জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশ
স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে একমাত্র জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের মানুষের মূল্যবোধ ও আদর্শকে প্রাধান্য দিয়ে দেশ পরিচালনা করেছেন।
ইসলাম ও ইসলামি রাজনৈতিক কাজ-কর্মের ওপর পূর্বের সরকার যেভাবে খড়গহস্ত ছিলো, তিনি সেগুলো থেকে জাতিকে মুক্তি দেন। বলা যায় পলিটিক্যাল ইসলামকে তিনিই স্পেইস করে দেন বাংলাদেশে।
মানুষের বাক ও ভাতের স্বাধীনতা যেভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, জিয়া বাংলাদেশের মানুষকে সেই কেড়ে নেওয়া স্বাধীনতা পুনরায় প্রদান করেন ।
মুসলিম বিশ্বের সাথে একটা হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কও তৈরি করেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
যদি জিয়া বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় আরেকটু দীর্ঘ সময় থাকতে পারতেন, তাকে হত্যা করা না হতো, তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ভিত্তি আজকের চেয়ে আরেকটু মজবুত থাকতো। হয়তো বাংলাদেশকে আমরা স্বয়ংসম্পন্ন আত্মমর্যাদাবান একটা রাষ্ট্র হিসেবেও দেখতে পারতাম।
আমি বিশ্বাস করি, তিনি আর কয়েকটা বছর দেশ পরিচালনা করতে পারলে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে আজকের মতো এমন আশঙ্কায়, অনিরাপত্তায় ও ঝুঁকিতে পড়তে হতো না বাংলাদেশকে।
আমার কাছে প্রেসিডেন্ট জিয়ার নাম মনে আসলে কয়েকটা চিত্র ভেসে ওঠে:
• বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্র নেতা।
• বাংলাদেশের মানুষের মূল্যবোধ ও জাতীয় চেতনাকে সর্বাধিক শ্রদ্ধাকারী।
• বহুদলীয় রাজনীতির রূপকার।
• প্রচণ্ড জনপ্রিয় একজন জনদরদী নেতা।
• বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ইসলামপ্রেমী সরকার প্রধান।
• বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলকারী সরকার।
• কৃষি উন্নয়ন ও সম্প্রসারণকারী।
• বাংলাদেশের মানুষের বেকারত্বের সমাধানে সবচেয়ে অগ্রগতি সাধনকারী।
• বাঙ্গালি ও বাংলাদেশী জাতীয়তাকে পৃথককারী নেতা।
আমি প্রেসিডেন্ট জিয়ার দলের রাজনীতি না করলেও বাংলাদেশে তিনিই আমার সবচেয়ে পছন্দের একজন রাজনীতিবিদ।
বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য, এদেশের মানুষ জিয়ার মতো কোনো
নেতা আজ অবধি পায়নি।
আজকে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী। আমি মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত কবুলের কামনা করছি। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা জিয়াউর রহমানকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান বানিয়ে রাখুন। আ-মী-ন।
~রেদওয়ান রাওয়াহা
৩০.০৫.২৪ ইং
Comments
Post a Comment