Posts

Showing posts from November, 2024

শহীদ নাজমুল কাজী

Image
  ফুটফুটে গোলাপের মতো ছোট্ট শিশুটিকে কোলে নিয়ে হাসিমাখা মুখের এই শান্ত সৌম্য চেহারার মানুষটির নাম নাজমুল কাজী। তিনি জুলাই বিপ্লবের একজন বীর শহীদ। জুলাই ম্যাসাকারের সেই উত্তাল দিনগুলোতে ঘরে বসে থাকতে পারেননি নাজমুল। সংসার, স্ত্রী আর শিশুকন্যার কথা একপাশে রেখে আন্দোলনে একটু কন্ট্রিবিউট করতে চেয়েছিলেন। এবং যথাসাধ্য করেছিলেনও। ১৮ জুলাই। যাত্রাবাড়ির শনির আখড়ায় নেমেছিলেন তিনি। সাইকোপ্যাথ হাসিনার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে লড়তে থাকা সাহসী বীরদের সাহায্যে পানি নিয়ে ছুটে যান। কিন্তু এই পানি নিয়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাওয়া তার জীবনের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। ঘাতকদের চোখে এই কাজটুকুও অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হলো। ফলাফল— শুধু পানি হাতে সাহায্য করতে চাওয়া এই মানুষটিকে তার নিষ্পাপ শিশুকন্যা আর ভালোবাসার স্ত্রীসহ সবার কাছ থেকে চিরতরে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। নাজমুল কাজী আলিঙ্গন করলেন শাহাদাতের মৃত্যু। যে মানুষটি পানি খাওয়াতে নেমেছিলেন মানুষকে, তিনি নিজেই পানি খাওয়ার উপযুক্ত হয়ে শাহাদাত বরণ করলেন। আর তার পরিবারেও নেমে এলো পাহাড়সম শোক। অল্প বয়সে স্বামী হারানোর পাহাড়সম শোক বুক ধারণ করে নাজমুলের স্ত্রী এখন ছোট্ট শিশু...

চরমপন্থা, উগ্রতা ও ৯/১১ নিয়ে কিছু কথা

Image
  আমার প্রশ্নটা শিক্ষিত চরমপন্থীদের ব্যাপারে।চরমপন্থী একটা সংগঠন আছে।এর প্রধান বিখ্যাত একজন বিশেষজ্ঞ আমাকে ফতোয়া দিয়েছে ‘একজন কাফের হিসেবে’আর অন্য মুসলিম যারা রাজনীতির সাথে জড়িত তারাও কাফের।তারা কুরআনের আয়াত ব্যবহার করে, যাতে বলা হয়েছে যে,কেউ আল্লাহর আইন ছাড়া অন্য আইন রচনা করে সে কাফের। তাঁরা এই আয়াতগুলো ব্যবহার করে।তারা ‘৯/১১’কে উৎসাহিত করে।আপনার কাছে প্রশ্ন ডা.নায়েক,এই চরমপন্থীদের কিভাবে শিক্ষা দিব?তাঁরা দাবি করে কুরআন ও সুন্নাহ অনুসরন করে। ___________________ ডা.নায়েকের উত্তর:   ভাই প্রশ্ন করলেন যে,একটা সংগঠনের চরমপন্থীরা যারা তাকে কাফের বলছে,তাঁরা বোমা-হামলাকে উৎসাহিত করে,আত্মঘাতী বোমাহামলা,৯/১১।তাই কিভাবে এই চরমপন্থীদের বোঝাবেন আপনি? ভাই যদি মুসলিম চরমপন্থীর কথা বলেন তাহলে আমি নিজেকে মুসলিম চরমপন্থী বলি।আমি চরম ভাবে দয়ালু,চরম ভাবে সৎ,চরম ভাবে ন্যায়পরায়ন,চরমভাবে ক্ষমাশীল।এতে সমস্যা কোথায়?কুর’আন বলছে চরম ভাবে সৎ হতে,আংশিক হতে পারবো না আমি।তাই আমি চরমপন্থী মুসলিম। আমরা সে লেভেল মানবো না যা পশ্চিমা মিডিয়া দিয়েছে।যখন তারা জিজ্ঞেস করে,হ্যা বলি আমি চরমপন্থী।চরম ভাবে দয়ালু,চরম ভা...

জান্নাতাবাদ নাকি নিয়ামত-পুর-ই দোযখ?

