Posts

Showing posts from February, 2022

"নারী পুনর্জাগরণ কীভাবে হওয়া উচিৎ? "

Image
"নারী পুনর্জাগরণ কীভাবে হওয়া উচিৎ? " নারী পুনর্জাগরণ হবেই। হওয়া উচিৎও বটে। আমাদের নারীদের ডাক্তার বানাতেই হবে। কেননা, আমার মায়ের গোপন চিকিৎসাগুলো তারা ছাড়া আর করবে কে! তারমানে এই না যে, আমাদের নারীদের পুরুষের যৌন চিকিৎসা করার জন্য ডাক্তার হতে হবে কিংবা সেই লক্ষ্যে ডাক্তার বানাতে হবে। নারী শিক্ষিকা হবেই। এর প্রয়োজন অনস্বীকার্য। এরমানে তো এই না যে, আমাদের নারীদের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের প্রফেসর হতে হবে। বরং নারীদের শিক্ষার জন্যই আমাদের লাখো নারী শিক্ষক প্রয়োজন। অসংখ্য গার্লস স্কুল কলেজ ইউনিভার্সিটি প্রয়োজন! সেই প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাঁরা তাঁদেরকেই শিক্ষা দেবে। তাঁরা তাঁদেরই প্রফেসর হবে। তাঁরা তাঁদের অঙনেই কাজ করে যাবে। তাঁদেরকে জাগা উচিৎ নিজেদের হায়া রক্ষা করার জন্যেই। আমরাও তাঁদেরকে জাগিয়ে তোলা উচিৎ নিজেদের গাইরতের খাতিরেই। সেজন্য বলি, জাগা উচিৎ এবং জাগানো উচিৎ সঠিক উদ্দেশ্য আর সঠিক পদ্ধতিতেই। কিন্তু সঠিক উদ্দেশ্য আর পদ্ধতিগত জাগরণ ছাড়া যদি পশ্চিমা ফ্লেভারে নারী জাগরণ চান, তাহলে নারী জাগরণ ঠিকই হবে, সাথে আরো অসংখ্য বিশৃঙ্খলারও জাগরণ হবে! যার ফলাফল কখনো কল্যাণকর হবে না। ইসলামের...

আমাদের কৌশল ও কর্মনীতি কেমন হবে?

Image
তুরস্কের বাস্তবতা, মিশরের বাস্তবতা, বাংলাদেশ কিংবা উপমহাদেশের বাস্তবতা তো এক না। এক না সৌদি আরবের পরিবেশ, মিশর, তুরস্ক কিংবা আমাদের পরিবেশও। অন্যদিকে এসব জায়গার পরিবেশ কিংবা বাস্তবতা থেকে আমেরিকা, চীন ও রাশিয়ার পরিবেশও সম্পূর্ণ ভিন্ন।  এখন আমরা যদি তুরস্ক-মিশর, ইউরোপ-আমেরিকার পরিবেশ এবং বাস্তবতাকে সামনে রেখে আমাদের কর্মপদ্ধতি ঠিক করি, তাহলে তা কি ঠিক হবে? হবে না তো। নিঃসন্দেহে তা ভুল হবে এবং বহু ফিতনার জন্ম দেবে। আমাদের উপমহাদেশের সব ঘরনার আলিম এবং ইসলামি আন্দোলন-সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ এবং ওলামায়ে কেরাম আমাদের সম্মানিত দীনি বোনদেরকে মিডিয়ায় এসে, নিকাব না করে কখনোই বক্তৃতা করা, আলোচনা করা কিংবা কথিত দাওয়াতি কাজ করাকে উৎসাহ দেয় না। কখনো দেয়নি।  যেমন জামায়াতে ইসলামী কিংবা ছাত্রীসংস্থার দিকেই যদি তাকাই—  তাহলে দেখবো যে, এখানে কখনোই তাদের কোনো দায়িত্বশীল নেত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় এসে নিকাববিহীন বক্তব্য দেননি। পাবলিক প্লেসে এসে দাওয়াতি কাজও করেননি। অথচ জামায়াতে ইসলামীতে মহিলাদের মধ্যে মোটামুটি ভালোই কাজ আছে। কোনো কোনো জায়গায় জামায়াতের পুরুষ রুকনদের চেয়ে মহিলা রুকনের সংখ্যাই ...

"খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু কি মুমিন নারীদের ব্যাবসার আইডল?"

