কেন এরদোয়ানের বিজয় চাই?





আগামীকাল তুরস্কের জাতীয় নির্বাচন। তুরস্কের নির্বাচন বিশ্ব রাজনীতির জন্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। সে হিসেবে তুরস্কের নির্বাচনের প্রতি সবার মতো আমারও আগ্রহবোধ কাজ করে। সবগুলো দলের নির্বাচনী এজেন্ডা ও মেনিফেস্টো’র দিকে খেয়াল করে যা দেখা গেল, সেটা হচ্ছে এরদোয়ান সমকামী এজেন্ডার বিরুদ্ধে এবার মজবুত অবস্থান নিয়েছেন। পক্ষান্তরে তার বিরোধী পক্ষ কথিত নাগরিক অধিকার বা মানবাধিকারের নামে শিরকের পর সবচেয়ে ঘৃণিত এই পাপটাকে অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে।


যদি এরদোয়ান বিদ্বেষের বিজয় হয়, তাহলে মুসলিম বিশ্বে ন্যাশনালিজম-সেকুলারিজম ইত্যাদির মতো এই ভয়ানক পাপটাও নদী ও সাগরের স্রোতেধারার মতো প্রবেশ করবে। সভ্যতার সূতিকাগার পারিবারিক প্রথা আরো বেশি ভেঙে পড়বে।

ইতোমধ্যে পশ্চিমারা এই পাপাচারকে ও মানবতা বিধ্বংসী এই কাজটাকে অধিকার হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য অনেক খাটুনি খেটে যাচ্ছে। এমনকি পশ্চিমে বসবাসরত একশ্রেণির আলিমদেরকেও তারা এর পক্ষে নিয়ে এসেছে। এখন যদি এরদোয়ান হেরে যায়, তাহলে তুর্কীতেও এই পাপাচারটার একটা শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হবে। যে পাপাচারের জন্য মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা একটা জনপদকেই উল্টিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন!

এরদোয়ানের এবার লড়াইটা মূলত LGBTQ এর বিপক্ষে লড়াই। তিনি প্রত্যেকটা প্রোগ্রামেই এর বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্য হচ্ছে আমি হেরে গেলেও LGBTQ এর বিরুদ্ধে আপোষ করবো না।

আর অন্যদিকে তার বিরোধী জোট এটাকে বাস্তবায়নের জন্য কোমর বেঁধে নেমেছে। তাদের জোট থেকে আব্দুল কাদের কাদারদোয়ান নামক নামক একজন রানিং এমপি এটার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করার কারণে মনোনয়ন পর্যন্ত দেয়নি। বুঝাই যাচ্ছে যদি এরদোয়ান খোদা না করুন হেরে যায়, তাহলে বড্ড দুর্দিন আছে ইসলামকে মেনে চলতে চাওয়া মুসলমানদের কপালে।

এরদোয়ানকে কেবল এই LGBTQ-এর বিপক্ষে এমন দৃঢ় ও মজবুত অবস্থান গ্রহণ করে লড়াকু মানসিকতার পরিচয় দেওয়ার কারণেই মনেপ্রাণে সমর্থন করছি। কারণ, আমাদের অনাগত দিনের লড়াইটা LGBTQ-এর বিপক্ষেই।

আল্লাহ আমাদের তুর্কী মুসলমান ভাইবোনদেরকে তুর্কী শাহবাগীদের ঘৃণ্য এসব এজেন্ডা থেকে হেফাজত করুন।


~রেদওয়ান রাওয়াহা
১৩/০৫/২৩

Comments

Popular posts from this blog

কেমন ছিল শেখ মুজিবুর রহমান

“শবে-বরাত ও সংস্কৃতি : কিছু প্রশ্ন কিছু কথা”

ক্রিটিক্যাল থিংকিংয়ের অপপ্রয়োগ