Image
  বাংলার পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে প্রাচীনকাল থেকে একধরনের বিতর্ক ও ভুল ধারণা চলেই আসছে। অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে, নানা মুনির নানা মত। ইবনে বতুতার মতে, খোরাসানের অধিবাসীরা বাংলাকে দুজুখ-ই-পুর-নিয়ামাত বা সমস্ত ভালো জিনিসের নরক বলে অভিহিত করে। সম্রাট হুমায়ুন কয়েকমাস বাংলার গৌড় শহরে অবস্থান করে এর স্নিগ্ধ জলবায়ু ও মধুর পরিবেশে এতবেশি মুগ্ধ হন যে তিনি এর নামকরণ করেন জান্নাতাবাদ। আবার প্রথম যুগের মুসলমান ঐতিহাসিকগণও বাংলাকে প্লেগ, ম্যালেরিয়া, ও অন্যান্য রোগের জন্মভূমি রুপে চিত্রিত করেছেন।  উত্তর ভারতের অধীবাসীরা বাংলার জলবায়ু ও বৃষ্টিপাত ভীতির চোখে দেখত এবং তারা সাধারণত বাংলাতে চাকুরি করা এড়িয়ে চলতো। গৌড় দখল করার পর হুমায়ুন জাহিদ বেগকে বাংলার শাসনকর্তা নিয়োগ করেন। সমৃদ্ধশালী প্রদেশের এরকম একটি উচ্চপদে নিযুক্তির জন্যে সম্রাটের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে জাহিদ বেগ মন্তব্য করেন, "জাঁহাপনা (সম্রাট হুমায়ুন) কি আমাকে মারার জন্য বাংলা অপেক্ষা উত্তম জায়গা খুঁজে পান নি। এমনকি, সম্রাট আকবরের প্রথম দিকে মোগল সেনারা বাংলায় কাজ করতে পছন্দ করত না, যদিও তাদেরকে দ্বিগুণ বেতন প্রদান করা হয়েছিল। অস্বাস্থ্...

মরতেই হবে যখন......

Image
  আমার ভেতর থেকে মৃত্যু ভয় উবে গেছে। এখন আমি মরতে চাই। মাঝখানে ভয় পেতাম। অযথাই ভাবতাম—আমি যদি মরে যাই, এটার কী-হবে, ওটার কী-হবে? অমুকের কী হবে? তমুকের কী হবে? এখন বুঝি—কারো কিচ্ছু হবে না। স্রেফ কিচ্ছু না। সব্বাই-ই সুখে থকবে। আনন্দে থাকবে। আমায় ভুলেই থাকবে। সেসব চিন্তাগুলো অযথা-ই করতাম। সেসব ভয় অযথা-ই পেতাম। আমি এখন ভীত নই। বিলকুল ভীত নই। আমি মরণ চাই। শাহীদি মরণ। চিরকালের জীবন চাই। যে জীবনে সুখ আছে। যে জীবনে শান্তি আছে। হিসেব-নিকেশ হতেও ত্রাণ আছে যে জীবনে। বিনা হিসেবে জান্নাত আছে যে মরণে... দুনিয়ার হাজারো অশান্তি দেখে এর-ও আগে ভেবেছিলাম হয়তো মরলেই মুক্তি। কিন্তু নাহ! মুক্তি অত্তো সহজ না। আমার জবাবদিহিতা আছে। হিসেব-নিকেশ আছে। আমি এই জবাবদিহিতা থেকেই তো মুক্তি চাই। রব্বের কঠিন হিসেব-নিকেশ হতেই তো ত্রাণ চাই। আমি যদি শহীদ হতে পারি, শাহাদাতের জীবন পেতে পারি—তা হলেই তো স্বস্তি। তা হলেই তো মুক্তি। মরণের পর তো শান্তি চাই। সে মরণেই তো শান্তি... যে মরণে চিরকাল সুখ পাবো, সুখের সাগরে ভেসে বেড়াবো—আমি সেই মরণ চাই। জান্নাতের খেজুর বাগানের মালিক হতে চাই। ফিরদৌসের সোনালি মাঠে সবুজ পাখি হয়ে পাখা মে...

