"আসলেই কি এসব সুন্নাহ?"





আপনি যখন সুন্নাহর সংজ্ঞা, সুন্নাহর মানে বুঝবেন না, তখন শাওয়াল মাসে বিয়ে করা সুন্নাত, মেয়ের পক্ষ বা মেয়ে নিজে ছেলেকে বিয়ের প্রস্তাব করা সুন্নাত; এসব পাতলা কথাবার্তা এবং পাতলা পোস্ট করে যাবেন ফেসবুকে। এবং বাস্তবেও বন্ধু বা পরিচিতমহলেও এসব মুখরোচক অগ্রহণযোগ্য কথা বলে যাবেন।
শাওয়াল মাসে বিয়ে করা সুন্নাহ নয়। তবে অন্যান্য মাসের মতো শাওয়াল মাসেও বিয়ে করা যায়। রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাওয়াল মাসেও বিয়ে করেছেন। করেছেন অন্যান্য মাসেও।
এরপর ব্যাপকভাবে একটা কথা প্রচার করা হচ্ছে যে, বিয়ের জন্য কনে নিজেই প্রস্তাব করা সুন্নাহ, এটা একটা বাজে কথা! কনের পক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া সুন্নাহ নয়, তবে প্রস্তাব করা যায়। এটা জায়েজ।
নিষিদ্ধ নয়। আবার সুন্নাহও নয়।
সোজা কথা হচ্ছে, চরিত্র রক্ষার্থে যেকোনো মাসেই বিয়ে করা বিপুল পরিমাণ সাওয়াবের কাজ। এবং কোনো নারী যদি ভালো, সৎ, তাক্বওয়ার অধিক নিকটবর্তী কোনো ভালো পাত্র পায়, কাউকে যদি ভালো লাগে, তাহলে শালীনতার মধ্য থেকে প্রস্তাব করা যায়। এতে হয়তো অনেক সাওয়াবও হবে...
সুন্নাহ জানে না, ফরজ জানে না, জানে না জায়েজ আর বিদ'আতের সংজ্ঞা। আসছে ফতোয়া দিতে!
এসব কথা যে ব্যক্তি বলবে, তাকে জিজ্ঞেস করবেন, সুন্নাহ কাকে বলে, আর জায়েজ কাকে বলে, সেটার সংজ্ঞা দিতে!
এই যে যারা এসব মুখরোচক, আর ইমোশনকে সুড়সুড়ি দেয়া কথাবার্তা পোস্ট করে, এরা অধিকাংশই এরচেয়ে শতগুণ গুরুত্বপূর্ণ আর বিশুদ্ধ সুন্নাহ নিয়ে পোস্ট করে না। কথা বলে না। সব সুন্নাহ শুধু টিনএজারদের মনমগজকে উস্কে দেয়ার মধ্যেই যেনো এরা খুঁজে পায়!
শাওয়াল মাসে বিয়ে করা যদি সুন্নাহও হয়, তবুও তার চাইতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ হচ্ছে দ্বীনের জন্য রক্ত ঝরানো। সুন্নাহ হচ্ছে আল্লহর সন্তোষের জন্য অন্য সবার বিরাগভাজন হওয়া। সুন্নাহ হচ্ছে মাঝেমধ্যে বন্দী হওয়া। জেলে যাওয়া। সুন্নাহ হচ্ছে দ্বীন বিজয়ের জন্য প্রয়োজন হলে কুফ/ফার শক্তির সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া। প্রয়োজন হলে কিতাল করা। বন্দী করা। এসব কখনো কখনো ফরজে আইনও হয়ে যায় একজন মুমিনের জন্য।






Comments

Popular posts from this blog

কেমন ছিল শেখ মুজিবুর রহমান

“শবে-বরাত ও সংস্কৃতি : কিছু প্রশ্ন কিছু কথা”

ক্রিটিক্যাল থিংকিংয়ের অপপ্রয়োগ