সভ্যতা ও নারী
একটি সমাজকে ভেতর থেকে পরিবর্তন করতে হলে প্রয়োজন মেটিকুলাসলি প্ল্যানড সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে মানুষের চিন্তা-চেতনা, নৈতিকতা এবং মূল্যবোধকে সুপরিকল্পিতভাবে নতুন ছাঁচে ঢেলে সাজাবার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এই প্রচেষ্টার সবচেয়ে বড়ো প্রতিবন্ধক যা, তা হলো পরিবার, আর পরিবারের প্রাণকেন্দ্র হলো নারী। উপনিবেশবাদীরা এটি নিখুঁতভাবে বুঝেছিল। তাই তারা নারীকে তাদের সমাজ-রূপান্তর প্রজেক্টের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। এজন্য ‘ ‘নারী অধিকার’’ , ‘‘নারী স্বাধীনতা’’ কিংবা ‘ ‘নিজের পায়ে দাঁড়ানো’’ ‘‘সফল কিংবা সাহসী নারী’’, ইত্যাদির মতো কিছু ন্যারেটিভ, কিছু মুখরোচক ও ঝলমলে স্লোগানকে সামনে নিয়ে আসে। এই স্লোগানগুলোকে তারা সামনে নিয়ে এলেও বাস্তবে এগুলো হলো মরীচিকা; ভেতরে লুকানো আছে পরিবারকে দুর্বল করার সাবটল স্ট্র্যাটেজি। মূলত পরিবারই সমাজের মৌলিক ভিত্তি। এটি শুধু সামাজিক প্রতিষ্ঠানই নয়, বরং মানুষের চরিত্র ও মূল্যবোধ গঠনের প্রথম পাঠশালা। সভ্যতার প্রধান এবং প্রথম বুনিয়াদ। পরিবারে একজন মায়ের মাধ্যমে সন্তানের অন্তরে প্রবেশ করে বিশ্বাস, মূল্যবোধ, নী...