Posts

Showing posts from May, 2023

“বোধদয়”

Image
০১. আমি যতোই নিজেকে আধুনিক, যুগোপযোগী, প্রগতিশীল, মনোনশীল হিসেবে উপস্থাপন করেছি বা করতে চেয়েছি; ততোই আমি শেকড় হারিয়েছি। ততোই আমি আল্লাহর দীনের সীমানার বাইরে চলে গিয়েছি। যাদেরকে তুষ্ট করতে গিয়ে আমি এতো এতো প্রগতিশীল হবার চেষ্টা সাধনা করেছি, দিন শেষে দেখলাম তারা কখনোই আমার প্রতি পূর্ণ তুষ্ট হয়নি। আসলে তারা কখনো তুষ্ট হবেও না আমার প্রতি। যতক্ষণ না আমি আল্লাহ প্রদত্ত শাশ্বত দীনকে পরিপূর্ণ পরিত্যাগ না করি। কুরআন তো আমাকে সেই সাড়ে চৌদ্দশত বছর পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছে যে, "কাফিররা তোমার প্রতি ততক্ষণ পর্যন্ত সন্তুষ্ট হবে না— যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি তাদের মতোই হয়ে না যাও!"  [আল-বাক্বারাহ ১২০] আমি হিসেব নিকেশ করে দেখলাম, খোদার দীনের চিরন্তন দুশমনদেরকে আমি কখনোই সন্তুষ্ট করতে পারবো না। কখনোই না। যেহেতু তাদেরকে আমি সন্তুষ্ট করতেই পারবো না, তাহলে আমি আমার রবের বিধানের বাহিরে কেন যাবো? তারমানে কি দীনের দুশমন বা পথভ্রষ্ট ও জাহিলদেরকে সন্তুষ্ট করার সম্ভাবনা থাকলে আল্লাহর শাশ্বত ও সত্য দীনের বাহিরে যাবো? নাহ নাহ! এটা তো কস্মিনকালেও একজন মুসলিমের জন্য উচিৎ হবে না। সে এমন কিছু করা তো দূরের বিষয়, চিন্...

"সালাম নিয়ে ভুল ধারণা"

Image
ইদানীং পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে একটা কথা বারবার মনে জানালায় উঁকি দিচ্ছে যে—আমরা কি ধীরে ধীরে সালাম দিতে ভুলে যাচ্ছি? বা সালাম কি কেবল এলিট শ্রেণির প্রতি সাধারণ মানুষের কোনো সম্মানজনক সম্বোধন? অথচ মুসলমানদের প্রতি তাদের প্রধান নেতা, প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশনা হচ্ছে আগে সালাম। এরপর কথা। বাক্যের শুরু হবে, সম্বোধনের আবির্ভাব ঘটবে সালামের মাধ্যমে। আসসালামু কবলাল কালাম। আগে সালাম। পরে কালাম। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এই পথ থেকে ক্রমশই দূরে সরে যাচ্ছে মুসলমানগণ। তারা এখন আর সালাম দিয়ে কথা শুরু করেনা। এটা প্রধানত দুই কারণে হয়। যথা : ০১. প্রথম কারণ হচ্ছে হীনমন্যতা। ০২. দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে অহংকার। আর এই অহংকার দূর করার জন্যই আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মতকে নির্দেশ দিয়েছেন বেশি বেশি সালাম প্রদানের। এবং তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি আগে সালাম করে সে অহংকার মুক্ত। সালাম প্রদানের ক্ষেত্রে কয়েকটি আদব আছে, তারমধ্য অন্যতম একটি আদব হলো আগে সালাম দেওয়ার জন্য চেষ্টা করা। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মতকে আগে আগে স...

