"তাকলীদ ও মাযহাব অনুসরণ প্রসঙ্গে মওদূদীর অবস্থান"
"তাকলীদ ও মাযহাব অনুসরণ প্রসঙ্গে মওদূদীর অবস্থান"
মাজহাব-তাকলীদকে অনেক আলিম ওয়াজিব মনে করে থাকেন। আমাদের উপমহাদেশীয় ওলামায়ে কেরামের মতামতও অনুরূপ । যেমন আমাদের আকাবিরে দেওবন্দী উস্তাযগণ যে কোন এক মাজহাব মানাকে ওয়াজিব মনে করে থাকেন। পক্ষান্তরে সালাফি আলিমগণ চার মাযহাবের ইমামদের হকের ওপর প্রতিষ্ঠিত মনে করেন কিন্তু যে কোনো এক ইমামের অনুসরণ ওয়াজির মনে করে না। তাঁরা যেসব আলিমের মাসআলা-মতামত-ইজতিহাদ কুরআন-সুন্নাহর অধিক নিকটবর্তী হবে, তাঁরা তারই অনুসরণ করতে বলে এবং করে থাকে। কিন্তু এদুয়ের মধ্যে ইমাম সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদীর মতামত হচ্ছে সালাফি ওলামাদের অনুরূপ।
তাঁর রাসায়েল ও মাসায়েলে কিতাবে উল্লেখ আছে যে, একবার একব্যক্তি তাঁকে এ-বিষয়ে প্রশ্ন করে, "চার ইমামের তাকলিদ সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কি?"
মওদূদীর জবাব ছিলো এমন, "আমার মতে আলেমে দ্বীন লোকদের সরাসরি কুরআন-সুন্নাহ থেকে বিশুদ্ধ জ্ঞান হাসিলের চেষ্টা করা উচিত। এ গবেষনার কাজে অতীতের বড়ো বড়ো আলেমদের মতামত থেকেও সাহায্য নেয়া উচিত। তা ছাড়া সর্বপ্রথম পক্ষপাতিত্বের উর্ধ্বে উঠে উদার ও মুক্ত মন দিয়ে মতবিরোধপূর্ন মাসআলাসমূহ বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে অতীতে শ্রষ্ঠ মুজতাহিদগণের কার ইজতিহাদ কুরআন ও সুন্নাহর সাথে অধিক সামজ্ঞস্যপূর্ণ। এভাবে যেটা সত্য বলে মনে হবে, সেটাই অণুসরন করবে।"
দেখুন, এখানে তিনি সাধারণ জনতার কথা বলেননি, বলেছেন আলিমে দ্বীনদের ব্যাপারে। এখন এ-কথা শুনে সাধারণ জনতা খেয়াল খুশি মতো মাজহাব ফলো করা উচিত হবেনা । ওলামায়ে দেওবন্দ এটাকে হারাম মনে করে থাকেন। কারণ এটা তখন নিজ নফসেরই অনুসরণ হয় ।
যাইহোক, মওদূদী ( রহঃ) আহলে হাদিস তথা সালাফিদের সম্পর্কে বলেন, "আহলে হাদিসের সব মত ও মাসআলা-ই যে সহিহ তা আমি মনে করি না। আবার হানাফি কিংবা শাফেয়ী— কোনো মাজহাবেরই পূর্ণাঙ তাকলিদ (অন্ধঅনুসরণ) করতে হবে, তাও আমি মনে করি না।"
এক্ষেত্রে তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের লোকদেরকে তাঁর নিজস্ব মত-ই যে অনুসরণ করতে হবে—এমনটার বাধ্যবাধকতা তথা সুযোগ রাখেননি। তিনি চাইতেন যে, তাঁরা যেনো একগুঁয়ে না হয়। নিজেই হক অন্যরা বাতিল; এই মনোভাব যেনো পোষনণ না করে। জামায়াতে ইসলামীর লোকজন সম্পর্কে ঈমাম মওদূদী বলেন, "জামায়াতে ইসলামির লোকদেরকে যে আমার এ মতই মেনে চলতে হবে, তারও কোন কারণ নেই। তারা পক্ষপাত মুক্ত হয়ে এবং কেবল নিজের মাজহাব-ই হক আর অন্যগুলো বাতিল, এ ধারনা হতে মুক্ত হয়ে জামায়াতে ইসলামির অন্তর্ভুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে হানাফি, শাফেয়ী, আহলে হাদিস কিংবা যে কোনো ফিকহী মাজহাবের উপর আমল করতে পারে।"
সোজাকথায় মওদূদী রহঃ-এর মতামত হচ্ছে আলিমে দ্বীনগণ বা মুজতাহিগণ সত্য অনুসদ্ধান করে সে সত্যের ওপর আমল করুক । আর সাধারণ জনতা যেকোনো মাজহাব ফলো করেও জামায়াত করতে পারে, কিন্তু তারা যেনো নিজেকেই হক অন্যরা সব বাতিল, এই ধারণা পোষণ না করেন ।
