোনেরা অনেকেই দেখা যায় এমন দৃঢ় পর্দা করেন যে, তাদের হাত-পা এবং চোখও দেখা যায় না। পক্ষান্তরে সেসব দেশের অধিকাংশই দেহের শুধু গুরুত্বপূর্ণ দুটো অংশও ঠিকভাবে ঢেকে রাখে না। তো এই যখন অবস্থা তাদের, তখন সেখানে যদি কেউ সামান্য  একটা জিন্স পরে পট্টি বাধে মাথায়, তাহলে তাকে তো পীর না, ফেরেশতার চাইতেও বড়ো কিছু ভাবা-ই যায়। কিন্তু আমি যদি এখন সেসব দেশের উদাহরণ টেনে, সেসব দেশের স্কলার...

"স্ত্রীর ভরণপোষণ : কর্তব্য না করুণা?"

Image
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা তাঁর কালামে পাকে বলেছেন যে, পুরুষকে নারীর কাওয়াম করেছেন। তাঁদের দায়িত্বশীল করেছেন। রব্বে কারিম তাঁর কালামে পাকের মাধ্যমে আমাদেরকে তা জানিয়ে বলেন, "পুরুষগণ নারীদের প্রতি দায়িত্বশীল, যেহেতু আল্লাহ একের ওপর অন্যকে প্রাধান্য দিয়েছেন এবং তারা তাদের সম্পদ থেকে ব্যয়ও করে।" (সুরা নিসা: আয়াত-২৩৩)। এখন একজন পুরুষ যখন বিয়ে করে, তখন স্বভাবতই সে পুরুষের ঘাড়ে পরিপূর্ণভাবে দায়িত্ব এসে যায় যে, তিনি তার স্ত্রীর ভরণপোষণ দিবেন। তার যাবতীয় প্রয়োজনাদি পূর্ণ করবেন। তার প্রতি যত্নশীল হবেন।  এই যে দায়িত্বটা, এটা অনেকেই পূরণ করেন,। অনেকেই না, প্রায় সবাই-ই পূরণ করেন। কিন্তু এটাকে অনেকে নিজের একটা একনিষ্ঠ দায়িত্ব মনে না করে মনে করে করুণা। অন্তত পক্ষে অনেকের আচরণে সেটাই ফুটে ওঠে! হ্যাঁ, এটা স্বীকৃতি দিতেই হবে। আজো সমাজের পরতে পরতে এই অদ্ভুত কিসিমের মানসিকতা সম্পন্ন লোকজন বিরাজিত রয়েছে। তারা মাঝেমধ্যে এমনও করে যে, তাদেরকে ( স্ত্রীদেরকে) ধমকের পর ধমক দিয়ে বুঝানো হয় যে, আমি সারাদিন পরিশ্রম করে আয় রোজগার করি, তোমার প্রয়োজন মেটাই। তোমার প্রতি করুণা করি। কিন্তু দেখুন, কুরআন কী ব...

১১-ই মার্চ: শিবিরের শহীদ দিবস

Image
শিবিরের প্রতিষ্ঠা : সারা-বিশ্বে তখন সমাজতন্ত্র কমিউনিজম ও নাস্তিক্যবাদের ছড়াছড়ি। মুসলিম যুবক আর তরুণরা দিনকে দিনকে নিজেদের আত্মপরিচয় বিস্মৃত হতে থাকে। আর ঠিক তখনই আত্মভোলা মুসলিম তরুণ সমাজের মধ্যে আত্মপরিচয় জাগিয়ে তুলতে, তাদের হৃদয় গহীনে দ্বীনের উজ্জ্বল আলো জ্বালিয়ে দিতে ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।  শুরু হয় ষড়যন্ত্র :  জীবন্ত ধর্ম দ্বীন ইসলামের বাণী যখন ছাত্রসমাজের কাছে বিদ্যুৎ-বেগে পৌঁছাতে লাগলো, মেধাবী ও তরুণ ছাত্রসমাজ যখন দলে দলে ছাত্রশিবির নামক আলোর কাফেলার পতাকাতলে সমবেত হতে শুরু করলো, তখনই শুরু হয় শিবিরের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।  ১১ মার্চ ১৯৮২  ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অনেকবার আক্রমণ ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। কিন্তু এর আগে আর কখনো শহীদ হয়নি সংগঠমের কোনো কর্মী। ১১ মার্চ ১৯৮২ সালেই  ছাত্রশিবিরের শহীদদের সবুজ কাফেলার যাত্রা শুরু।  কী হয়েছিলো সেদিন?   ইসলামী বিপ্লবের স্বপ্নে বিভোর ঈমানদার ছাত্রসমাজের প্রিয় কাফেলা, আদর্শের অতন্দ্র প্রহরী বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সারাদেশের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও দ্বী...

মুসলিম নারীর সামাজিক দায়িত্ব :

Image
  আধুনিক জীবন যাত্রার শ্রেষ্ঠত্বে যারা বিশ্বাসী তারা (১) কন্যাদের বিবাহে অভিভাবকত্ব, (২) বহু বিবাহ, (৩) তালাক ও (৪) পর্দা প্রথার মত ইসলামী মূল্যবোধকে নারী জাতির সামাজিক মর্যাদার হানিকর জ্ঞান করে থাকেন। বিশ্বের সকল মুসলিম দেশেই অধুনা  “সংস্কার আন্দোলন”  নামে একটি আন্দোলন চলছে যা ইসলামের প্রারম্ভকাল থেকে ইসলামী বলে বিবেচিত বিধানগুলোকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চায় এবং সে সকল ক্ষেত্রে অমুসলিম দেশগুলোতে প্রচলিত বিধানকেই চালু করতে চাচ্ছে। এই নিবন্ধে আমি তাই নারী জাতি সম্পর্কিত ইসলামী শিক্ষার স্বাভাবিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং এ ব্যাপারে তাদের ওপর অন্যায় আচরণ যে মারাত্মক সামাজিক ক্ষতির কারণ তা সবিস্তরে বর্ণনা করব। আধুনিক নারী সাম্যবাদীরা মুসলিম বালিকার স্বামী নির্বাচনে পিতা-মাতা কিংবা অভিভাবকের মতামতের প্রাধান্যকে খুবই দুঃখজনক বলে মনে করেন এবং এটাকে তারা তার প্রতি পিতার নিষ্ঠুর জুলুম ও ব্যক্তি স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ বলে বর্ণনা করেন। তারা  বহু বিবাহের মত  ইসলামের অন্য কোন বিধানকেই এত খারাপভাবে নিন্দা করেননি। একে তারা মুসলিম নারীত্বের চরম অবমাননা ও স্বেচ্ছাচারী কামুকতার প্রমাণ হিস...