আওয়ামী অবৈধ মন্ত্রী দীপু মনিকে হাতকড়া না পরানো প্রসঙ্গ

 



এখন ভয়াবহ বন্যার সময়। দেশের মহা এক ক্রান্তিকাল। তবুও একটা বিষয় নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন মনে করছি। সেটা হচ্ছে গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরাচার, খুনি, ভোট ডাকাত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ভোট চোর, খুনি ও স্বৈরাচারী মেয়ের অবৈধ মন্ত্রী এমপিদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং হচ্ছে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। তো এর মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসকারী সাবেক অবৈধ শিক্ষামন্ত্রীকেও (এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলো) গ্রেফতার হয়েছে। তার সাথেই গ্রেফতার হয়েছে ক্রিড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। তো গ্রেফতারের পর তাদেরকে হাতকড়া পরানো হয়নি। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন নিরাপরাধ ফুলের মতো মানুষদেরকেও পরানো হতো। তাদের চেয়েও বড়ো বড়ো নেতৃবৃন্দকেও হাতকড়া নয় শুধু, ডাণ্ডাবেড়িও পরানো হতো।


তো বালু খেকো, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের অন্যতম প্রধান হোতা, খুনি দিপু মনিসহ এদেরকে কেন হাতকড়া পরানো হলো না, সেজন্য আইনজীবীরা প্রশ্ন করে, প্রতিবাদ করে। যার ফলে উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে হাতকড়া পরানো হলো। কিন্তু দিপু মনিকে নারী বিবেচনায় হাতকড়া পরানো হলো না। আবার খেয়াল করুন— তার মতো এমন দুর্ধর্ষ অপরাধী, ভোট ডাকাত, নদী ও বালু খেকো এবং মানবতাবিরোধী অপরাধীকে কেন হাতকড়া পরানো হলো না?

- উত্তর হলো নারী বিবেচনায় হাতকড়া পরানো হলো না।  অথচ সে যেসব অপরাধ করেছে, এগুলো অন্য সাধারণ আরো দশজন পুরুষও ক্ষেত্র বিশেষ করে না বা করতে পারে না। এমনকী তার সাথে যে ক্রিড়া উপমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, পরবর্তীতে প্রতিবাদের মুখে হাতকড়া পরানো হয়েছে— সে আরিফ খান জয়ও কিন্তু দিপু মনির চেয়ে তুলনামূলক কমই অপরাধী। ক্ষেত্র বিশেষ দিপু মনি নামক এই আওয়ামী অসভ্য নারীটার অর্ধেকও অপরাধ করেনি। তবুও সে পুরুষ জন্য হাতকড়া পরতে হলো, আর দীপু মনি নারী বিবেচনায় পার পেয়ে গেলো।

দেখুন তাহলে, দীপু মনির মতো একটা অভিশপ্ত, গণধিকৃত, বাংলাদেশের অন্যতম একজন শ্রেষ্ঠ অপরাধীকেই কিন্তু নারী বিবেচনায় হাতকড়া পরানো হলো না, স্রেফ নারী বিবেচনায়। তাহলে এবার চিন্তা করে দেখুন, নারী টার্ম ব্যবহার করে, এই পরিচয় ইউজ করে কতো অভিশপ্ত কালনাগিনীরাও পার পেয়ে যেতে পারে এবং যায়।

নারী পরিচয় হাজির করে, নারী টার্ম ব্যবহার করে, কতো দুর্বৃত্তায়ন যে চলে এই সমাজ ও বিশ্বের পরতে পরতে, তা কি আর বলে বুঝাতে হবে? অমুকে নারী বা আমি নারী— এই পরিচয়ের জন্য কতো কতো অন্যায় যে এই সমাজ ও সমাজের মানুষ মুখ বুজে সহ্য করে যায় বা যেতে হয়, কতো অজস্র মানুষের জীবনকে যে বিভীষিকাময় করে তোলা হয় এই নারী টার্মের ফাঁন্দে ফেলে, তা এই পৃথিবীর কে না জানে? কতো অজস্র ডাইনি ও দুর্বৃত্তরা স্রেফ নারীত্বের বলে বলিয়ান হয়ে মিথ্যের বেসাতি নিয়ে সমাজে হাজির হয়ে মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে, সেটা নিয়ে আমরা কতোটুকু সচেতন?

তবে হ্যাঁ, আল্লাহর রহমতে নতুন প্রজন্ম এবং নতুন করে কিছু মানুষ সচেতন হচ্ছে। মুখবুজে এসব সহ্যের দিন অতিক্রম হচ্ছে ধীরে ধীরে, আলহামদুলিল্লাহ।

সামনে নারী বিবেচনায় শেখ হাসিনার অপরাধকেও, এবং তার অপরাধের সাজাকেও লঘু করে দিয়েন। কারণ সে-ও একজন নারী। এবং সে একজন মুসলিম নারী। তার ওপর আবার শাড়ি পরা বাঙালি নারীই।

যাই হোক, এরচেয়ে আর বেশি কিছু বললাম না। সিম্পদের আবার খুব কষ্ট হবে। তাদের আবার জীবনের মঞ্জিলে মকসুদ হচ্ছে সব সময়ই সহমত আপ্পো হয়ে থাকা।

লেখাটি শেষ করছি দীপু মনির একটা ধৃষ্টতা দেখিয়ে। আন্দোলন চলাকালীন সে যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে সেটা আরকি। এই বালু খেকো, শিক্ষা খেকো অবৈধ দখলদার মন্ত্রী নামক দুর্বৃত্ত ডা. দীপু মনি বলেছেন, 'যারা নিজেদেরকে রাজাকার বলে পরিচয় দেয়, তাদের মুক্তিযুদ্ধের শহীদের রক্তস্নাত লাল সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে বা সে পতাকা কপালে বেঁধে নিয়ে মিছিল করবার কোন অধিকার থাকতে পারে না'।

রোববার (১৪ জুলাই) দিনগত মধ্যরাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব কথা বলেন সাবেক আওয়ামী অবৈধ  সমাজকল্যাণমন্ত্রী।


~রেদওয়ান রাওয়াহা
২২. ০৮. ২৪

Comments

Popular posts from this blog

কেমন ছিল শেখ মুজিবুর রহমান

“শবে-বরাত ও সংস্কৃতি : কিছু প্রশ্ন কিছু কথা”

ক্রিটিক্যাল থিংকিংয়ের অপপ্রয়োগ