Posts

Showing posts from October, 2024

বাংলাদেশের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ।

Image
 বাংলাদেশ আজ হোক বা কাল, ভাঙবেই। আজ হোক বা কাল, বাংলাদেশ নামক বর্তমান রাষ্ট্রটা ভারতের অঙ্গরাজ্য হবেই। যদিও এখনো ভারত বাংলাদেশকে প্রায় তাদের অঙ্গরাজ্যের মতোই ব্যবহার করছে, তথাপি কাগজ-কলম ও দলিলদস্তাবেজে হলেও বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন-সার্বভৌম  রাষ্ট্রের অস্তিত্ব আছে! কিন্তু এই কাগজ-কলমের অস্তিত্বও নাই হয়ে যাবে একদিন— লিখে রাখতে পারেন। আজকে বাংলাদেশের ওপর ভারতের রেল-লাইন করায় বা কিছু চুক্তিটুক্তি করায় কিছু কিছু মানুষের খুব আফসোস হচ্ছে! অথচ আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী নিজেই তো ভারত-কর্তৃক বাংলাদেশে আরোপিত। আবার অন্যদিকে তাদের এই আফসোস, এই হাপিত্যেশ কেবল ফেসবুক টুইটার বা ইউটিউবেই সীমাবদ্ধ। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটাকে শেখ মুজিবুর রহমানের স্বৈরচার, অপশাসন ও ভয়াবহ ইসলাম বিতাড়ন পরিস্থিতি থেকে প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্ধারের কিছু প্রচেষ্টা হাতে নিয়েছিল। ইসলাম ও ইসলামি মূল্যবোধ সম্পন্ন রাজনৈতিক দলসমূহের ওপর মুজিবুর রহমান কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানের কার্যকরী কিছু উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কলকাতা-কেন্দ্রীক হিন্দুত্ববাদী বাঙালি জাতীয়তাবাদের বদলে...

দাড়ি ও রবিন্দ্রনাথ

Image
  এক সময় কেউ যখন আমাকে দাড়ির ব্যাপারে নাসিহা করতো, তখন আমি তাদেরকে মুখের ওপরই জবাব দিয়ে দিতাম এই বলে— দাড়ি তো রবিন্দ্রনাথেরও ছিল!  এখন আমি বুঝি— আমার সেই কথা সত্য হলেও বুঝ এবং এপ্রোচটা অন্যায় এবং অপ্রয়োজনীয় ছিল।  দাড়ি রবিন্দ্রনাথের ছিল বলে জবাব দেওয়া এই হতভাগাটা বুঝতে চাইতাম না যে, রবিন্দ্রনাথ দাড়ি রেখেছে বলেই দাড়ির গুরুত্ব হারিয়ে যায় না। দাড়ি রাখা অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায় না। দাড়ি স্বয়ং আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং মানুষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজন্ম সাহাবায়ে আজমাইনেরও ছিল।  আমি হতভাগা ছেলেটা নিজের দুর্বলতা, অপরাগতা এবং অক্ষমতাকে ঢাকার জন্য মুশরিক রবিন্দ্রনাথকে টেনে আনতাম। অথচ এই দাড়ি রাখা ও দাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, রবিন্দ্রনাথ নয়। রবিন্দ্রনাথ দাড়ি রেখেছে, এজন্য আমি রাখতে পারবো না বা রবিন্দ্রনাথের দাড়ি রাখার জন্য আমার দাড়ি রাখার সাওয়াবটা কমে যাবে—বিষয়টা তো তেমনও না। তবুও আমি কেন অযথাই রবিন্দ্রনাথ টেনে আনতাম? রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দে...

শেখ মুজিবুর রহমান : বঙ্গবন্ধু না বঙ্গশত্রু?

