|| শহীদ মাওলানা তিতুমীর (রহঃ) ||






 তিতুমীর! বাঁশেরকেল্লা! এদুটো শব্দ একটি আবেগের নাম। একটি চেতনা্নার নাম। নারিকেলবাড়িয়ায় এই বাঁশেরকেল্লা নির্মাণ করেন মাওলানা মীর নিসার আলী তিতুমীর। এখানেই তিনি বৃটিশ শাসন এবং তাদের মদদপুষ্ট হিন্দু জমিদারদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেন, এবং শহীদ হন।

তিতুমীরের পথ ধরেই, তাঁর আবেগে উদ্দীপ্ত হয়েই এদেশের মানুষ জুলুমবাজ-সাম্রাজ্যবাদি বৃটিশদের থেকে আল্লাহর অসীম অনুগ্রহে আমাদেরকে মুক্ত করেন।
তিতুমীর সাহসের সঞ্জীবনী সুধায় উজ্জীবিত হয়েই নিজ অনুসারীদের নিয়ে ঔপনিবেশিক খ্রিস্টান এবং তাদের সহায়ক শক্তি হিন্দু জমিদারদের বিরুদ্ধে জি.হা.দের ডাক দেন। সেই ডাকে সাড়া দেয়া নির্ভীক মুজাহিদদের নিয়ে দুর্গ গড়ে তোলেন।
তিতুমীর এবং তাঁর বাহিনীর কাছে আধুনিক অজস্র অস্ত্রশস্ত্র ছিলো না। ছিলো ঈমানের স্ফুলিঙ্গ। তাই তো তিনি ও তাঁর অনুসারীগণ কোনো প্রকার ভয়ডরে পতিত না হয়ে আল্লাহর ওপর ভরসা করে জি.হা.দে অবতীর্ণ হয়েছেন। অথচ আজকে আমাদের মুসলমানদের আলাদা ভূখণ্ড আছে। আছে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রও। কিন্তু নেই ঈমান এবং উম্মাহ কনসেপ্ট! যার কারণে আমরা আজো মার খাচ্ছি। তা.গু.ত শক্তির দালালি করে যাচ্ছি।
তিতুমীর নারিকেলবাড়িয়ায় শহীদ হলেও, সাময়িক পরাজয় বরণ করলেও আমাদের জন্য সাহসের যে শামিয়ানা টাঙিয়েছেন, সে শামিয়ানায় শামিল হয়েই কিন্তু আমরা বৃটিশদের এই উপমহাদেশ থেকে বিতাড়িত করতে পেরেছি। অথচ আজকে আমরা তিতুমীরদের ভুলতে বসেছি!
আমরা এ-ও ভুলে গিয়েছি যে, হিন্দু জমিদারগণ বৃটিশদের সহায়তায় মুসলিমদের ওপর এতো অধিক পরিমাণেই জুলুম করেন যে, মুসলিমগণ দাড়ি রাখার জন্যেও কর প্রদান করতে হতো।
তিতুমীর আমাদের নিজ অধিকার আদায়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার সাহস আর অনুপ্রেরণার এক অপ্রতিরোধ্য উদাহরণের নাম। শাহাদাতের সিড়ি বেয়েই আসে বিজয়। আসে মুক্তি। এর জলন্ত উদাহরণ হলো মাওলানা মীর নিসার আলী তিতুমীর।
১৭৮২ সালের আজকের এইদিনেই শহীদ তিতুমীর জন্মগ্রহণ। আল্লাহ মাওলানা তিতুমীরের সংগ্রাম ও শাহাদাতকে কবুল করে নিন। আ-মী-ন!

|| শহীদ মাওলানা তিতুমীর (রহঃ) ||
~রেদওয়ান রাওয়াহা

Comments

Popular posts from this blog

কেমন ছিল শেখ মুজিবুর রহমান

“শবে-বরাত ও সংস্কৃতি : কিছু প্রশ্ন কিছু কথা”

ক্রিটিক্যাল থিংকিংয়ের অপপ্রয়োগ