“আমার চাওয়া বনাম আল্লাহর চাওয়া”

রমাদান মাস। রোজার দিন। এই রোজা-অবস্থাতে আমার প্রচণ্ড ক্ষুধা পেয়েছে। পিপাসায় কাতর হয়ে পড়েছি। এখনো ইফতারের সময় হয়নি। এই দারুণ দুঃসময়ে কিছু খেতে মন চাচ্ছে। অন্তত এক ঢোক পানি হলেও খেতে পারলে ভালো লাগতো। কষ্টটা কম হতো। কী এক দারুণ দুঃসময় যাচ্ছে ! ত্রিশটা দিন কীভাবে অতিক্রম করবো, ভাবতেই পারছি না। বহু মানুষ এই কঠিন কষ্টের কারণেই রমাদানের সিয়াম পালন করতে পারছে না। সে কারণে আমার মনে হয় ইফতারের সময়কে যুগের আলোকে সহজ (পড়ুন শরিয়াহকে যুগের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাখ্যা করতে পারলে) করতে পারলে রোজাদারের সংখ্যা অনেক বাড়তো। মানুষের কষ্ট কম হতো। যারা কষ্টের কারণে রোজা রাখছে না, তারাও হয়তো রোজা রাখতে শুরু করবে। হয়তো বহু মানুষ এমনও আছেন, যারা এই ক্ষুত-পিপাসার কষ্ট সহ্য করতে পারে না বলেই ইসলাম গ্রহণ করে না। যারা করছে, তারাও রোজা রাখছে না। সিয়ামের মতো একটি ফরজ ইবাদাত লঙ্ঘন করছে। যার কারণে আমি মনে করি বর্তমান যুগ ও বাস্তবতা বিবেচনায় রোজাকে একটু সহজ করা প্রয়োজন। সাহরি-ইফতারে একটু শিথিলতা প্রয়োজন। হ্যাঁ, এগুলোই আমার চাওয়া। এসব আর এমনটাই আমি চাই। ইসলাম কিন্তু এটা না। এটা কেবলই আমার নফসের...