Posts

Showing posts from August, 2022

সাঈয়েদ কুতুব শহীদ : ইনকিলাবের ইমাম

Image
সাঈয়েদ কুতুব ছিলেন জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর একজন মুখলিস মুজাহিদ। তিনি ছিলেন ইসলামি জাগরণ বা মুসলিম রেনেসাঁর অগ্রদূত। তাঁর চিন্তাধারা, তাঁর লেখাজোখায় মুসলিমদের জং ধরা কলবে এক তীব্র ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়। আত্মভোলা মুসলিমদের তিনি ঝাঁঝালো কলম দিয়ে জাগ্রত করেন। তাঁর এই জাগরণী জোয়ার রুখে দেওয়ার জন্যে তৎকালীন মিশরীয় স্বৈরাচার, ইসলাম বিরোধী অপশক্তিদের ক্রীড়নক সরকার ১৯৬৫ সালের ২৯-শে আগস্টে জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহর এই অধিনায়ক, তাকওয়াবান তাত্ত্বিক, কুরআনে হাফেজ নেতাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে শহীদ করে দেয়। খোদাদ্রোহী জালিমদের দ্বারা বিচারিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় ইনকিলাবের এ ইমাম।  সাঈয়েদের যে বইটা পৃথিবীর সকল খোদাদ্রোহী জালিমদের কলিজায় কম্পন আর ভীতির সৃষ্টি করে, সে বইটা হচ্ছে معالم فى الطريق -ইংরেজি: Milestones, যেটা বাংলায়  "ইসলামী সমাজ বিপ্লবের ধারা"। সাঈয়েদের চিন্তার সাথে পরিচিত হতে তাঁর রচিত তাফসীরগ্রন্থ ফি যিলালিল কুরআন এবং উক্ত বইটা অধ্যয়ন করা আবশ্যক। কারণ, معالم فى الطريق নামক এই একটা বই, এই একটা তত্ত্ব তাঁকে শাহাদাতের পেয়ালা পান করিয়েছে। কুতুবের লেখনি এতোটাই শক্তিমান ছিলো যে, যে ব্যক্তিই তাঁর লেখা...

ছাত্রলীগকে কেন বদরুল লীগ বলা হয়?

Image
১. নাম ছিলো তার বদরুল আলম। পড়তো সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। অর্থনীতি বিভাগে। একটা মেয়েকে সে আকাঙ্ক্ষা করতো (তার বা তাদের ভাষায় ভালোবাসতো)। মেয়েটির নাম খাদিজা। পুরো নাম খাদিজা আক্তার নার্গিস। তো প্রেমিক পুরুষ বদরুল তার মনের কথা জানান দেয় খাদিজাকে। বারবার প্রস্তাব করে বা দেয় সে। কিন্তু মেয়েটি তার এই প্রস্তাব গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেয়। প্রস্তাবে সাড়া না পেলে যে কারোই মন খারাপ হতে পারে। এতোটুকুন স্বাভাবিকই। বদরুলেরও তাই হলো। মন খারাপ আরকি। কিন্তু তার বিষয়টি স্রেফ মন খারাপেই থেমে থাকেনি। সে এটাকে ক্ষোভে রূপ দেয়। এ থেকে তা প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসা পর্যন্ত গড়ায়।     ২. ০৩-ই অক্টোবর , ২০১৬। অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও পৃথিবীতে বিশুদ্ধ ভোর ফুটেছে। ভোরের বিশুদ্ধ বাতাসের স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে পড়লো চারদিকে। কিন্তু সেই ভোরের বিশুদ্ধ বাতাস সিলেট মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজার জন্য বিশুদ্ধ না হয়ে পরিণত হয়েছে অভিশপ্ত এক ভয়ংকর সকালে।   অন্যান্য দিনের মতো আজো খাদিজা সকালের নাস্তা ও কাজকর্ম সেরে প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্লাসে যাবার। কিন্তু সে জানতো না তার জন্য...