Image
  শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যাপারে অনেকে আবার এটাও মনে করেন যে, শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তর পরবর্তীতেই খারাপ হয়ে গেছে। একাত্তরের পূর্ব পর্যন্ত সে ভালো ছিলো। অথচ এটা একটা ডাহামিথ্যে কথা।  বরং সত্য হলো একাত্তরের পূর্ব থেকে তো বটেই, এই লোকটি তার রাজনীতির সেই প্রাথমিক জীবন থেকেই অসভ্য এবং অসৎ ছিলো। উগ্র এবং খুনি মানসিকতার ছিলো।  কেমন অসৎ আর অসভ্য, সেটা সে তার রাজনীতির প্রাথমিক জীবনেই প্রমাণ করে দিয়ে গেছে। শেখ মুজিবুর রহমান এতোটাই বর্বর, উগ্র আর অসভ্য ছিলো— সংসদে চাবুক পর্যন্ত নিয়ে যেত সে। সংসদে বিরোধী দলের কর্মীর সাথে ধ্বস্তাধস্তি, মারামারি পর্যন্ত করার রেকর্ড আছে এই সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে।   পৃথিবীতে সম্ভবত একমাত্র তার বিরুদ্ধেই সংসদের স্পিকারকে হত্যা করার রেকর্ড রয়েছে। মানে সম্ভবত পৃথিবীতে শেখ মুজিবই একমাত্র ব্যক্তি— যে ব্যক্তি কিনা সংসদে বসেই সংসদে চেয়ার নিক্ষেপ করে স্পিকারকে হত্যা করেছে। বা হত্যার সময় ইন্ধন যুগিয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমানের এই উগ্রবাদী মানসিকতা, এই প্রচণ্ড সন্ত্রাসীপনা, পরমত অসহিষ্ণুতার স্বীকৃতি তার রাজনৈতিক গুরু— তিনি এক সময় যার বডিগার্ড ছিলেন— হোসেন শহীদ স...

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ : লাভ না ক্ষতি হলো?

Image
  স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার কর্তৃক জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের সকল অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এটা যে কেবল আজকেই করা হয়েছে, তা না। এর আগে আরো দুইবার জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করায় লাভ হলো না ক্ষতি হলো?  আমি মনে করি নিঃসন্দেহে জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করায় মূলত জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্রশিবিরেরই লাভ হলো। এই সময় জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্রশিবির তাদের আদর্শিক বুনিয়াদ আরো মজবুত করতে পারবে। তাদের রাজনৈতিক ময়দানে সময় এবং পেরেশানি আগের তুলনায় কম হবে। ফলস্বরূপ তারা আত্মগঠন-মানোন্নয়নে আরো মনোনিবেশ করতে পারবে। ক্যারিয়ার করতে পারবে। ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার বয়ান অলিতে-গলিতে, গ্রামে-গঞ্জে প্রত্যেকটা জায়গায় ছড়িয়ে দিতে পারবে। একাত্তর পরবর্তী জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার কারণেই জামায়াতে ইসলামী ভেতর ভেতর ইসলামের একটা বড়সড় জাগরণ সৃষ্টি করতে পেরছে। নিষিদ্ধ না করলে পারতো না। বরং ইসলামের ব্যাপারে আরো অধিকতর আপোষকামী একটা সংগঠনই হতো। সে সময় সমাজতন্ত্রের জয়জয়কার ছিল। জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্রশিবির তখন সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন বিভোর অজস্র তারুণ্যকে ঈমানি ইনকিলা...

জোব্বা-টুপি-পাগড়ি কি ইসলামী পোশাক?

Image
পাঠকপ্রিয় লেখক ডাক্তার সামছুল আরেফিন তার “পোশাক ও আত্মপরিচয়ের সুই-সুতো” নামক প্রবন্ধে মুহাম্মদ আসাদের রেফারেন্সে এরকম একটা কথা বলেছেন যে, পোশাকেরও দর্শন আছে। পোশাকও কিছু কথা বলে। তার এই কথার সাথে আমি সজ্ঞানে স্বেচ্ছায় শতভাগ একমত। কারণ এটা সত্যিই যে, পোশাকও কিছু আদর্শ এবং চিন্তা চেতনা হাজির করে। পোশাকও নির্দ্বিধায় অনেক কিছুই বলে দেয়। পোশাক কেবলই নীরিহ কিছু কাপড়-টুকরোর সেলাইয়ের সম্মিলন নয়। সব ধরনের পোশাকই, সব সময়ই কিছু কথা বলতে চায়। কিছু মূল্যবোধ হাজির করে এবং করতে চায়। পরাজিতরা বিজয়ীদের সবকিছুতেই মুগ্ধ হয়। আকৃষ্ট হয়।পোশাকেও হয়৷ তাদের পোশাক, পলিসি এবং লাইফস্টাইলও অনুকরণ-অনুসরণ করতে চায়। এমনকী করেও। তা না হলে এখন গণহারে সবাই যেভাবে একটু টাকা পয়সা হলে বা একটুখানি সেকুলার ধারায় শিক্ষিত হলেই সুটেড-বুটেড হয়ে যায়, সেটা হতো না। ফতোয়া আর লুঙ্গি ছেড়ে (নারীরা শাড়ি আর সালোয়ার কামিজ ছেড়ে) জিন্স ও টাই-টুই পরে নিজেকে নান্দনিক ও আধুনিক হিসেবে প্রমাণে ব্যতিব্যস্ত হয়ে যেত না। পোশাক কথা বলে জন্যই স্বয়ং বাঙালিদের জন্য প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও বাঙালি পোশাক হিসেবে পরিচিত লুঙ্গি পরে যাওয়া যায় না। ফতোয়া...