সাঈয়েদ মওদূদী রহিমাহুল্লাহর কাছে একটা প্রশ্ন এসেছিলো এরকম যে, আহলে হাদিস চার ইমামের তাকলিদ করাকে হারাম ও শিরক কলে আখ্যায়িত করেছে। তাদের এ বক্তব্য কি সঠিক? জবাব উস্তায মওদূদী রহিমাহুল্লাহ বলেছেন —
ইসলামে মূলত রাসূল (স.) ছাড়া আর কারো তাকলিদ করা যায় না। আর রাসূল (স.)-এর তাকলিদও এজন্যই করা হয় যে, তিনি যা কিছু বলেছেন ও করেছেন তা আল্লাহ তাআলার হুকুম ও নির্দেষের ভিত্তিতে-ই করেছেন। নতুবা অনুগত্য লাভের একমাত্র প্রকৃত মালিক তো মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওতাআলা।
তিনি মাজহাব মানা, কিংবা ইমামদের অনুসরণ করাটাকে শিরক মনে করতেন না । তিনি মনে করতেন ইমামগণ সাধারণ মানুষদের কাছে শরীয়াহ জানার নির্ভরযোগ্য মাধ্যম । সাধারণ মানুষ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের আদেশ-আনুগত্য পূর্ণভাবে মেনে আল্লাহর রেজামন্দি হাসিলের জন্য-ই তাঁদের বাতলে দেওয়া শার-ঈ সমাধানগুলো মেনে চলবেন। সেগুলো অনুসরণ করবেন। এ বিষয়ে তিনি তাঁর রাসায়েল-মাসায়েল গ্রন্থে বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর বিধান ও সুন্নাহ সম্পর্কে সঠিক ও পূর্ণজ্ঞান রাখেনা , এবং মূলনীতির আলোকে কর্মপন্থা নির্ধারনের যোগ্যতা রাখেনা, তার জন্য ইমামের অনুসরণ ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। বিজ্ঞ ইমামদের থেকে যার প্রতি তার আস্থা হয়। তার প্রদর্শিত পন্থাই সে অনুসরণ করতে পারে।”
তবে তাঁদের অনুসরণ করা যেনো ঈমান-আকিদার মূলনীতি-মানদণ্ড না হয় । তাঁদের আনুগত্য যদি আল্লাহর আনুগত্যের চেয়ে বেশি হয়, তাঁদের মাজহাব বা তরিকা থেকে সরে যাওয়াকে যদি স্বয়ং ইসলাম থেকেই সরে যাওয়ার মতো করে গণ্য করা হয়, তাহলে সাইয়িদ মওদূদী বলেছেন সেটা শিরক হবে । ইমামগণকে অনুসরণ এবং তাঁদের প্রসঙে তিনি আরো বলেছেন,
“ইমামগনের অনুসরণের তাৎপর্য হলো, তাঁরা আল্লাহ ও রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রদত্ত বিধানের উপর ইজতেহাদ করেছেন। এই গবেষনা ও ইজতেহাদ দ্বারা তাঁরা জানতে পেরেছেন, ইবাদত ও আচার আচরণের ক্ষেত্রে মুসলিমদের কী পন্থা অবলম্ভন করা উচিৎ। এছাড়া তাঁরা শরীয়তের মূলনীতির ভিত্তিতে এর প্রাসঙিক বিধান বের করছে। সুতরাং তারা নিজেরা কোনো বিধান চালু করেননি। আর অনুগত্য লাভের দাবিও তারা করেননি”।
যখন তখন মাজহাব পরিবর্তন করার ব্যাপারে আমাদের উপমহাদেশীয় অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম বিশেষত ওলামায়ে দেওবন্দ নাজায়েজ মনে করেন। বরং উপমহাদেশের বাহিরেও অনেক ওলামায়ে কেরাম এটাকে নাজায়েজ মনে করেন । তাঁরা সমস্ত মাসয়ালাতেই নিজ মাযহাব অনুযায়ী আমল করতে বলেন । যুক্তি হিসেবে তাঁরা বলে থাকেন যে, অন্যথায় নফস ও খাহেশাতের পূজা হবে । আর নফসের তথা নিজ খায়েশের অনুসরণ হারাম। এর স্বপক্ষে তাঁরা পবিত্র কুরানুল কারিমের সূরা সোয়াদের ২৬ নং আয়াতকে উপস্থাপন করেন । যেখানে আল্লাহ সুবহানাহু ও’তাআলা বলেন, “আর প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না, কেননা তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে। নিশ্চয় যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয় তাদের জন্য কঠিন আযাব রয়েছে। কারণ তারা হিসাব দিবসকে ভুলে গিয়েছিল।”