আল-কুরআনের সূরাসমূহের অর্থ

Image
১. আল ফাতিহা (সূচনা) ২. আল বাকারা (গাভী) ৩. আল ইমরান (ইমরানের পরিবার) ৪. আন নিসা (নারী) ৫. আল মায়িদাহ (খাবার পরিবেশিত থালা) ৬. আল আনআম (গৃহপালিত পশু) ৭. আল আরাফ (উচ্চতা, শেখর) ৮. আল আনফাল (যুদ্ধ-লব্ধ ধনসম্পদ) ৯. আত তাওবাহ (প্রত্যাবর্তন) ১০. ইউনুস ( ইউনুস আঃ, একজন নবি) ১১. হুদ (হুদ আঃ, একজন নবি) ১২. ইউসুফ (নবী ইউসুফ) ১৩. আর রা’দ (বজ্রপাত) ১৪. ইব্রাহীম (ইবরাহিম আঃ, একজন নবি) ১৫. আল-হিজর (পাথর) ১৬. আন-নাহল (মৌমাছি) ১৭. বনি-ইসরাঈল ( ইয়াকুব (আ.)-এর অন্য নাম ইসরাঈল। তাঁর বংশধর, বর্তমানের ইহুদি জাতি ) ১৮. আল কাহফ (গুহা) ১৯. মারইয়াম (পবিত্র, ঈসা আঃ-এর মা) ২০. ত্বো-হা ( একটি আরবি বর্ণ) ২১. আল আম্বিয়া (নবীগণ) ২২. আল হাজ্জ্ব (হজ্জ) ২৩. আল মু’মিনুন (মুমিনগণ) ২৪. আন নূর (আলো) ২৫. আল ফুরকান (সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী) ২৬. আশ-শুআরা (কবিগণ) ২৭. আন-নামল (পিপীলিকা) ২৮. আল-কাসাস ( ঘটনা) ২৯. আল আনকাবুত (মাকড়শা) ৩০. আর রুম (রোমান জাতি) ৩১. লোকমান (একজন জ্ঞানী ব্যক্তির নাম) ৩২. আস সিজদাহ (সিজদা) ৩৩. আল-আহযাব (সম্মিলিত বাহিনী) ৩৪. সাবা (রানী সাবা) ৩৫. ফাতির ( উৎপত্তি, আদি স্রষ্টা) ৩৬. ইয়াসিন ( আরবির দুট...

|| শহীদ মাওলানা তিতুমীর (রহঃ) ||

Image
  তিতুমীর! বাঁশেরকেল্লা! এদুটো শব্দ একটি আবেগের নাম। একটি চেতনা্নার নাম। নারিকেলবাড়িয়ায় এই বাঁশেরকেল্লা নির্মাণ করেন মাওলানা মীর নিসার আলী তিতুমীর। এখানেই তিনি বৃটিশ শাসন এবং তাদের মদদপুষ্ট হিন্দু জমিদারদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেন, এবং শহীদ হন। তিতুমীরের পথ ধরেই, তাঁর আবেগে উদ্দীপ্ত হয়েই এদেশের মানুষ জুলুমবাজ-সাম্রাজ্যবাদি বৃটিশদের থেকে আল্লাহর অসীম অনুগ্রহে আমাদেরকে মুক্ত করেন। তিতুমীর সাহসের সঞ্জীবনী সুধায় উজ্জীবিত হয়েই নিজ অনুসারীদের নিয়ে ঔপনিবেশিক খ্রিস্টান এবং তাদের সহায়ক শক্তি হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে জি.হা.দের ডাক দেন। সেই ডাকে সাড়া দেয়া নির্ভীক মুজাহিদদের নিয়ে দুর্গ গড়ে তোলেন। তিতুমীর এবং তাঁর বাহিনীর কাছে আধুনিক অজস্র অস্ত্রশস্ত্র ছিলো না। ছিলো ঈমানের স্ফুলিঙ্গ। তাই তো তিনি ও তাঁর অনুসারীগণ কোনো প্রকার ভয়ডরে পতিত না হয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা করে জি.হা.দে অবতীর্ণ হয়েছেন। অথচ আজকে আমাদের মুসলমানদের আলাদা ভূখণ্ড আছে। আছে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রও। কিন্তু নেই ঈমান এবং উম্মাহ কনসেপ্ট! যার কারণে আমরা আজো মার খাচ্ছি। তা.গু.ত শক্তির দালালি করে যাচ্ছি। তিতুমীর নারিকেলবাড়িয়ায় শহী...

প্রসঙ্গ : জাইমা নূর ও শ্রদ্ধেয় সাইফুল্লাহ মানসুর !