“প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেদের হাফপ্যান্ট পরা”

Image
আমাদের সময়ই আমরা প্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেদের হাফপ্যান্ট পরাটাকে অপছন্দের, অপমানের আর লজ্জাজনক কাজ হিসেবে দেখেছি। কিন্তু হুট করেই এখন চিত্রটা বদলে গেলো। প্রাপ্ত বয়স্ক যুবক-তরুণরাও গণহারে হাফপ্যান্ট পরে বাইরে বের হয়। ঘরেও কেউ কেউ বাবা-মা ভাইবোনদের সামনেও এমন অবস্থায় অবস্থান করে। এখন পর্দা নষ্ট কেবল বেপর্দা নারীদের জন্যই হয় না, চোখের হেফাজত কেবল নারীদের থেকেই করতে হয় না। এখন পুরুষের থেকেও পুরুষ হয়ে শক্তপোক্তভাবে চক্ষু হেফাজত করে চলতে হয়। এখন খুব সহজেই ছেলেদের জন্যও ছেলেদের চোখের পর্দা নষ্ট হয়।[০১] এই যে এমন বিষয়টা, এটাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আবার গরিবের মালিকী ফিকহও জন্ম নিচ্ছে বাংলাদেশে। এক সময় আমাদের উপমহাদেশের সম্মানিত দেওবন্দি আলিমদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতে, অপমান অপদস্ত আর হেনস্তা করার তাড়না থেকে ব্যাপকভাবে প্রমোট করা হয়েছে সালাফি বা আহলে হাদিস আলিমদের। কিন্তু এখন আবার সালাফি আলিমদের অনুসরণ করে কুল হওয়া যায় না। ড্যাশিং হ্যান্ডসাম হওয়া যায় না। অন্যদের চেয়ে নিজেকে খুব বেশি আলাদা করা যায় না। এখানেও কিছু ধর্মান্ধতা থাকে। এখানেও কিছু খ্যাতনেস থাকে। এখানেও দাড়ি রাখাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। না রাখলে গুনাহ ...

পাপ-অপরাধ ও অন্যায় কীভাবে সমাজে স্বাভাবিক হয়?

Image
আপনারা একমত হবেন কি-না জানি না, তবে আমার মনে হয় সমাজে খারাপ কাজ, পাপের কাজ, অন্যায় কাজ নরমাল হবার অন্যতম একটা উপায় হলো সচেতনতার নামে এগুলো নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতি করা। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এটা আমাদের কতিপয় দীনি ভাইয়েরাই করেন।* আসলে পাপগুলো প্রথমে যখন হয়, তখন ঘৃণার মধ্যেই থাকে। মানুষ তা ঘৃণার চোখেই দেখে। এরপর যখন এগুলো বারবার পত্রিকায়, মিডিয়ায়, মানুষের মুখে মুখে আলোচনা হয়, তখন তা সহনীয় মাত্রায় চলে আসে। তখন আর আগের মতো পাপের কথাটা শুনলে চোখগুলো কপালে উঠে যায় না। ভ্রু কুচকে আসে না। প্রচারে প্রচারে প্রসার হয়ে গেছে যে! দেখতে দেখতে, শুনতে শুনতে তো সবকিছুই স্বাভাবিক হয়ে যায় মানুষের কাছে। তবে হ্যাঁ, এই পর্যায়ে কিন্তু পাপের কথা, অন্যায়ের ঘটনা শুনলে আফসোস হয়। মাঝেমধ্যে ডিপ্রেশনও হয়তো নেমে আসতে চায় জীবনে। তবে আগের মতো না। এখন চিন্তা হয় এমন—  যা হবার হোক, এগুলো নিয়ে এতো মাতামাতি করে আর ফায়দা কী! নিজের মতো করে নিজের ঈমান আমল, নিজের নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ নিয়ে ভালো থাকি, এটাই বেস্ট।  এরপর পাপ, অন্যায়, অসামাজিক কাজ আরো নরমাল হয়। এই পর্যায়ে এসে মানুষ তখন উক্ত পাপ এবং পাপীকে নিয়ে ট্রল করে। হাসাহা...