কর্মজীবী নারী বনাম অকর্মজীবী নারী

Image
  ইতিহাস জুড়ে নারীর অবদান— তা ঘরের ভেতরে হোক বা সমাজে— অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তারপর এলো শিল্প বিপ্লব। শিল্প বিপ্লবের সময় বৃহৎ আকারে উৎপাদনের জন্য নতুন নতুন কলকারখানা তৈরি হলো। এসব কারখানায় প্রচুর শ্রমিকের প্রয়োজন ছিল, যা শুধু পুরুষদের দ্বারা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে, নারীদেরও এসব কারখানা ও উৎপাদন কার্যক্রমে কাজ করার জন্য উদ্ভুদ্ধ করা হলো। পুরুষদের মতো নারীদের শ্রম মূল্য বেশি ছিলো না। অল্প বেতনে অধিক শ্রম নারীদের থেকে নেওয়া যেত। নারীদের এভাবে কর্মক্ষেত্রে আসা পুঁজিবাদী অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করে তোলে। সুশোভিত ও বিকশিত করে তোলে। কারণ, ওই যে বলেছিলাম তারা সস্তা-শ্রমে কাজ করতে শুরু করেন। এই সময়ে “কর্মজীবী নারী” ধারণাটিকে পুঁজিবাদীরা জনপ্রিয় করে তোলে। পূর্বে নারীরা প্রধানত ঘরের কাজে সীমাবদ্ধ থাকলেও শিল্প বিপ্লবের পর তাদেরকে ঘরের বাইরে গিয়ে কাজ করার দিকে উৎসাহিত করা হয়। এর ফলে, সমাজে নারীদের জন্য নতুন ভূমিকা ও চিত্র তৈরি হয়। যেসব নারী ঘরের বাইরে কাজ করতেন, তাদের “কর্মজীবী” হিসেবে গৌরবজনকভাবে ট্রিট করা হতো, আর যারা ঘরের অভ্যন্তরে থাকতেন ও কাজ করতেন, তাদেরকে অনেক ক্ষেত্রে ...

শুধু কোটা সংস্কার নয় রাষ্ট্র সংস্কারও প্রয়োজন

Image
  কোটা সংস্কার আন্দোলন চলছে বিগত কয়েকদিন ধরে। সবার মতো আমিও সেই আন্দোলনের সফলতা কামনা করছি। তবে কোটা সংস্কারের পাশাপাশি রাষ্ট্র সংস্কারের জন্যও ছাত্র সমাজের এভাবে জেগে ওঠা কামনা করি। আর সেই জাগরণে বর্তমানের মতো ঢাবিয়ানরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করুক, এই প্রত্যাশাও করি। আমাদের কেবল কোটা সংস্কারই প্রয়োজন না। পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থাই সংস্কার প্রয়োজন। বৃহৎ পরিসরে মুসলিম হিসেবে যদি বলি, তাহলে বলবো পুরো বিশ্বব্যবস্থা, পুরো সভ্যতারই সংস্কারের প্রয়োজন। এটা আমরা যতো তাড়াতাড়ি বুঝবো, ততো তাড়াতাড়ি অন্যায়-অবিচার-অপশাসন ও দুর্নীতি থেকে আমাদের মুক্তি মিলবে। অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানেরাই, বলতে গেলে ৮০% মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানেরাই কোটাব্যবস্থার পক্ষে না। যেখানে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানেরাই কোটার পক্ষে না, সেখানে তাহলে কেন মুক্তিযুদ্ধ কোটা চালু রাখা হবে? মুক্তিযোদ্ধারা তো সম্মানি পেয়েছেনই। অনেকেই বহু সুযোগ সুবিধাও পেয়েছেন। তাহলে তাদের তৃতীয় প্রজন্ম কেন অন্যায্য সুবিধা পেতে হবে? অমুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কেউ যদি মেধায়, সততায়, নৈতিকতায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানদের থেকে এগিয়ে থাকে, তাহল...

হিন্দু-মুসলিম নির্যাতন ও বর্তমান হিন্দুদের আন্দোলন

Image
পুলিশ-র‍্যাবের মধ্যে যারা বিএনপি-জামায়াতকে বেশি নির্যাতন করেছে, তাদের বড়সড় একটা অংশ হিন্দু ধর্মের ছিল। তারাই বিএনপি-জামায়াতকে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছে। নির্দয় আচরণ করেছে। তবুও বাংলাদেশের মুসলমানরা এটা বলেনি যে, হিন্দুদের দ্বারা মুসলিমরা নির্যাতিত হচ্ছে। ডিএমপির বিপ্লব কুমার, চট্টগ্রামের ওসি প্রদীপ কুমার, পিবিআইয়ের বনজ কুমার, কৃষ্ণ পদ রায়, উৎফুল কুমার রায়, সঞ্জিত কুমাররা কী অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও কী ভয়ানক নির্দয়ভাবে বিএনপি-জামায়াত এবং মুসলমানদের ঈমান আকিদা রক্ষার অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামসহ অজস্র মুসলমানদেরকে দমন করেছে, তা কি আমাদের মনে নেই? দেশবাসী কি সেগুলো জানে না? এসব আওয়ামী লাঠিয়ালদের অপরাধের জন্য যদি কেউ তাদেরকে শায়েস্তা করে, সেটা কি হিন্দু নির্যাতন হবে? যদি হয়, তাহলে তো আগে তাদেরকে মুসলিম নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্ত করতে হবে। তখন বিষয়টা হবে এমন, হিন্দুরা আক্রমণকারী আর মুসলিমরা প্রতিহতকারী। আওয়ামী লীগের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে, বিএনপি-জামায়াত ও হেফাজতের ওপর যে ক্র‍্যাকডাউন চালিয়েছে, তখন মুসলমানদের একজন সাধারণ নেতাও কিন্তু বলেনি যে, হিন্দুরা মুসলিমদের নির...

