পুরুষ বিদ্বেষ
নারী বিদ্বেষ নিয়ে কথা হয়। প্রতিবাদ হয়। কিন্তু পুরুষ বিদ্বেষ, পুরুষ-অপমান ও পুরুষের প্রতি জুলুমের বিষয়ে কেউ কথা বলে? প্রতিবাদ হয়?
একজন নারী কোনো এক অভিযোগ করলেই যেভাবে পুরুষের প্রতি হনহনিয়ে তেড়ে আসা হয়, কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়া তার ওপর হামলে পড়া হয়, ঠিক ততোটাই নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা প্রদর্শন করা হয় কোনো মেয়ে একজন পুরুষের প্রতি জুলুম করলে, অন্যায় করলে।
ছোটো বেলায় মেয়েশিশুদেরকে এবিউজ করা হয়, সেটা নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা হয়। প্রতিবাদ হয়। কিন্তু একই জিনিস ছেলে শিশুদের সাথেও হয়। মেয়েদের পক্ষ থেকেও অনেক সময় হয়। আত্ম-লজ্জায়, আত্ম-সম্মানের কারণে এগুলো নিয়ে ছেলেরাও হয়তো কথা বলে না।
নারীদের দেহ, রং, অবয়ব নিয়ে কথা বললে সেটা হয়ে যায় নারী অবমাননা। কিন্তু সেইম কাজ যখন পুরুষের প্রতি করা হয়, তখন সেটা নিয়ে আমরা সবাই মজা নিই।
নারীকে তার সম্মতি ছাড়া হাজব্যান্ড সেক্স করলেও সেটা নাকি ধর্ষণ হয়ে যায়। কিন্তু এখন সমাজে যে পুরুষকেও নারীর পক্ষ থেকে যৌন হয়রানি করা হয়, ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করা হয়, নানাভাবে ও নানা কৌশলে হেনস্তা করার চেষ্টা চলে, সেগুলো নিয়ে আমরা কেউ মুখ খুলি?
হ্যাঁ, ছেলেরাও মুখ খোলে না। কারণ, মুখ খুললেই, কথা বললেই দোষ দেওয়া হবে ছেলেটার ওপর। অপরপক্ষে নারীরা কেবল নারী, এই কোয়ালিটিতেই ছাড় পেয়ে যাবে।
প্রশাসন, মিডিয়া, মানুষের সিম্প্যাথি, রাজনীতি, সবকিছুই তো নারীর পক্ষে।
নারীর প্রতি জুলুম হয় ঠিক আছে। সীমাহীন জুলুম হয়। এই জুলুমগুলো অধিকাংশ সময় অন্য নারীরাই করেন। সেগুলো নিয়েও ব্যাপকভাবে আলোচনা হয়। কথা হয়। সিম্পোজিয়াম হয়। সেমিনার হয়।
কিন্তু ছেলেদের প্রতি জুলুম নিয়ে কে কবে প্রতিবাদের প্লাবন বইয়েছে?
তাসলিমা নাসরিন থেকে বেগম রোকেয়া, আমেনা ওয়াদুদ থেকে বাংলাদেশের সর্বনিকৃষ্ট মেয়ে ফারজানা মাহবুবা (শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জামায়াতের সাবেক এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মরহুম মাওলানা আবু তাহেরের মেয়ে সে। যদিও সে তার বাবার সংগঠনে নেই। এমনকী ছাত্রী সংস্থাকেও সে পছন্দের চোখে দেখে না), কার ভেতর, কার লেখায় রগরগে পুরুষ বিদ্বেষ নেই? আমরা কবে কার পুরুষ বিদ্বেষ চর্চার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি?
অথচ এই পৃথিবীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলো কিন্তু সব করে পুরুষেরাই। এই পৃথিবীর সব ভয়াবহ ঝড়-ঝঞ্ঝা মোকাবিলা করে পুরুষরাই। সভ্যতাকে রক্ষা করে পুরুষেরাই।
অথচ আমরা একচ্ছত্রভাবে এই পুরুষকেই ভিলেন বানিয়ে হিরো সাজার চেষ্টা করছি।
আমি জানি, আমি কী ভয়াবহ ক্ষত নিয়ে পোস্টটা করেছি। ছেলে তো, তাই হজম করে রাখি। হৃদয়ের গভীরে সব ক্লেদ, আক্ষেপ ও যন্ত্রণাগুলো জমিয়ে রাখি। কিন্তু আজকে এক ভাইয়ের কিছু ভয়াবহ অবস্থার কথা শুনে নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি।
একজন নারী তার নারীত্বের ব্যবহার করে তার জীবনে দুঃসহ যন্ত্রণা নিয়ে এসেছে। অথচ তিনি কোথাও ন্যায়বিচার পাননি। কোথাও না।
এভাবেই আমাদের সমাজের ছত্রে ছত্রে অজস্র পাপিষ্ঠ তার নারী ক্যারেক্টর ব্যবহার করে পুরুষকে পথের ভিখারি বানিয়ে দিয়েছে। তার জীবন-সম্পদ, ইজ্জত-আব্রু ধুলোয় ধূসরিত করে ফেলেছে....
~রেদওয়ান রাওয়াহা
০৭.০৫.২৪ ইং
Comments
Post a Comment