এক্ষেত্রে মাওলানা মওদূদী রহ.-এর চিন্তাধারা বা মতামত হচ্ছে ওলামায়ে দেওবন্দের অনুরূপ । মাজহাব পরিবর্তনে গুনাহ হবে কিনা — এমন প্রশ্নের জবাবে ইমাম মওদূদী (রহঃ) বলেন,
“আমার মতে এক মাযহাব ত্যাগ করে অন্য মাযহার অবলম্বনে কেবল তখনই গুনাহ হতে পারে, যখন তা করা হবে খেয়াল খুশির বশবর্তী হয়ে। ব্যাখ্যা বিশ্লেষনের ভিত্তিতে নয়।”
খেয়াল-খুশির বিষয়টি একটি ছোট্ট উদাহরণ দিলে বুঝা যাবে । মনে করুন ফিক্বহে হানাফি অনুযায়ী অভিভাবক ছাড়াও একজন মেয়ের বিয়ে হবে । কিন্তু অন্যান্য মাজহাব এবং সালাফি আলিমদের মতে হবেনা । এখন এমন একজন লোক, যে জন্মগতভাবেই আহলে হাদিস তথা সালাফি ওলামাদের অনুসরণ করেন, সে ব্যক্তি শুধু নিজের পছন্দের মানুষকে বিয়ে করার জন্যে এক্ষেত্রে হানাফি ফিক্বহ ফলো করেলন, কিংবা ধরুন সালাতুল বিতর; এটা হানাফি আলিমগণ তিন রাকাআত-ই আদায় করার পক্ষে । এবং এটাকে অধিক বিশুদ্ধ বলে মনে করেন । পক্ষান্তরে সালাফি অলামায়ে কেরামগণ এক রাকাআতকেই অধিক বিশুদ্ধ বলে মনে করেন । এখন হানাফি ফিক্বহ ফলো করে আসার পরেও কেউ যদি স্রেফ অলসতার জন্যে এক রাকাআত সালাত আদায় করেন, তাহলে সেটা মোটেও ঠিক না । কারণ এখানে সে নিজের খেয়াল খুশিকেই প্রাধান্য দিয়েছে । নিজের নফসের পথেই হেঁটেছে । এভাবে নিজের খেয়াল-খুশি নামক যে মাজহাব, সেটা ইমাম মওদূদীর দৃষ্টিতেও সঠিক নয় ।
এখন কথা হলো মওদূদী রহঃ-এর ফিক্বহী অবস্থান কী ছিলো ? মাওলানাকে তা জিজ্ঞেস করার পরে তিনি তার জবাবে বলেছেন, তিনি যথাসম্ভব চেষ্টা করেন অধিক বিশুদ্ধ এবং সত্যের ওপর আমল করতে, কিন্তু যেখানে তিনি অপয়ারগ হয়ে পড়েন, সেখানে তিনি আল-ইমামুল আজম আবু হানিফা রহ.-এর মতামতকে অনুসরণের চেষ্টা করেন।
মাওলানা মওদূদীকে একবার একলোক অভিযোগ দিয়েছেন যে, তিনি জামায়াতে ইসলামীর নামে আহলে হাদিসদেরকে হানাফি বানাচ্ছেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রুকন ছিলো । ওনার ছেলো রুকন ছিলো, সাথে তাঁরা আহলে হাদিস ফিক্বহও অনুসরণ করতো। কিন্তু উক্ত ব্যক্তির ছেলে পরিপূর্ণ সালাফি ফিক্বহের অনুসরণ করতো না । যার দরুণ সে ব্যক্তি ছেলের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের পর্যায়ে পর্যন্ত চলে গেছে। তিনি তা দেখে রাগ-অভিমানের সুরে বলেছেন যে, জামায়াতের গঠনের সূচনালগ্নে তো মওদূদী সাহেব বলেছেন যার যার মাসলাক সে সে অনুসরণ করবে । জামায়াতে প্রত্যেকের নিজস্ব ফিকহি মাজহাব অপরিবর্তনীয় থাকবে । কিন্তু এখন তুমি মুনাফিকি করছো । তাদের আশপাশের লোকজন ওই ব্যক্তির ছেলেকে বলতো যে, তুমি জামায়াতের মধ্যে হানাফিদের আধিক্যে ভীত হয়ে পড়ছো। তাদের ভেতর বিশেষ মর্যদা লাভের বাসনা তোমার ভেতর কাজ করছে । সে লোক ( ছেলে ) মাওলানা মওদূদীকে চিঠি লিখে তা জানিয়েছেন । সাথে এ-ও বলেছেন যে, এসবই যেহেতু রাসূলের (সঃ) স্বীকৃত আমল, তাই এমনটা করি ।