পুরুষ বিদ্বেষ

Image
  নারী বিদ্বেষ নিয়ে কথা হয়। প্রতিবাদ হয়। কিন্তু পুরুষ বিদ্বেষ, পুরুষ-অপমান ও পুরুষের প্রতি জুলুমের বিষয়ে কেউ কথা বলে? প্রতিবাদ হয়? একজন নারী কোনো এক অভিযোগ করলেই যেভাবে পুরুষের প্রতি হনহনিয়ে তেড়ে আসা হয়, কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়া তার ওপর হামলে পড়া হয়, ঠিক ততোটাই নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা প্রদর্শন করা হয় কোনো মেয়ে একজন পুরুষের প্রতি জুলুম করলে, অন্যায় করলে। ছোটো বেলায় মেয়েশিশুদেরকে এবিউজ করা হয়, সেটা নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা হয়। প্রতিবাদ হয়। কিন্তু একই জিনিস ছেলে শিশুদের সাথেও হয়। মেয়েদের পক্ষ থেকেও অনেক সময় হয়। আত্ম-লজ্জায়, আত্ম-সম্মানের কারণে এগুলো নিয়ে ছেলেরাও হয়তো কথা বলে না। নারীদের দেহ, রং, অবয়ব নিয়ে কথা বললে সেটা হয়ে যায় নারী অবমাননা। কিন্তু সেইম কাজ যখন পুরুষের প্রতি করা হয়, তখন সেটা নিয়ে আমরা সবাই মজা নিই। নারীকে তার সম্মতি ছাড়া হাজব্যান্ড সেক্স করলেও সেটা নাকি ধর্ষণ হয়ে যায়। কিন্তু এখন সমাজে যে পুরুষকেও নারীর পক্ষ থেকে যৌন হয়রানি করা হয়, ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করা হয়, নানাভাবে ও নানা কৌশলে হেনস্তা করার চেষ্টা চলে, সেগুলো নিয়ে আমরা কেউ মুখ খুলি? হ্যাঁ, ছেলেরাও মুখ খোলে না। কারণ, মুখ ...

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাঈসির মৃত্যু এবং আমাদের কারো কারো প্রতিক্রিয়া

Image
  ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্ঘটনায় মারা গেলো। এতে অসভ্য আমেরিকা, বর্বর সন্ত্রাসী-অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাঈলিদের পাশাপাশি বাংলাদেশের কিছু মুসলিমও খুব খুশি হলো। আনন্দে বগল বাজানো শুরু করলো। আমাদের দেশের মাদখালী সালাফি থেকে শুরু করে আল-কায়দা ও আইএসপন্থী সালাফিরাও খুব খুশি হলো। আনন্দে পারে না যে তারাও ঢোল তবলা নিয়ে নাচানাচি শুরু করে। কওমি মাদরাসার তালিবুল ইলমরাও একটা অংশ খুশি হলো। মাজারপন্থী কথিত সুন্নিদেরও একই অবস্থা। তো যাই হোক, এদের নিয়ে আমার খুব বেশি বক্তব্য নেই। এদের একটা অংশ হয়তো সিরিয়া-ইরাকে মুসলিমদের ওপর ইরানিদের জুলুমের কারণে, আকিদার কিতাবি ইলমে পোক্ত হলেও রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় এবং অসচেতনতার জন্যই এই অবস্থান গ্রহণ করেছে। কিন্তু আমার কথা হলো যারা বিশ্বব্যাপী খেলাফত কায়েম করতে চায় (আল-কায়দা, সন্ত্রাসী ও খারেজি আইএসসহ এই ধরনের যারা আছে), তারা তো আকিদার পাশাপাশি পলিটিক্যাল ও কূটনৈতিক শিষ্টাচার সম্পর্কে অবহিত হওয়ার কথা। কিন্তু না, এই বেকুবদের মধ্যেও দেখলাম ন্যুনতম রাজনৈতিক শিষ্টাচারও নেই। এরকম ন্যুনতম পলিটিকাল ম্যানার পর্যন্ত যাদের নেই, সে সমস্ত বেকুবরা নাকি বিশ্বব্যাপী খে...

জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশ

Image
  স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশে একমাত্র জিয়াউর রহমানই বাংলাদেশের মানুষের মূল্যবোধ ও আদর্শকে প্রাধান্য দিয়ে দেশ পরিচালনা করেছেন। ইসলাম ও ইসলামি রাজনৈতিক কাজ-কর্মের ওপর পূর্বের সরকার যেভাবে খড়গহস্ত ছিলো, তিনি সেগুলো থেকে জাতিকে মুক্তি দেন। বলা যায় পলিটিক্যাল ইসলামকে তিনিই স্পেইস করে দেন বাংলাদেশে। মানুষের বাক ও ভাতের স্বাধীনতা যেভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছে, জিয়া বাংলাদেশের মানুষকে সেই কেড়ে নেওয়া স্বাধীনতা পুনরায় প্রদান করেন । মুসলিম বিশ্বের সাথে একটা হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্কও তৈরি করেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। যদি জিয়া বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় আরেকটু দীর্ঘ সময় থাকতে পারতেন, তাকে হত্যা করা না হতো, তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ভিত্তি আজকের চেয়ে আরেকটু মজবুত থাকতো। হয়তো বাংলাদেশকে আমরা স্বয়ংসম্পন্ন আত্মমর্যাদাবান একটা রাষ্ট্র হিসেবেও দেখতে পারতাম। আমি বিশ্বাস করি, তিনি আর কয়েকটা বছর দেশ পরিচালনা করতে পারলে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে আজকের মতো এমন আশঙ্কায়, অনিরাপত্তায় ও ঝুঁকিতে পড়তে হতো না বাংলাদেশকে। আমার কাছে প্রেসিডেন্ট জিয়ার নাম মনে আসলে কয়েকটা চিত্র ভেসে ওঠে: • বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল রা...

সেক্যুলারিজম অনুযায়ী চট্টগ্রামে কি ভুল কিছু হয়েছে?

Image
মাত্র ফেসবুকে আরটিভি এবং যায়যায়দিনের সংবাদে দেখলাম পূজা মণ্ডপে আয়োজক কমিটির আমন্ত্রণে পূজা উদযাপনে গান গাওয়ায় একজনকে গ্রেফতার করা হলো। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমার কিছু কথা আছে। সেটা হলো— যেহেতু আমাদের সেক্যুলার ও কালচারাল এলিট সমাজ বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এই দৃষ্টিতে তো চট্টগ্রামে ভুল কিছুই হয়নি। সার্বজনীন উৎসবে সব-ধর্মের লোকজনের নিজস্ব উৎসব, কালচার, আচরণ ফুটে না উঠলে তা কীভাবে সার্বজনীন হয়? একদিকে বলবো সার্বজনীন পূজা উৎসব, আবার অন্যদিকে সর্বজনের ও সর্ব ধর্মের কালচারাল অংশগ্রহণে তেতে উঠবো— বিষয়টা কি দ্বিমুখী হয়ে গেলো না? এখানে মূল বিষয় হচ্ছে: • আমাদের সেক্যুলার সমাজই তো পূজাকে সর্বজনীন বলে মুখে ফেনা তোলেন। • স্বয়ং পূজা কমিটিই তাদেরকে সর্বজনীনতা প্রমাণের জন্য নিমন্ত্রণ জানিয়েছে। • সার্বজনীনতায় সাড়া পেয়ে তারা অসাম্প্রদায়িক চেতনার গানও গেয়েছে। তাহলে এখন আমাদের মহামান্য সেক্যুলার সমাজ কেন তাদেরকে ব্লেম দিয়ে ভিক্টিম কার্ড প্লে করছে? আমরা মৌলবাদীরা তো সব সময়ই পূজাকে শুধু বিশেষ সম্প্রদায়ের উৎসবই রাখতে বলেছি, সার্বজনীন নয়। যার ফলে আমরা সব সময়ই বলি— ধর্ম যার যার উৎসবও তার তার। সুতরাং আমাদের মতো...