Image
আজ ইসলামি সাংস্কৃতিক জগতের অন্যতম কিংবদন্তী, মতিউর রহমান মল্লিক রহিমাহুল্লাহর হাতে গড়া সাংস্কৃত মুজাহিদ এবং তাঁর যোগ্য উত্তরসূরী শ্রদ্ধেয় Saifullah Mansur-ভাইয়ার একটা পোস্টে জানতে পারলাম ইসলামি গান-গজলের কালজয়ী ক্ষুদে শিল্পী-শিশুশিল্পী Jaima Noor - জাইমা নূর- এখন থেকে আর লাইভে বা মিডিয়ায় এসে ইসলামি গান করবেন না। লাইভ ইসলামি গানের জগত থেকে বিদায় নিচ্ছে সে। এই সিদ্ধান্তটা গ্রহণ করেছে সে ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান "ফরজ ‘পর্দা’র জন্যই। রব্বুল আলামিনের বিধানের কাছে ছোট্ট জাইমা নিজেকে সঁপে দেওয়ার কারণেই সে আর লাইভে এসে গান গাইবে না। তবে সে মেয়ে শিশুদের নিয়ে সে কাজ করবে ইন শা আল্লাহ। আল্লাহ তাকে তার এমন তাকওয়াপূর্ণ জীবনধারা সারাটি জীবন অতিবাহিত করার তাওফিক দান করুন। তাঁর এমন সাহসী আর তাকওয়াময় বর্ণীল সিদ্ধান্তকে কবুল করে নিন। এখানে উল্লেখ্য যে, শ্রদ্ধেয় সাইফুল্লাহ মানসুর ভাইয়া নিজের সারাটি জীবন ঢেলে দিচ্ছেন সুস্থ ও ইসলামি সাংস্কৃতির খিদমত করে। ভাই নিজ হাতে তৈরি করেছেন অগণিত শিল্পী-গানরাজ! এমন খ্যাতিময়-জৌলুসপূর্ণ একটা সেক্টরে কাজ করার পরেও ভাই কোনোদিন কখনো ইসলামের মূলস্রোতধারা কিংবা ইসলামি...

বেদনার অশ্রু

Image
  শেষ বারের মতো বাবার পাশে দাঁড়িয়ে দু'নয়ন ভরে প্রিয় বাবার মায়াভরা মুখখানি দেখছে ফারিহা। দরদর করে অশ্রুপাত হচ্ছে। সেই অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে দুগণ্ড বেয়ে। এই মানুষটাই ছিলো তাদের বিশ্বাস, আস্থা, ভরসা আর ভালোবাসার কেন্দ্রবিন্দু। আজ থেকে তিনি আর পাশে থাকবেন না। সন্ধ্যে বাড়ি ফেরার সময় ফুচকা বাদাম চকোলেট নিয়ে আসবেন না। ‘মামনি’ আমার! কোনো চিন্তা নেই বলে মাথায় হাত বুলিয়েও দেবে না।  ফারিহার পাশেই তার ছোটো ছোটো ভাই-বোনগুলো অশ্রুর নোনাজলে সিক্ত করছে তাদের আঁখিদ্বয়! হাউমাউ করে বাবা বাবা স্বরে চিৎকার করে কাঁদছে....  সেদিন থেকেই ফারিহার নতুন জীবনে পদার্পণ। নিজের কান্নাকে চেপে রেখে ছোটো ভাই-বোনদের সান্ত্বনা দিতে হচ্ছে।  অথচ তাকেই প্রতিদিন তার বাবা কতো শতো বিষয়ের জন্য সান্ত্বনা দিতে হতো, অশ্রুও মুছে দিতেন। আজ তাকেই নিতে হচ্ছে অশ্রু মোছার দায়িত্ব.... নিজের পড়াশোনা, ছোটো ভাইবোনদের দেখাশোনা -সবই তো বাবা করতো। আজ বাবা নামক ছাতাটা নেই। জীবনের মানে হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে আজ! যেকোনো মূল্যেই কিছু একটা করতে হবে। জীবনের তাগিদে জীবিকার সন্ধানে নামতে হবে। কিন্তু এসমাজে কি নারীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্ত...

স্রষ্টা যদি দয়ালুই হয়.....||

Image
 কিছু প্রশ্ন বারবার করে আমাদের ভাই-বোনেরা। এরকম একটা প্রশ্ন গতো কয়দিন আগে একজন খুব প্রিয় ছোটো ভাইও করেছে। এর আগেও অনেকেই করেছেন। আজ সকালে একজন বোনও করেছেন।  সেটা হলো আল্লাহ যদি দয়ালুই হয়, তা হলে শাস্তি দিবেন ক্যান! কিংবা শাস্তি দিবেন ঠিক আছে, কিন্তু আগুনে পোড়াবে ক্যান? আগুনে পিটিয়ে-পুড়িয়ে শাস্তি দেওয়াটা কীভাবে ন্যায় হয়? এটা কীভাবে দয়ালু স্রষ্টার বৈশিষ্ট্য হয়? একজন দয়ালু স্রষ্টা কীভাবে এরকম শাস্তি প্রদান করতে পারেন?  এখন এই যে প্রশ্নগুলো মনে মনে জপে জপে আমাদের কিছুটা ঈমানদার ভাইয়েরা হতাশা অনুভব করে। অশান্তি অনুভব করে, সন্দেহ-সংশয়ের কোপানলে দগ্ধ হয়ে বসে বসে হেড়ে গলায় হয়তো গাইতে থাকে - "কেনো জীবন আকাশে সূর্য হাসে না কেনো পাখিদের গানে আর মন ভরে না,  কোনো হৃদয় বিনায় আর সুর ওঠে না " ঠিকই তো আছে,  আপনি অন্যের দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে থাকলে, ঈমানী ইমারতটাকে সুদৃঢ় না করলে আপনার-আমার জীবনাকাশে সূর্য হাসবে কীভাবে?  পাখিদের কলকাকলিতে মনও-বা ভরবে কীভাবে?  আর যারা এককাঠি বেশি সরেশ, তারা তো একসময় কন্ঠ উঁচু করে ঘোষণা-ই দিয়ে বসে যে ধুর ছাই! এইসব স্রষ্টা-ফ্রষ্টা বলে কেউ...