আওয়ামী অবৈধ মন্ত্রী দীপু মনিকে হাতকড়া না পরানো প্রসঙ্গ

Image
  এখন ভয়াবহ বন্যার সময়। দেশের মহা এক ক্রান্তিকাল। তবুও একটা বিষয় নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন মনে করছি। সেটা হচ্ছে গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরাচার, খুনি, ভোট ডাকাত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ভোট চোর, খুনি ও স্বৈরাচারী মেয়ের অবৈধ মন্ত্রী এমপিদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং হচ্ছে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। তো এর মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসকারী সাবেক অবৈধ শিক্ষামন্ত্রীকেও (এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলো) গ্রেফতার হয়েছে। তার সাথেই গ্রেফতার হয়েছে ক্রিড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। তো গ্রেফতারের পর তাদেরকে হাতকড়া পরানো হয়নি। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকাকালীন নিরাপরাধ ফুলের মতো মানুষদেরকেও পরানো হতো। তাদের চেয়েও বড়ো বড়ো নেতৃবৃন্দকেও হাতকড়া নয় শুধু, ডাণ্ডাবেড়িও পরানো হতো। তো বালু খেকো, শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের অন্যতম প্রধান হোতা, খুনি দিপু মনিসহ এদেরকে কেন হাতকড়া পরানো হলো না, সেজন্য আইনজীবীরা প্রশ্ন করে, প্রতিবাদ করে। যার ফলে উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে হাতকড়া পরানো হলো। কিন্তু দিপু মনিকে নারী বিবেচনায় হাতকড়া পরানো হলো না। আবার খেয়াল করুন— তার মতো এমন দুর্ধর্ষ অপরাধী, ভোট ডাকাত, নদী ও বালু খেকো এবং মানবতাবির...

খিলাফাহ ও ইসলামী রাষ্ট্র এবং বর্তমান বিশ্বব্যবস্থা

Image
  আমি একটা কথা বলবো। এতে অনেকেই হয়তো কষ্ট পাবেন। আসলে কষ্ট পাওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ কেউই অনুপ্রেরণা হারাতে রাজি নয়। কেউই তার স্বপ্নের দরজায় খিল এটে দিতে, মনে আঘাত পেতে চায় না। তবুও আমার কাছে যেটা বাস্তব বলে মনে হয়, তা শেয়ার করি। সেই বাস্তবতা হচ্ছে আসলে বাংলাদেশে কোনো ধরনের ইসলামী দলই ক্ষমতায় যাবার সম্ভাবনা আগামী ২৫/৩০ বছরেও নেই। গেলেও থাকতে পারবে না। অন্তত ইইউরোপ-আমেরিকার নেতৃত্বাধীন বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় সেটা সম্ভব হবে না । দেখুন, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী আর জনপ্রিয় ইসলামী দল ছিলো ইখওয়ান। ইখওয়ানের সামর্থ্য ও সমর্থনের অর্ধেকও কোনো দেশে কোনো ইসলামী দলের নেই। তবুও তারা একটা বছরের বেশি টিকতে পারেনি। আর বাংলাদেশের কোনো ইসলামী দলেরই ইখওয়ানের অর্ধেক পরিমাণও জনশক্তি, জনসমর্থন এবং সেক্টর ভিত্তিক কোয়ালিফাইড লোক নেই। বাংলাদেশের ইসলামের পক্ষের শক্তিগুলো মিশরের চেয়েও বেশি দ্বিধা বিভক্ত। আপনি নিজেই বিচার করে দেখুন, আপনি যেই দলটা করেন, সেই দলের বিপক্ষে কেউ কিছু বললে বা লিখলে আপনি তাকে কী আচরণ উপহার দেন! বানোয়াট বা মিথ্যে কথা না, সত্য কথাগুলো বা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে মতবিরোধ করার পরেই কী অবস্থা ...