নারী ও নেতা : সহমত ভাই-সহমত আপুর সয়লাব যেখানে

Image
মেয়ে হওয়ার এই এক দারুণ সুবিধা যে, আপনি যা বলবেন, যা করবেন, যা লিখবেন, সবকিছুতেই বড়ো একটা অংশকে পাবেন—যারা শুধু আপনি মেয়ে বলেই জি আপু। সহমত আপু। দারুণ বলেছেন আপু। আপু, এত্তো সুন্দর কীভাবে যে বলেন আপনি! কীভাবে বলে ফেললেন এই কথাগুলো আপু, একেবারেই মিলে গেল যে আমার সাথে! এমনকি এমনও হবে যে, আপুর কাছে প্রিয় হতে আপুর উক্তি নিয়ে, আপুর বক্তৃতা বা লেখনির চুম্বকাংশ নিয়ে টাইপোগ্রাফি করে ফেলে ইনবক্সে নক দিয়ে সম্মানিতা আপুকে দিয়ে বলা হবে এই নিন আপু! আপনার পছন্দ হয়েছে তো! আপনি খুব দারুণ লিখেন। আপনি খুব দারুণ বলেন। নিয়মিত আপনার ভিডিও চাই / নিয়মিত আপনার লেখা চাই। এরকম আরো নানানভাবে আপুকে তুষ্ট করার এক প্রচুর প্রচেষ্টা ও প্রতিযোগিতা হয়। বিশেষত ফেসবুক-ইউটিব বা সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ধরনের কাজগুলো একটু বেশিই দৃশ্যমান। কিন্তু হুবহু ওই উক্ত ব্যক্তিদের ফ্রেন্ড-লিস্টে যে আপুদের সহমত আপু বলে তুষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে, তারচেয়েও বেশি ভালো বলে, ভালো লিখে এরকম অনেক ব্যক্তি আছে, যারা হয়তো ছেলে হবার কারণে তার নজরে পড়ে না। কিংবা পড়লে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করার তাগাদাও সে অনুভব করে না। আসলে এটাই বাস্তব। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি...

তুরস্কেও শাহবাগ?

Image
গত ১৪ তারিখ ফেসবুকের মিম্বার গ্রুপে "কেন এরদোয়ানের বিজয় চাই " শিরোনামে একটা পোস্ট করেছি। সংগত কারণেই সে লেখাটায় শাহবাগী শব্দটা ব্যবহার করেছি বা ব্যবহৃত হয়েছে। তো সেখানে একজন ভাই শব্দটা দেখে বলে উঠলো -তুরস্কেও শাহবাগ? প্রশ্নটা দেখে একটু মুচকি হাসি এলো। তবে হাসি আসলেও কিন্তু তিনি বাস্তব প্রশ্নটাই করেছেন। তুরস্কেও কি শাহবাগ আছে? তো আসল কথা হলো, না! আক্ষরিক অর্থে তুরস্কে কোনো শাহবাগ নেই। কিন্তু শাহবাগী আছে। এখন মনে হতে পারে যে, শাহবাগ না থাকলে শাহবাগী থাকবে কীভাবে! হ্যাঁ, এটিই মূল কথা। আসলে শাহবাগ কেবলই কোনো একটা জায়গার নাম নয়। শাহবাগ একটা দর্শন। শাহবাগ একটা আদর্শ। মানুষ পৃথিবীর সব দেশের বামপন্থী আর ইসলাম বিদ্বেষী গোষ্ঠীকে শাহবাগী বলে। এটা ইসলাম বিদ্বেষের একটা প্রতিচ্ছবি। এটাকে কেউ কেউ একটা গালি হিসেবেও ব্যবহার করেন। মূলত যারা মরণ কামড় দিয়ে আল্লাহর দীনকে নস্যাৎ করার উদগ্র বাসনা পোষণ করেন, সেজন্য সর্বস্ব বিলিয়ে কাজ করেন, এটা এখন তাদের একটা উপাধি। বাংলাদেশে ২০১৩ সালে শাহবাগে ঠিক এটাই হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ-যুদ্ধপরাধ ও স্বাধীনতার চেতনার নামে ইসলামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়...

কেন এরদোয়ানের বিজয় চাই?

Image
আগামীকাল তুরস্কের জাতীয় নির্বাচন। তুরস্কের নির্বাচন বিশ্ব রাজনীতির জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। সে হিসেবে তুরস্কের নির্বাচনের প্রতি সবার মতো আমারও আগ্রহবোধ কাজ করে। সবগুলো দলের নির্বাচনী এজেন্ডা ও মেনিফেস্টো’র দিকে খেয়াল করে যা দেখা গেল, সেটা হচ্ছে এরদোয়ান সমকামী এজেন্ডার বিরুদ্ধে এবার মজবুত অবস্থান নিয়েছেন। পক্ষান্তরে তার বিরোধী পক্ষ কথিত নাগরিক অধিকার বা মানবাধিকারের নামে শিরকের পর সবচেয়ে ঘৃণিত এই পাপটাকে অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। যদি এরদোয়ান বিদ্বেষের বিজয় হয়, তাহলে মুসলিম বিশ্বে ন্যাশনালিজম-সেকুলারিজম ইত্যাদির মতো এই ভয়ানক পাপটাও নদী ও সাগরের স্রোতেধারার মতো প্রবেশ করবে। সভ্যতার সূতিকাগার পারিবারিক প্রথা আরো বেশি ভেঙে পড়বে। ইতোমধ্যে পশ্চিমারা এই পাপাচারকে ও মানবতা বিধ্বংসী এই কাজটাকে অধিকার হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য অনেক খাটুনি খেটে যাচ্ছে। এমনকি পশ্চিমে বসবাসরত একশ্রেণির আলিমদেরকেও তারা এর পক্ষে নিয়ে এসেছে। এখন যদি এরদোয়ান হেরে যায়, তাহলে তুর্কীতেও এই পাপাচারটার একটা শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হবে। যে পাপাচারের জন্য মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা একটা জনপদকে...