এখানে কি কেউ নেই.....

Image
কোনো ব্যক্তি ততোক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতোক্ষণ না সে তাঁর জীবনের চেয়ে, পৃথিবীর সবকিছুর চেয়ে আল্লাহ রাসুলকে বেশি ভালো না বাসবে! সেই ভালোবাসার চূড়ান্ত নমুনা দেখিয়েছেন তাঁরই প্রিয় সাহাবীগণ! ১. তালহা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর শরীরে একের পর এক তীর বিদ্ধ হচ্ছে। ক্ষত-বিক্ষত হচ্ছে তাঁর দেহের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ!শুধুই আল্লাহর রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হেফাজতের জন্য!  শুধুই আল্লাহর রাসুল! নিজের মায়া, জানের মায়া,  পরিবার পরিজন -সকল মায়ার বাঁধনকে তিনি সেসময় ছিন্ন করে আল্লাহর রাসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হিফাজতের জন্য উৎসর্গ করেছেন নিজেকে! ওহুদের ময়দানে রাসূল সা. আহত হলেন, তাঁর দান্দান মুবারক শহীদ হলো, তিনি রক্ত রঞ্জিত হয়ে পড়লেন। রক্তের স্রোতধারা বইতে লাগলো সারা দেহ থেকে। এ অবস্থায় তালহা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহ একাকী একবার মুশরিকদের ওপর দোর্দণ্ডপ্রতাপে আক্রমণ চালিয়ে তাদেরকে একটু দূরে তাড়িয়ে দেন, আবার রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের  দিকে ছুটে এসে তাকে কাঁধে করে পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে থাকেন। এক স্থানে প্রিয়নবী মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আ'লাইহি ওয়াসাল্লামকে রেখে আবার ...

"ডঃ বিলাল ফিলিপস : কমিউনিস্ট-নাস্তিক থেকে ইসলামিস্ট"

Image
নাম তার আবু আমিনা বিলাল ফিলিপস। জন্মেছেন জ্যামাইকায়। পরিবারটি ছিলো খৃষ্টান । তারিখ ছিলো ০৬-ই জানুয়ারি। সন ছিলো ১৯৪৬। কিন্তু তার বেড়ে ওঠা কানাডায়। পূর্ব নাম ছিলো তার ডেনিস ব্র্যাডলি ফিলিপস। জ্যামাইকান বংশোদ্ভূত এই খ্রিষ্টান ধীরে ধীরে বামপন্থীদের চটকদার বুলির প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে যুবক বয়সেই বামপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়েন। হয়ে ওঠেন টাটকা সেই কমিউনিস্ট, যারা ইসলামের ধার ধারেনা। ধর্ম যাদের দুচোখের বিষ। বিপ্লবের নেশায় বিলাল মত্ত। কিন্তু বিলাল সেখানে মানে কমিউনিস্টদের মধ্যে নিজের মনের খোরাক খুঁজে পাননি। বিপ্লবের যথেষ্ট কার্যকরী কিছু খুঁজে পাননি। একদিন বিলাল ফিলিপস দেখলেন তাঁর পার্টির একজন যুবতী নারি সদস্য তাদের দলীয় আদর্শ ত্যাগ করেছেন। শুধু তা-ই না, ত্যাগ করে গ্রহণ করেছেন শ্বাসত জীবন বিধান আল-ইসলাম। সেই নারি বিলালকে কিছু বই দেন। ব‌ইগুলো পড়ে তিনি ইসলাম সম্পর্কে ধারণা পান। ইসলামের শ্বাসত আদর্শে তিনি মুগ্ধ হন। এক পর্যায়ে তিনি ১৯৭২ সালে ইসলাম গ্রহণ করেন। তবে ইসলাম গ্রহণের ক্ষেত্রে যে দুইজন লেখকের দুটো বইয়ের দ্বারা তিনি বেশি প্রভাবিত হয়েছেন, সেই দুজন লেখকের একজন হলেন সাঈয়েদে কুতুব শহীদ রহ-এর ভাই মুহাম...