Image
  উম্মুল মু'মিনীন আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার কাজ কি পুরুষ সাহাবিদের শিক্ষকতা করা ছিলো? তিনি কি সেই অর্থে পুরুষ সাহাবিদের শিক্ষা দিতেন? খাদিজাতুল কুবরা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা কি মুমিন নারীদের জন্য স্রেফ ব্যাবসার আইডল? তাঁর কাজ কি শুধুই ব্যবসা করা ছিলো? নাকি তাঁর প্রধান পরিচয় হচ্ছে তিনি একজন আদর্শ সংসারী নারী ও একজন মুহসিনা মুসলিমা অনুগত স্ত্রী এবং নারী? দ্বীনকে আর ফেমিনিজমকে একই সাথে ম্যানেজ করতে চাওয়া বহু বোনদের মধ্যে এসব নিয়ে অতি বাড়াবাড়ি আছে, ওনারা খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বানায় নারীদের ব্যবসার আইডল, আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে বানায় মহিলা প্রফেসর। পুরুষ সাহাবিদের শিক্ষক। এভাবে অনেক বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তাঁরা সহজ সরল মানুষকে বিভ্রান্ত করে। অনেক পরিবারের মধ্যে এসব নিয়ে তাদের অনুসারীরা ঝামেলাও সৃষ্টি করে। আজকে আমরা আমাদের মুসলিম উম্মাহ'র সম্মানিতা মা, খাদিজাতুল কুবরা রাদিআল্লাহু আনহার ব্যাপারটি নিয়েই আলোচনা করবো ইন শা আল্লাহ! আমরা যদি আম্মাজান খাদিজা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার দিকে দৃষ্টি দিই, তাহলে দেখবো যে তিনি আসলে সে অর্থে কোনো ব্যবসায়ী ছিলেন না। তাঁর মূল কাজও ব্যবসা ছি...

-||বিশ্ব হিজাব দিবস||-

Image
আজকে পহেলা ফেব্রুয়ারি । বেশ কয়েক বছর থেকে এই দিনটি বিশ্ব হিজাব দিবস হিসেবে কেউ কেউ পালন করে আসছে। হিজাব আরবি শব্দ ।  অর্থ পর্দা।  গোপনীয়তা। ঢেকে রাখা। ইত্যাদি।  ইসলামি শারিয়ায় হিজাব হোলো, গাইরে মাহরাম থেকে নিজেকে দূরে রাখা। শালীন ও চাকচিক্যহীন পোশাকাদির মাধ্যমে নিজেকে আবৃত করে রাখা। নন-মাহরামদের সামনে সৌন্দর্যের প্রকাশ ও প্রদর্শন হয়, এমন সব কিছু থেকে নিজেকে দূরে রাখা। সৌন্দর্য প্রকাশ ও প্রদর্শন হয়, দেহের সেরকম অংশগুলোকে ঢেকে রাখা। পবিত্র কুরআনুল কারিমে শব্দটি  সাতবার  ব্যবহৃত হয়েছে। কোনো নির্দিষ্ট একটি পোশাকের নাম হিজাব নয়। এটি  নৈতিক ও আমল-ঈমানের দিক থেকে নিজের পবিত্রতা-সম্ভ্রম রক্ষার একটি সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার নাম। প্রাপ্তবয়স্কা সকল নারীদের জন্য হিজাব ফরজ করে আল্লাহ বলেন, " আর মুমিন নারীদেরও বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি অবনত রাখে এবং নিজেদের যৌন পবিত্রতা রক্ষা করে চলে এবং স্বীয় সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, শুধু ওই সৌন্দর্য ব্যতীত যা সত্যিই প্রকাশিত হয়ে পড়ে।" (সূরা নুর: ৩১)। এই হিজাব যে শুধু নারীর জন্যেই ফরজ, তা কিন্তু নয়। ফরজ সকল পুরুষদের জন্যেও। নারী...

|| ভালোবাসা দিবস : পেছনের গল্প ||

Image
যা বলার ছিলো : "ভালোবাসা" প্রচণ্ডরকম একটা জনপ্রিয় শব্দ। শব্দটির আলাদা একটা শক্তি আছে। শব্দটা শুনতেই ভালো লাগে। তারচেয়ে ঢের ভালো লাগে ভালোবাসতে এবং তা পেতে। আমি তোমাকে/ আপনাকে ভালোবাসি— যখন কেউ এই কথাটি আমাদেরকে বলে , তখন মনে সৃজন হয় এক প্রবল প্রশান্তির প্রণোদনা। আসলে পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণ-ই ভালোবাসা চায়। ভালোবাসা পেলেই তবে জেগে ওঠে শুষ্ক ও তপ্ত হৃদয়টা। এই ভালোবাসা-ই কখনো কখনো কোনো অমানুষকে মানুষ বানায়। আবার অতিরিক্ত বা অপাত্রে ভালোবাসা কাউকে কাউকে করে তোলে অমানুষ। জীবনের স্বাদ-গন্ধ সব ধূলিসাৎ করে ফেলে। আসলে ভালোবাসা জিনিসটায় রয়েছে এক অনন্য শক্তি । সেই শক্তির কাছে তাবৎ দুনিয়ার সকল কিছুই তূচ্ছ্য হয়ে যায় । আজ চৌদ্দ-ই ফেব্রুয়ারি। রমরমা আয়োজনে পালিত হচ্ছে ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা কোনো দিবস কেন্দ্রীক কিনা, বা ভালোসার জন্যে আদৌ কোনো দিবসের প্রয়োজন আছে কিনা—সে আলোচনা আপাতত রহিত থাক। যারা সবসময়ই যুক্তি-প্রমাণের কথা বলেন , অন্ধ বিশ্বাস আর অজ্ঞতার বিরুদ্ধে সার্বক্ষণিক যাদের কথিত সংগ্রাম। যারা হরহামেশা প্রগতিশীলতার জিকির করে , তারা ইচ্ছেয় হোক বা অনিচ্ছায়— এর সঠিক ইতিহাস জাতির সামনে পেশ ...