তুরস্কের নির্বাচন : কোন পক্ষ কোন দিকে? আমি কাকে সাপোর্ট করি?

Image
  তুরস্কের নির্বাচনে আপনি কাকে সমর্থন করেন? - ইসলামি কোনো দলকেই করবো। যারা আল্লাহর দীনকে বিজয়ী করতে চায়। তুরস্কে তো সাংবিধানিকভাবে কোনো ইসলামি দল নেই। তাহলে? - তাহলে ইসলামপন্থী কাউকে, মানে যিনি সরাসরি ইসলামি দল না হলেও ইসলামি আন্দোলনের সেন্স লালন করেন, এমন কোনো দলকেই সমর্থন করবো। তা-ও না থাকলে ইসলামি আন্দোলন হিসেবে পরিচিত না, বা ইসলামি আন্দোলন করেন না কিংবা ইসলামকে ভিত্তি করে রাজনীতি করেন না, কিন্তু ইসলাম ও মুসলমানদের জন্য উপকারী; এমন কাউকেই সমর্থন করবো। কিন্তু তুর্কীয়ে তো কিছুটা ইসলামি দুয়েকটা দল আছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে নাজমুদ্দিন এরবাকান যে দলটি সর্বশেষ রেখে গিয়েছেন, সেটা। সাদাত পার্টি নাম সে দলটির। - হ্যাঁ, তাহলে তো তাদেরকেই সমর্থন করবো। তবে তারা ২-৩% ভোটও পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, সে কারণে তারা যে জোটে আছে, সে জোটকেই সমর্থন করবো। কিন্তু তারা তো কামাল আতাতুর্কের দল, কট্টর বামপন্থী ইসলাম বিদ্বেষী সিএইচপির সঙ্গে জোট করেছে। বামপন্থীদের উদ্দেশ্যে হচ্ছে এরদোয়ানকে হারানো। - কিন্তু কেন তারা এরদোয়ানকে হারানোর জন্য এতো উঠেপড়ে লেগেছে? কারণ হচ্ছে এরদোয়ান যে অন্যান্যদের তুলনায় ইসলাম ও ই...

"এমন জীবন তিনি করেছে গঠন"

Image
০১. আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একজন সাহাবি ছিলেন। নাম ছিলো তার সাদ ইবনে মু'আজ। যিনি মাত্র ৩৭ বছর দুনিয়ায় বেঁচে ছিলেন। তিনি আবার ইসলামও গ্রহণ করেছেন জীবনের শেষ অংশে। একত্রিশ বছর বয়সে। সে হিসেবে তাঁর ইসলামি জিন্দেগির বয়স কেবল ছয় বছর! এই ছয় বছরে তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টির চূড়ান্ত চূড়ায় আরোহন করেছিলেন। মৃত্যুর আগ মুহূর্তেও আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রতি সর্বোচ্চ সন্তুষ্ট ছিলেন। মূলত মৃত্যুর আগে তিনি একটি বিচারের ফায়সালা প্রদান করেন। তখন তাঁকে রাসূলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, ‘তুমি আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী ফয়সালা করেছো।’ ০২. এই যে তাঁর এই ছয় বছরের সামান্য জিন্দেগি, এই ছয় বছরের জীবনে দ্বীনের জন্য যতোগুলো জিহাদ তখন সংঘটিত হয়েছিলো, তিনি সবক'টি জিহাদেই অংশগ্রহণ করেছেন। আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার জন্য বীর বিক্রমে লড়াই করেছেন। বদর-ওহুদে গাজির মর্যাদা লাভ করে খন্দকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শাহাদাতের অমীয় সুধা পানে ধন্য হয়েছেন। মূলত খন্দকে তিনি এক মুশরিক যোদ্ধার নিক্ষিপ্ত একটি তিরের আঘাতে ভীষণ আহত হন। তবে তিনি আল্লাহর কাছে বিশ্বাস ঘাতক বনু ক...

