মুহাম্মাদ ﷺ ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ইনসাফকারী ও শান্তিকামী

ব্যক্তিজীবনে মুহাম্মাদ ﷺ শৈশব-কৈশোর এবং শিশুকালেও ছিলেন ইনসাফকারী। শান্তিকামী। অন্যের অধিকারের ব্যাপারে ছিলেন সদা তৎপর। আমরা জানি, তিনি যখন দুগ্ধ পান করার বয়সী শিশু ছিলেন, সে সময়েও কিন্তু তিনি একটি থেকে পান করতেন। অন্যটি তাঁর দুধ ভাইয়ের জন্য রেখে দিতেন। কখনো জোর করেও তাঁকে অন্যটি থেকে খাওয়ানো যায় নি। যখন বড়ো হলেন একটু, তখন দেখলেন তাঁদের সমাজের রাহাজানি, বেহায়াপনা। গোত্রে গোত্রে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ-সংঘাত। তিনি সে সময়েই তাঁর সমাজের সেসব অসংগতি নিয়ে ভাবতেন। ভাবতেন, তাদেরকে এসব অধঃপতন থেকে কীভাবে রক্ষা করা যায়! সে কারণে তিনি তাঁর সমচিন্তার লোকজনকে সাথে নিয়ে গড়ে তুললেন “হিলফুল ফুযুল” নামক একটি শান্তিসংঘ। সে সংঘটি দুর্বলদের নিরাপত্তা বিধান করার কাজে ছিলো যথেষ্ট সচেতন। মানুষকে গোত্রে গোত্রে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধসমূহ থেকে নিবৃত করতে দুর্দান্ত ভূমিকা পালন করেছিলো। ইতিহাস যার সাক্ষী। মদিনাতুল মুনাওয়ারায় গিয়ে যখন রাষ্ট্রনায়ক হলেন, তখনও তিনি মুসলিম-মুশরিক-ইহুদি— সবারই ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছেন। তিনি কতোটা মানবিক, কতোটা ন্যায়নিষ্ঠ ছিলো, তা তাঁর সংখ্যালঘু অমুসলিমদের অধিকার নিয়ে দেওয়া ...