কেন সব অপকর্মে বিএনপি আওয়ামীদের শূন্যস্থান পূরণ করছে?

Image
  দুটো জিনিস স্বীকার করতেই হবে— নিঃসন্দেহে আওয়ামীদের তুলনায় বিএনপি সবদিকেই কিছুটা হলেও উত্তম এবং ভালো। পুরো আওয়ামী গোষ্ঠীর মতো এখানে সবাই তীব্র ইসলামফোব না। তৃণমূলে না হলেও আওয়ামী নেতৃত্বের বিশাল একটা অংশ যে ইসলাম বিদ্বেষী, এটা তো ওপেন সিক্রেট একটা ব্যাপার। কিন্তু এর পাশাপাশি এটাও স্বীকার করতে হবে— আওয়ামী গুণ্ডাতন্ত্রের হেন কোনো অপকর্ম নেই, যা কমবেশি বিএনপি বা এর অঙ্গসংগঠনগুলো—বিশেষত ছাত্রদল-যুবদল করে না বা করেনি। একেবারে চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, দখলদারি, অস্ত্রবাজি-টেন্ডারবাজি, খুন-ধর্ষণ, একেবারে হেন কোনো অপকর্ম নেই, যা তারাও করে না। এমনকী এই পাচ-ই আগস্ট আওয়ামীদের পতনের পরপরই ছাত্রলীগ যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের শূন্যস্থানটা দেশের প্রায় বহু জায়গায় ছাত্রদল-যুবদল-বিএনপি পূরণ করে ফেলেছে। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে— মুজিবের মতো একটা ঐতিহাসিক মিথ্যুক, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরাচার, খু নি আর ভোট ডাকাতের হাত থেকে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশকে মুক্তি এনে দেওয়া শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেই দল গঠন করেছেন— যেই জিয়া সুনামের সাথে দেশ পরিচালনা করেছেন, মুসলিম আইডেন্টিটির প্রতি যেই জিয়া এতো যত্নশীল ছিলেন—...

⚪ সম্পাদনার ষোল কিসিম ⚪

Image
নিজের লেখা নিজেই সম্পাদনা করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ ও কৌশল অনুসরণ করতে হয়, যা লেখার গুণগত মান বাড়াতে সাহায্য করে। নিচে প্রতিটি ধাপ বিস্তারিতভাবে উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করা হলো: ১. লেখার মূল বক্তব্য নির্ধারণ প্রথমেই নিজের লেখা পড়তে হবে এবং চিন্তা করতে হবে, লেখা কি ঠিক সেই বক্তব্যটি দিচ্ছে, যা আপনি পাঠককে বোঝাতে চাচ্ছেন? যদি মূল বক্তব্যটি স্পষ্ট না হয়, তাহলে লেখাটি সম্পাদনা করতে হবে। উদাহরণ: লেখার প্রথম খণ্ডে আপনি বলতে চাচ্ছেন, প্রকৃতি শান্তির প্রতীক। কিন্তু যদি ভাষা এত জটিল হয়ে যায় যে পাঠক বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, তাহলে সেই অংশকে পুনর্লিখন করতে হবে। ভুল: "প্রকৃতি যেন তার আপন সৌন্দর্যের ভাঁজে মানুষকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে, যা তাকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছায়।" সঠিক: "প্রকৃতি তার সৌন্দর্যের মাধ্যমে মানুষকে শান্তি ও নির্ভারতা দেয়।" ২. ভূমিকা পরিষ্কার রাখা প্রথম অনুচ্ছেদে লেখার উদ্দেশ্য এবং মূল চিন্তাধারা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ আছে কি-না, তা নিশ্চিত করুন।  উদাহরণ: যদি আপনার গল্প  বেদনাবিধুর হয়, তাহলে প্রথমেই সেটির ইঙ্গিত দেওয়া দরকার। ৩. শিরোনামের গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করা শিরোনাম লেখার বিষয়বস্...