"ইসলামি আদর্শ প্রতিষ্ঠায় লেখালেখি"

Image
  ১. আমাদের সবচেয়ে বড়ো পরিচয় আমরা মুসলিম। আমরা আজাদ দাস, তথা আমরা কেবল এক আল্লাহর দাস। আমাদের কাজই শুধু তাঁর দাসত্ব করা। তাঁর আদেশ-নিষেধ মেনে চলা। আমরা এক আল্লাহ ছাড়া কারো হুকুম পালন করতে কিংবা কারো আনুগত্য করতে বাধ্য নই। হ্যাঁ, কেউ যদি আল্লাহর বিধানানুযায়ী আমাদেরকে পরিচালিত করেন, আমাদেরকে পথনির্দেশ করেন, আমাদেরকে নেতৃত্ব দেন, আদেশ প্রদান করেন, আমরা সেই আদেশের, সেই নির্দেশের আনুগত্য করি। সেই আনুগত্য করতেও বাধ্য আমরা। আল-কুরআন আমাদেরকে বলে যে, ‘হে বিশ্বাসীরা! তোমরা আনুগত্য করো আল্লাহর এবং আনুগত্য করো রাসুলের ও তোমাদের নেতৃবৃন্দের। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৫৯) তবে রাসুলে আকরাম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম এ-ও বলে দিয়েছেন যে, স্রষ্টার অবাধ্য হয়ে সৃষ্টির আনুগত্য নেই। (বুখারি-৭২৫৭; মুসলিম-১৮৪০) আমাদের— “আজাদ দাস” —এই পরিচয় ছাড়াও আরেকটা পরিচয় হচ্ছে আমরা তথা মুসলিম উম্মাহ হলাম  মিশনারী উম্মাহ । আমাদের রাসুল, আমাদের প্রিয় নবি-প্রিয় নেতা মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ (সল্ললাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম) বলেছেন যে, আমার পক্ষ থেকে যদি একটা বাণীও তুমি জানো, তবে তা তুমি অপরের নিকট পৌঁছে দাও। (বুখারি-৩৪...

“নারী পুরুষের সমতা ও শ্রমিক দিবস”

Image
    আজকে পহেলা মে।   বিশ্ব শ্রমিক দিবস।   এই দিবসটি বিশ্বের  ৮০-টি দেশে  পালন করা হয়ে থাকে। তো এই শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে আজকে বহু মানুষ বহু শ্লোগান দিচ্ছে। বহু লেখক বহুরকম লেখা লিখছে। শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে সচেতন করছে। আমি সেসব নিয়ে কিছু লেখবো না। আমি ওপরে যে ছবিটি আছে না? সে ছবিটির আলোকে নারী-পুরুষের শ্রম ও সমতা নিয়ে দুটো কথা বলতে চাই। চলুন, তাহলে শুরু করি — এই যে এমন ধরনের পরিশ্রম, এসব পরিশ্রম কি আদৌ একজন নারীর সাথে যায়? যারা নারী পুরুষের সমতার বাণী কপচিয়ে বেড়ান, তারাও কি কখনো নিজেদের মা-বোন, স্ত্রী-কন্যাকে এসব শ্রমে জড়িত হতে দেবেন? এখানে যে পরিমাণ পুরুষ শ্রমিক আছে, সে পরিমাণ নারী শ্রমিক কি আপনি নিয়োগ করা সমর্থন করবেন?  শত শত তলা বিল্ডিং তৈরির কাজ করতে এতো ওপরে, এতো উঁচুতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে, সেগুলোকে মেরামত করতে, আকর্ষণীয় করতে, রঙ্গ করতে আপনি যতোই গরিব আর অভাবী হন, আপনি কি আপনার পরিবারের কোনো নারীকে কাজ করতে দেবেন? এসব কি আদৌও একজন নারীর সত্ত্বার সাথে যায়? যেকোনো বিবেকবান ব্যক্তিই স্বীকৃতি দেবেন— অবশ্যই যায় না। তার মানে না...