ভারতে মাদরাসা ভাঙ্গা

 





মাদ্রাসা নয়, যেন ইসলাম-মুসলমান এবং ইতিহাসের গায়ে শাবলের আঘাত


ভারতের মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় দাঁড়িয়ে থাকা ত্রিশ বছরের পুরনো একটি মাদ্রাসা— যেটি শুধু চার দেওয়ালের মাঝেই সীমাবদ্ধ নয়, ছিল এক প্রজন্মের স্বপ্ন, বিশ্বাস ও জ্ঞানের আঁতুড়ঘর— তা সম্প্রতি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘অবৈধ নির্মাণ’ আখ্যা দিয়ে।


এই ঘটনাটি ঘটেছে সদ্য পাস হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী বিল-এর আলোকে, যার অন্তরালে লুকিয়ে আছে মুসলিমদের ধর্মীয় সম্পদের ওপর আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা।


 কেউ কেউ বলতেই পারে, এটিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া ছিল আইন অনুযায়ী; কিন্তু একটি জাতির বিশ্বাস, শিক্ষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থলকে এইভাবে নিশ্চিহ্ন করা—এটা কোনো আইন নয়, বরং অবিচারকে আইনের মুখোশ পরানো। কিন্তু যারা জানে, মাদ্রাসা কীভাবে আত্মা গড়ে তোলে, তারা বুঝবে— এটি কেবল ইট-পাথরের বিল্ডিং ছিল না। এটি ছিল সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি।


এদিকে উত্তরাখণ্ডে ১৭০টি মাদ্রাসা ইতোমধ্যেই সিলগালা করা হয়েছে। যেন এক এক করে নিভিয়ে দেওয়া হচ্ছে ঈমানের দীপশিখা, যেন তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বাতাস থেকে ইসলামের কণ্ঠস্বর।


আজ প্রশ্ন জাগে—এ কি কেবল ভবন ভাঙার অভিযান, না-কি ইতিহাস, পরিচয় ও বিশ্বাসের প্রাচীরে আঘাতের শুরু?


১৪.০৪.২৫

Comments

Popular posts from this blog

কেমন ছিল শেখ মুজিবুর রহমান

“শবে-বরাত ও সংস্কৃতি : কিছু প্রশ্ন কিছু কথা”

ক্রিটিক্যাল থিংকিংয়ের অপপ্রয়োগ