ঘটনাটি জানার পরে মাওলানা ভীষণ আঘাত পেলেন মনে এই কারণে যে, জামায়াতে ইসলামীর রুকন হবার পরেও একজন একজন মানুষ ফিক্বহি বিষয়াদিতে এতোটা চরমপন্থা অবলম্বন করতে পারে! যার কারণে মাওলানা সে ব্যক্তিকে লিখেন, নির্দিষ্ট একটা ফিক্বহ অনুসরণ করাটা দোষের না। কিন্তু সে অবস্থানকে যদি কেন্দ্র করে দ্বীনের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করা, দল-উপদল সৃষ্টি করা, পরস্পরের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্নের কারণ বানিয়ে ফেলা হয়, হানাফি-শাফেয়ী-আহলে হাদিস নামে যদি পৃথক পৃথক উম্মত সৃষ্টি করে ফেলা হয়, তাহলে এটা দ্বীনকে টুকরো টুকরো করে ফেলার শামিল । তিনি বলেন কুরআনে এসবের নিন্দা করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ইসলামে এমন সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই । আর এমন লোকদের দ্বারা আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে চেষ্টা সংগ্রাম ও আত্মানিয়োগ করা অসম্ভব ! যার কারণে তিনি জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদেরকে এমন গোঁড়ামি আর সাম্প্রদায়িকতা পরিহারের নির্দেশনা দিয়ে বলেন,
“ জামায়াতে ইসলামীতে শামিল হয়ে অন্যান্য মাসলাক-মাজহাব পূর্ণ স্বাধীনতার সাথে অনুসরণ করতে পারে। জামায়াতে ইসলামীতে যারা শামিল হয়েছেন, তাঁদেরকে কেবল ইসলামী নীতির শ্রেষ্ঠত্ব ছাড়া অন্য যেকোনো গোত্রীয়-বংশীয়, শ্রেণিগত, জাতীয়তা কিংবা জন্মভূমির শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে গোঁড়ামি-হঠকারিতা পরিহার করে চলতে হবে । ইসলাম ছাড়া অন্য কিছু মুহাব্বাত, বন্ধুত্ব-শত্রুতা গড়ার কারণ যেনো না হয় । কোনো কিছু গড়া কিংবা ভাঙার, গ্রহণ-পরিত্যাগের কারণ যেনো ইসলামই হয়।
”
তিনি এক্ষেত্র আরো কঠিন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি নিজের বিশেষ ফিক্বহি মাজহাবকে একমাত্র সঠিক মনে করে, এবং সেই মাজহাবের মানুষদেরকেই কেবল ভালোবাসে, অন্যান্য মাসলাককে ঘৃণা করে, হানাফি-শাফেয়ি-াহলে হাদিস তথা সালাফি হওয়াকে অপরাধ মনে করে, তাহলে জামায়াতে ইসলামীতে উক্ত ব্যক্তিদের কোনো স্থান নেই ।
ইমাম মওদূদীর কথাগুলো, দৃষ্টিভঙ্গিগুলো আল্লাহর রাসূলের সেই হাদিসেরই পূর্ণ প্রতিফলন, যেখানে তিনি বলেছেন; “বন্ধুত্ব হবে আল্লাহর জন্য, শত্রুতাও হবে আল্লাহর জন্য।” আর তাই তো আমরা দেখি জামায়াতে ইসলামীতে হানাফি যেমন আছে, আছে তেমন সালাফিও । কী স্বাচ্ছন্দ্যেই না জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা রফ’উল ইয়াদাঈন-জ্বোরে আমীন কিংবা বুকে হাত বাঁধা একজনকে সামনে রেখে সালাত আদায় করতে । একই সালাতের জামায়াতে সালাফি-হানাফি অদ্ভুত সুন্দরভাবে সালাত আদায় করতে ।
তথ্যসূত্র : রাসায়েল ও মাসায়েল
Comments
Post a Comment